আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাঝে মাঝে তব দেখা পাই,চিরদিন কেন পাই না



(ইদানিং 'হিমি'র বেশ নাম ডাক হয়েছে। সবাই ফোন করে 'হিমি'র খোঁজ খবর জানতে চায়। হাজার টা মেইল করে । সেদিন লন্ডন থেকে একজন ফোন করে জানতে চাইলেন 'হিমি' কেমন আছে?আর তরুনী মেয়ে গুলো প্রথমে জানতে চায় আচ্ছা,'হিমি বলে কি কেউ সত্যি আছে?আর অনেকে জানতে চায় কতদিন হয়ে গেল কেন 'হিমি'কে নিয়ে কিছু লেখা হচ্ছে না?আমি কারো প্রশ্নের ঊওর দেই না,ছোট করে একটু হেসে দেই শুধু। ) এক আশ্চর্য সুন্দর মেয়ের নাম 'হিমি'।

মনের ভেতর একসঙ্গে খেলা করে তার প্রকৃ্তির মতো সরলতা আবার জটিলতা । আঁষাঢ় মাসের মেঘের মতো মনের আকাশে ভেসে বেড়ায় তার সাদা মেঘের ভেলা। হেমন্তে বয়ে আসে অচিন লোকের মাতাল হাওয়া। শীতে কুয়াশায়,শিশিরে শিশিরে সুক্ত হয়। আমার আশে পাশে অদৃশ্য ভাবে সব সময় একজন থাকে।

তার নাম 'হিমি'। তার অনেক ক্ষমতা। সে আমার সমস্ত দুঃখ কষ্ট নিমিষে ভুলিয়ে দিতে পারে। হিমি'তোমার জন্য প্রবল তৃষ্ণা পুষে রেখেছিলাম বলেই কি তোমাকে পাবো না?আমি কি তোমাকে আনন্দ দিতে পারবো না কিংবা সুখ?কিসে একটি মানুষ সুখী হয়?বৃষ্টির রাতে হাত ধরাধরি করে,যখন আমরা এক সাথে ভিজব,তখন কি গভীর আবেগ তোমাকে এটুও আচ্ছন্ন করবে না? 'হিমি' বুকের মধ্যে এক ধরনের ব্যাথা হয়। তখন নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়।

সে সময় একটি সুখকর স্পর্শের জন্য মন কাঁদে। কিন্তু তুমি দূরে দূরে রইলে!আহ্ তোমাকে কতদিন দেখি না!তোমার গোলগাল আদুরে মুখ। মাঝে মাঝে তোমার জন্য খুব কষ্ট হয়। ইচ্ছে হয় আবার নতুন করে শুরু করি। তাহলে ভুল গুলো শুধরে নিতে পারব।

আমার-তোমার সম্পর্ক শেষ ভাবলে নিজেকে খুব তুচ্ছ ও সামান্য মনে হয়। তোমার দেয়া সামান্য আঘাত আমার জন্য তীব্র রুপ ধারন করে। 'হিমি' তুমি-আমি বড় বেশী অভিমানী হয়ে জন্মেছি। 'হিমি' ভালোবাসা ধরে রাখার ক্ষমতা হয়তো আমার নেই। আর হয়তো এ কারনেই আমি আজ বিচ্ছিন্ন।

"যে চলে যায় সে তো কভু,আসে না আর ফিরে যে ছবি আঁকা হয়,সে কভু যায় না মুছে"। মনে করো যেন আকাশ পেরিয়ে-সাগর ছাড়িয়ে বহু দূরে ওই দিগন্তের ওপারে আমি তুমি। দিগন্তের শেষে অন্যভুবন,অন্য জগৎ আদ্যন্ত ভালোবাসা। " একদিন সকালে 'হিমি' আমাকে ফোন করে জানতে চায় বলতো "For God's sake,hold your tongue and let me love"এই কথাটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কোন লেখায় বলেছিলেন। আমার খুব রাগ লাগলো।

ঘুম থেকে তুলে এই রকম প্রশ্ন করার মানে কি?রাগ টা দমন করে হাসি মুখে বললাম। এই কথাটা রবীন্দ্রনাথ চুরি করেছেন। এবং তার শেষের কবিতা উপন্যাসে ব্যাবহার করেছেন। তার পর আমি "দোহাই তোদের এতোটুকু চুপ কর/ভালোবাসিবার দে মোরে অবসর' এই কথাটা বলেই ফোন কেটে দেই। দুঃখ কেন পাবো মাঝে মাঝে ভাবি,হিমি।

তোমার 'দেখা' আমার জন্য বয়ে এনেছিল তা দুঃখে-সুখে মেশা এক মিশ্র অনুভূতি। সারল্য ও সততার মূল্য তো আমি একাই দিচ্ছি না। কড়ি গোনাতে তুমিও তো আছো আমার সঙ্গে ,কি?পুরোপুরি তো আছো?তাছাড়া,তোমার সব বক্তব্যই শেষ হয়ে গেছে বলে আমি মনে করি না। সিদ্ধান্ত দুজনের এক সাথে নিতে হবে। আমি তো কোনো সম্পর্ক গড়ার জন্য তেমন তাড়া অনুভব করিনি।

তার পরেও হঠাৎই তুমি এলে এবং আমার মনে হলো -কোনো অদৃশ্য সুখকারী দেবী'র দানেরই মতো,শ্রাবনের ঝঁড়ের ফুল অথবা ভুলেরই মতো। আমার কোনো তাড়া ছিল না। কিন্তু সব কথা অকপটে আমাকে প্রথমবার জানানোর পর থেকেই তোমার খুব তাড়া ছিল। তবুও তোমার জন্য জানতে পেরেছি যে-কোন অন্তজগৎ এখন ও বেঁচে আছে এই পৃথিবীতে ,যে পৃথিবীতে 'হিমি' নামের একটি মেয়ে বাস করে,যার দু'চোখে কৌতুহল,যার অন্তরে নির্মল সততা,সুরুচি সম্পন্ন মানসিকাতা এবং সংবেদনশীলতা। 'হিমি' আমি চাই সব সময় তোমারই জয় হোক।

মনটা ভিষন খারাপ হয়ে আছে । আমাকে একটি সুন্দর চিঠি দিবে। যে চিঠি পড়ে আমার মন ভালো হয়ে যাবে। 'হিমি' তোমাকে আমি ভালোবাসি। যেহেতু তুমি আমার কাছে কখনো ছিলে না,ইচ্ছে হলে যখন তখন তোমাকে দেখতে পেতাম না।

চাইলে বা না চাইলেও কাছে পেতাম না। তাই তোমাকে আলাদা করে কিছু ভাবিনি। নিজের ছায়াকে তো মানুষ গুরুত্ব দেয় না। দিন দুপুরে ছায়াহীন মানুষের কষ্ট কি তা এখন বুজতে পারছি। 'হিমি' কে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।

'হিমি' বলে কি কেউ আছে?হয়তো কেউ নেই। সবই মায়া। সব রহস্যের সমাধান আছে। একদিন সব রহস্য জানা হয়ে যাবে। সেই একদিন টা কবে?একদিন বিকেলে আমি ঘুমিয়ে আছি,তখন 'হিমি'আমার ঘরে এসে বালিশের নীচে একটা চিরকুট রেখে যায়।

লিখেছিল- উওর পাড়া যাবা না/ভাজা পোড়া খাবা না/আমি যে কবিরাজ কাউরে কবা না। এই কথাটার মানে কি কে জানে!আজও বের করতে পারিনি। কিন্তু একটা জিনিস পেরেছি। একটা কবিতা লিখে ফেলেছি। হিমি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হাসছে।

কিন্তু কি নিরব সেই হাসি! তার হাতে চায়ের কাপ। হিমি'র চোখে নক্ষএ। কিন্তু কি বিকট তার দীপ্তি! হিমি'র ঠোটে চাঁদ। কিন্তু চাঁদের মতো হিম নয়, আগুনের মতো উওপ্ত। নীল শাড়ি,সবুজ পাড় মাথার চুল খোলা শঙ্গশাসা হাত হিমি স্থির চোখে তাকিয়ে আছে।

(পৃথিবীতে অনেক নারী আছে,অনেক পুরুষ আছে। কিন্তু বিশেষ কোনো নারী,বিশেষ কোন পুরুষ কে প্রত্যাক্ষান করলে-দীর্ঘ পরিচয়ের পরেও সেই পুরুষের ব্যক্তিত্বে দারুন একটা আঘাত লাগে। )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.