আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনসংখ্যা মানেই সম্পদ, সম্পদ বৃদ্ধি করুন!

বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ।

৫৬ হাজার বর্গমাইলের এতো বড় বাংলাদেশের জনসংখ্যা মাত্র ১৬ কোটি! ছিঃ ! ভাবতেই অনেক কষ্ট লাগে! কষ্টে আমার বুক ফেটে যায়। এ কেমন কথা ! মাত্র ১৬ কোটি সম্পদ কেন? জনসংখ্যা মানেই সম্পদ । এতো কম সম্পদে দেশের চলবে কি করে? এখনো সময় আছে, সম্পদ বৃদ্ধি করুন! দেশের আয়তনের সাথে তুলনা করলে আমাদের ২০ কোটি সম্পদ হলেও মান-ইজ্জত বাঁচত।

অথচ আমাদের সম্পদ কত কম! সম্পদ বাড়ানো অনেক দরকারী একটি কাজ। আমাদের গুণীজনদের কথা অনুযায়ী, জনসংখ্যা মানেই সম্পদ। কেননা, বিদেশে বাংলাদেশের আদমের (মানে সম্পদের) ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশেই গৃহভৃত্য, হোটেলের বয়, বাগানের মালিসহ অনেক ধরনের কাজের অফুরন্তন সুযোগ আছে। আমাদের সম্পদ যদি ৩০ কোটি হত তাহলে কি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসতে পারত তা কি কেউ এক বার ভেবে দেখেছেন? বিদেশে আমাদের যে সব সম্পদরা থাকে তারা যে কি মহাসুখে থাকে ভাবলেই আমার খুব আনন্দ লাগে।

ছোট্ট একটি কামরায় ২০/২৫ জন ঘুমায়! অনেক মজা তো। আসলে আমরা সমাজবদ্ধ জীব তো। তাই এক রুমে ২০/২৫ জন ছাড়া আমাদের আনন্দ লাগে না। আমরা চাই প্রকৃত ও প্রাকৃতিক আনন্দ। নির্ভেজাল আনন্দ।

সেটা তো তারা পাচ্ছে। অন্য কোন দেশের মানুষ এতো আনন্দে নেই। ইউরোপের দেশগুলোতে কেস-টেস করে যে সম্পদগুলো কার্ড নিয়ে আছে তাদের অবস্থা দেখলেও অনেকেরই কষ্ট লাগবে। আমাদের সম্পদগুলো মাঝে মাঝে বিদেশের জেলখানাগুলোও দেখে আসে। বিদেশে গেলে সেখানকার সব দেখা দরকার।

জেলখানাটাই বা আবার বাকি থাকবে কেন? তা ছাড়া জেলখানায় কত কিসিমের খাবার-দাবার বিনা পয়সায় খাওয়া যায়! অধিক জনসম্পদ দেশেও অনেক কাজ দেয়। আমাদের গ্রামের মফিজ মিয়ার ৫ টি ছেলে- ৫টি সম্পদ; যেন টাকার গাছ। কি যে বড় লোক মফিজ মিয়া!কেউ কেউ তাকে তাকে সাংঘাতিক হিংসা করে। করবেই বা না কেন? মফিজ মিয়া নিজেই বলেছে, তার ৫টা ছেলে যেন ৫ টা টাকা বানানোর মেশিন! সকালে ৫টা ছেলে ৫টা রিক্সা নিয়েও যদি বের হয় সন্ধ্যাবেলা ৫ ছেলে যদি জনপ্রতি ৫০০ টাকা করেও আনে তাহলে ২,৫০০ টাকা আয়! ভাবা যায়! মফিজ মিয়া অনেক জ্ঞানী একজন পিতা। আমি চাই, তার মতো বাংলাদেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যত বাবারা জ্ঞানী হোক।

কমপক্ষে ৫ টা ছেলে পয়দা করুক। ঘরে ঘরে যদি প্রতি সন্ধ্যায় ২,৫০০ টাকা করে আসে তাহলে দেশের দৈনিক ইনকাম কত হবে ভাবতে পারেন! দেশ চলে যাবে অধিক আয়ের দেশের কাতারে। নিম্ন আয়ের দেশের কাতারে আর নয়! আমাদের এলাকার মাদ্রাসার রহমান হুজুর, বলেছেন, মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দিবেন তিনি। অনেক খাটি একটি কথা । আমাদের দেশের মাটির মতো তার কথাও অনেক খাটি।

অথচ আমাদের মধ্যে অনেক নাদান, নালায়েক, নাখান্দা এই খাটি কথাটা কেন যে স্বীকার করতেই চায় না। এই যে, ১৯৭১ সালে সাড়ে ৭ কোটি সম্পদ থেকে ৩০ লাখ শহীদ হয়ে ৭ কোটি ২০ লাখ ছিল । তখন কত কম সম্পদ । এখন আমাদের ১৬ কোটি সম্পদ । এখন কি যিনি মুখ দিয়েছেন তিনি আমাদেরকে আহার দিচ্ছেন না! যখন আমাদের সম্পদ ৩০ কোটিতে দাড়াবে তখনও আমাদের আহার আসবে।

তখন মধ্যপ্রাচ্য সহ সারা পৃথিবীতে থাকবে আমাদের গৃহভৃত্য, মালি, চাকর, বাকর সব.....। বস্তায় বস্তায় আসবে ডলার, দিনার, রিয়াল, পাউন্ড, ইউরো..! ভাবতে আমার কি যে ভাল লাগে! কত যে আরাম লাগে শুনতে! তাই আজকের নবীন দম্পতি যারা তাদের কাছে আমার ব্যাকুল আবেদন, দেশের সম্পদ বৃদ্ধি করুন। ২০২১ সালের মধ্যে যে করেই হোক আমাদের সম্পদ ৩০ কোটিতে নিতে হবে। জাতি আপনাদের কাছে বিরাট গঠনমূলক ভূমিকা আশা করতেই পারে। মনে রাখতে হবে, এক এক টি মানুষ যেন এক একটি টাকার বস্তা!


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।