আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সঠিক ফরমেটে রিজুমি তৈরি করা

লেখক/কবি

মাত্র ত্রিশ সেকেন্ড চোখ বুলাবার পর বেশীরভাগ রিজুমিই ফেলনা কাগজের ঝুড়ির মাঝে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়। এর মূল কারই হচ্ছে সঠিক আকার আকৃতিতে রিজুমি লেখার ব্যর্থতা। প্রতিটি ব্যক্তির রয়েছে কাজের আলাদা উদ্দেশ্য ও অভিজ্ঞতা। কারো হয়তো চাকুরির ইতিহাসে বিরতি থাকতে পারে। ক্যারিয়ার পরিবর্তন অথবা একই কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘ দিন কাজকরে যথেষ্ট উন্নতিও করেন অনেকে।

এরকম বিভিন্ন পরিসি'তিতে চাকুরি ক্ষেত্রে নিজেকে সর্বোত্তম প্রতিযোগি হিসেবে উপস্থাপন করতে দরকার যুগপোযোগি ফরমেটের রিজুমি তৈরি করা। নিচে প্রচলিত দুটি প্রধান ধারার রিজুমি ফরমেট তুলে ধরা হলো। এখন আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিন কোনটি আপনার উপযোগি। ১.কালানুক্রমিক রিজুমি ফরমেট: ক. লক্ষ্যউদ্দেশ্য খ. সারসংক্ষেপ গ. অভিজ্ঞতা ঘ. শিক্ষা ঙ অভিসম্বন্ধ/ রেফারেন্স সবার জন্য প্রযোজ্য না হলেও সবচাইতে জনপ্রিয় এই ফরমেটটি নিজস্ব রিজুমি লেখার সময় কমবেশী অনেক লোকই ব্যবহার করেন। এটি আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে যদি; ক. আপনি অবিরত ভালো থেকে আরো ভলো চাকুরি জুটিয়ে নিতে থাকেন; খ. আপনার করা সব চাকুরিই যদি একই ক্ষেত্রে হয়ে থাকে; ঘ. কোন নিদিষ্ট সময় জুড়ে যদি আপনি বেকার না থাকেন।

ঙ উপরের তথ্য থেকে সহজেই বুঝে নিতে পারবেন আপনার রিজুমিটি কালানুক্রমিক ফরমেট হওয়া উচিত কিনা। এর উত্তর হ্যাঁ হলে ভালো এখনি কাজে নেমে পড়-ন। উত্তর না হলেও হতাস হবেন না। আপনা উপযোগি দ্বিতীয় ফরমেটি নিচে তুলে ধরা হলো: ২.ব্যবহারিক রিজুমি ফরমেট ক. লক্ষ্যউদ্দেশ্য খ. গুণ বা পারদর্শিতা গ. সামর্থসমুহ ঘ. কাজের ইতিহাস ঙ. শিক্ষা চ. অভিসম্বন্ধ/ রেফারেন্স ব্যবহারিক রিজুমি ফরমেটটি এমনকরে তৈরি যেখানে আবেদন করা চাকুরির জন্য প্রয়োজনিয় গুণ বা পারদর্শিতা সহ আপনার অন্যান্য দক্ষতা গুলো গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে যদি চাকুরির ইতিহাসে আপনার বড় ধরনের বিরতি থাকে, তবে আপনার কাজের ইতিহাসকে এটি স্পট লাইটের মতো আলোকিত করে উপস্থাপন করবে।

এই রিজুমি ফরমেটটি আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে যদি; ক. আপনার ক্যরিয়ারে ঘন ঘন পরিবর্তন চলতে থাকে; খ. আপনি চাকুরির বাজারে পুনরায় প্রবেশ করতে চান; গ. আপনার অভিজ্ঞতার চাইতে দক্ষতা এবং গুণ বা পারদর্শিতা শক্তিমান অবস'ানে থাকলে; ঘ. একেবারেই কোন কাজের অভিজ্ঞতা না থাকে। ব্যবহারিক রিজুমি ফরমেটটি বিশেষভাবে কাজে আসবে যদি আপনি সমপ্রতি গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে থাকেন। এখানে রিজুমি ফরমেটটির আরেকটি ধরন উল্লেখ করা হলো। ক. লক্ষ্যউদ্দেশ্য খ. দক্ষতা গ. শিক্ষা ঘ. কাজের অভিজ্ঞতা ঙ. কর্মকাণ্ড ও সুখ্যাতি চ. অভিসম্বন্ধ সঠিক রিজুমি ফরমেট বাছাইয়ের মাধ্যমে আপনি চাকুরি পাবার ক্ষেত্রে নিজেকে অনেকখানি অগ্রসর বলে ভাবতে পারেন। এটিই আপনাকে সাক্ষাতকারের গণ্ডি পেরিয়ে চাকরি নামের সোনার হরিণখানি হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে সাহায়তা করবে।

তাই সতর্ক হয়ে নিজের জন্য সবচেয়ে উপযোগি একটি রিজুমি ফরমেট বেছেনিন এবং চাকুরির আবেদনে সেটি ব্যবহার করুন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.