আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বরিশাল পলিটেকনিকে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত, দুই মহানগর নেতাকে বহিষ্কার ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত, দুই মহানগর নেতাকে বহিষ্কার

http://www.sonarbangladesh.com/blog/mdhasan/

Click This Link বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় রাতে মহানগর ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মহানগর ছাত্রলীগের দুই সদস্য মঈন তুষার ও জসিম উদ্দিনকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঈন তুষার ছাত্রলীগ বিএম কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। এ ঘটনায় পুলিশ গতকাল রাত পর্যন্ত দুই পক্ষের ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরীকে জেলা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া এসআই সিদ্দিকুর রহমানসহ আরও তিন কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন। সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগের মহানগর কমিটির আহ্বায়ক জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহানগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান, সমর দাস, ইমরুল আহমেদ, মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির আহ্বায়ক মিলন ভূঁইয়া ও কাজী মুনির উদ্দিন তারিক। এ ব্যাপারে মহানগর ছাত্রলীগের নেতা মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সভায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে মঈন তুষার ও জসিমউদ্দিনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের ইনস্টিটিউট শাখার সভাপতি আবদুর রাজ্জাক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্জাক ও মিজানুরসহ নয়জনকে মঙ্গলবার রাতেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অন্য সাতজন হলেন ইমরান হোসেন, মাশরুফ মোল্লা, সাইদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, সৌরভ, মেহেদি হাসান ও সায়েম। গতকাল পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের চার নেতা-কর্মী আবু সায়েম, মাকসুদুর রহমান তসলিম, সাজিদ আহম্মেদ ও তানিম এবং শেখর নামে সংগঠনের অপর এক কর্মী। এ ব্যাপারে ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মীর মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে সহিংস ঘটনা ঘটায় আমি বাদী হয়ে থানায় মামলা করি। এই মামলায় ওই নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

’ বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, গতকাল গ্রেপ্তার হওয়া নয়জনকে মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.