আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাকরি হারালেন ঢাবি'র ১১৬ শিক্ষক

দীর্ঘ এক পথ শেষে আমি আজ পথের কিনারে

বিদেশ অবস্থানকারী ঢাবির ১১৬ শিক চাকরি হারালেন সোলয়মান তুষার: শিা বৃত্তি নিয়ে নিরুদ্ধেশ হয়ে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৬ শিক শেষ পর্যন্ত চাকরি হারিয়েছেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তাদের চাকরিচ্যুত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে বিদেশে অবস্থান করায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। এসব শিক বিভিন্ন সময় শিা বৃত্তি নিয়ে দেশের বাইরে যান। শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে তারা বিদেশ গিয়ে সেখানে অবস্থান করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নেন।

শেষ পর্যন্ত তারা বিদেশে থেকে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকাও পরিশোধ করেননি। এদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা এক কোটি ৪৩ ল ২৫ হাজার ৯৯১ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ৩১ জন শিক ৫৬ ল ৮০ হাজার ৯৫৬ টাকা পরিশোধ করেছে। এক জন শিক বিভাগে যোগ দিয়েছেন। এরবাইরে ৭৫ জন শিক কোথায় আছেন তার খোঁজ কেউ জানেনা।

এদের কাছে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৭১ হাজার ৫৮৯টা ও সর্ব নিম্ন ৫হাজার ৩৫ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপ পাবে। চাকরিচ্যুত ১১৬ জন শিকের মধ্যে প্রভাষকরা যোগদানের কিছুদিন পরই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিা ঋণ নিয়ে আবার কেউ কেউ বৃত্তি বা অনুদান নিয়ে কানাডা, ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকাসহ পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে পড়তে যান। প্রথমে যাওয়ার সময়ে ছয় মাসের বা চাহিদা অনুযায়ী টাকা কর্তৃপ দিয়ে দেয়। পরে যে ক’দিন বিদেশে অবস্থান করে, কর্তৃপ সেখানে কিস্তিতে টাকা পৌছে দেন। প্রভাষকরা যান এমফিল করতে।

এছাড়া সহকারি ও সহযোগী অধ্যাপকরা যান এমফিল বা পিএইচডি করতে। ১০৯ জনের মধ্যে ৬৬ জন লেকচারার, তিন জন অধ্যাপক। বাকিদের বেশির ভাগই প্রভাষক থেকে সদ্য পদোন্নতি পেয়ে সহকারি বা সহযোগী অধ্যাপক। বিদেশে যাওয়ার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তারা দেশে ফিরে কাজে যোগদান করবেন। নিয়মানুযায়ী কোন শিক ছয় মাস বা এক বছরের জন্য বিদেশে গেলে একাধিক কিস্তিতে সর্বাধিক চার বছরের জন্য ছুটিতে থাকতে পারবেন।

এভাবে বৈধ ছুটি না নিয়ে বিদেশে অবস্থান করলে তাকে বলা হয় অননুমোদিত ছুটি। নিয়মানুযায়ী শিকরা সর্বোচ্চ চার বছর পর্যন্ত শিা ছুটি নিয়ে বিদেশে অবস্থান করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অনুনমোদিত ছুটি নিয়ে বিদেশে অবস্থানরত ১১৬ শিকের মধ্যে প্রথম দফায় ১০৯ জন ও দ্বিতীয় দফায় ৭ জন শিককে চাকরিচ্যুত করা হয়।

এই ১০৯ শিক শিা ছুটি বিধির তিনটি প্রধান ধারা লংঘনের দায়ে চাকরিচ্যুত করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী উচ্চশিা শেষে শুধু দেশে ফিরে কাজে যোগদানই নয়, ভোগকৃত ছুটির সমপরিমাণ সময়কাল তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করা বাধ্যতামূলক। এই ১১৬ শিক ছুটি শেষে যোগদান করেননি। এছাড়া গৃহিত বেতনভাতাদিও ফেরত দেন নি। যা শিা ছুটি বিধির ৪(৭) ধারার স্পষ্ট লংঘন।

নিয়মানুযায়ী কোন শিক শিা ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান না করলে ছুটিকালীন সময়ে গৃহীত বেতনভাতাসহ অন্যান্য পাওনা সুদসহ এককালীন ফেরত দিতে হবে। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপ ১১৬ শিকের কাছ থেকে টাকা আদায়ের ল্েয তাদের অবস্থান সম্পর্কে ও ঠিকানা সংগ্রহের ল্েয চিঠি ইস্যু করে। তাদের কাছ থেকে কোন সাড়া না পেয়ে পরবর্তীতে বিভাগের ঠিকানায় তাদেও অবস্থান জানানোর জন্য চিঠি ইস্যু করা হয়। তাতেও সাড়া না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপ এ ১০৯ শিকের নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে টানিয়ে দেয়। এদের মধ্যে ৩১ জন শিক টাকা পরিশোধ করায় তাদের নাম ওয়েব সাইট থেকে মুছে দেয়া হয়।

বাকিদের নাম এখনো ওয়েবসাইটে আছে। টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত ওয়েবসাইটে থাকবে। এ ছাড়া একইকারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির সুপারিশের প্রেেিত সিন্ডিকেট ৭ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা গেছে। আরও ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষক চাকরি হারাতে পারেন বলে জানা গেছে। চাকুরিতে যোগদান: বিদেশে অবস্থানকারী এক জন শিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছেন।

তিনি হলেন অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাকিলা নার্গিস খান। তার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা এক লাখ ৫১ হাজার ৮১০ টাকা পরিশোধ করেছেন। ৭ জনের নাম জানা যায়নি : একইকারণে আরও কয়েকটি বিভাগের ৭ জন শিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাদের নাম জানা যায়নি। চাকুরি হারালেও টাকা দেননি যারা: শিা ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান না করায় যে সব শিক চাকুরিচ্যুত হলেন তারা হল- ফলিত রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রফিকুল আলমের কাছে পাওনা ৬১ হাজার ৪২৩ টাকা।

১৯৯৯ সালের ১৯শে এপ্রিল তার যোগদানের কথা ছিল। ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগের প্রভাষক আজিজ আহমেদের যোগদানের কথা ছিল ২০০১ সালের ১লা জুন। তার কাছে পাওনা এক লাখ ২৬২৭ টাকা। পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রভাষক আঃ রহমানের যেগদানের কথা ছিল ১৯৯৮ সালের ১৪ই এপ্রিল। তার কাছে পাওনা ৮৪ হাজার ৬০২ টাকা।

প্রভাষক নুজহাত হোসেনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা ৮৪ হাজার ৬০২ টাকা। প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নাহিদ বানুর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা তিন লাখ ৪৯ হাজার ৭৯০ টাকা। সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: শওকত আলীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা এক লাখ ৭৩ হাজার দুই টাকা। তার যোগদানের কথা ছিল ১৯৯৫ সালের ৩০শে অক্টোবর। সহকারী অধ্যাপক ড. মো: ফজলে রাব্বির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা ৭৪ হাজার ৮৯২ টাকা।

তার ১৯৯৪ সালের ২০শে এপ্রিল যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক ড. মো: সাহাবুদ্দিনের কাছে পাওনা ৪০ হাজার ২৩৭ টাকা। ১৯৯৪ সালের ২০শে এপ্রিল তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক ড. মো: শাহ আলম নূর-ই-কামালের যোগদানের কথা ছিল ১৯৯৪ সালের ২৮শে ডিসেম্বর। তার কাছে পওনা তিন লাখ ৫০ হাজার ৯৮ টাকা।

প্রভাষক রহমতুল্লাহর যোগদানের কথা ছিল ১৯৯৪ সালের ৪ঠা অক্টোবর। তার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা ৯৬ হাজার ৭৪১ টাকা। প্রভাষক ফওজিয়া বেগমের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা দুই লাখ ৪৩ হাজার ৫৮৭ টাকা। ১৯৯৬ সালের ২৮শে ডিসেম্বর তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক মাসরুর রহমানের কাছে পাওনা ৪২০৫ টাকা।

প্রভাষক মো: গোলাম মহীর কাছে পাওনা দুই লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৮ টাকা। তার যোগদানের কথা ছিল ২০০০ সালের ১লা এপ্রিল। অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এ কে এম কামরূল হাসানের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা চার লাখ ৮৩ হাজার ৪৯৮ টাকা। তার যোগদানের কথা ছিল ১৯৯৫ সালের ৩রা জানুয়ারি। প্রভাষক আবুল কালাম আজাদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা দুই লাখ ৭১৯৫ টাকা।

তার যোগদানের কথা ছিল ১৯৯৪ সালের ২২শে জানুয়ারি। সহকারী অধ্যাপক এস এ এম আবদুল ওয়াদুদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা এক লাখ আট টাকা। তার যোগদানের কথা ছিল ১৯৯৯ সালের ৯ই অক্টোবর। প্রভাষক পারভীন আক্তারের কছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা তিন লাখ ৪০ হাজার ৩৯৪ টাকা। ২০০২ সালের ১লা অক্টোবার তার যোগদানের কথা ছিল।

ফার্মেসী বিভাগের প্রভাষক আবু তাহের মো: আনিছুজ্জামানের যোগদানের কথা ছিল ১৯৯৪ সালের ১লা সেপ্টেম্বর। তার কাছে পাওনা এক লাখ ৪১ হাজার ৩২২.৯২ টাকা। প্রভাষক মো: দেলোয়ার হোসেনের কাছে পাওনা এক লাখ ৩৩ হাজার ৫৮৮ টাকা। ২০০০ সালের ৩০শে নভেম্বর তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক রেজাউল হাসান মান্নানের কাছে পাওনা এক লাখ ৩০ হাজার ৯৪৬ টাকা।

১৯৯৬ সালের ১লা জানুয়ারি তার যোগদানের কথা ছিল। সহকারী অধ্যাপক ড. মো: ফয়সাল হাশীমের কাছে পাওনা এক লাখ ৫০ হাজার ৫৩০ টাকা। ১৯৯৫ সালের ১লা নভেম্বর তার যোগদানের কথা ছিল। মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন চৌধুরীর কাছে পাওনা ৮৪ হাজার ৯১৩ টাকা। তার যোগদানের কথা ছিল ১৯৮১ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর।

প্রভাষক ড. শফিক আরা শিরিনের কাছে পাওনা ৮৮ হাজার ৩৬৯ টাকা। ১৯৯২ সালের ১০ই এপ্রিল তার যোগদানের কথা ছিল। মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শায়লা নেসারের কাছে পাওনা দুই লাখ ৯৪ হাজার ৯৯০ টাকা। ১৯৯৩ সালের ১৫ই আগস্ট তার যোগদানের কথা ছিল। সহকারী অধ্যাপক এলিজা আহমেদের কাছে পাওনা তিন লাখ ৮৯ লাখ ৯৫৮ টাকা।

১৯৯৫ সালের ১লা নভেম্বর তার যোগদানের কথা ছিল। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক সাবিহা সাঈদের কাছে পাওনা এক লাখ ৬৯০০৫.১০টাকা। ১৯৯৪ সালের ৪ঠা এপ্রিল তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক মাহবুব হাসানের কাছে পাওনা ৬০ হাজার ৩১২ টাকা। ১৯৮৭ সালের ৩০শে আগস্ট তার যোগদানের কথা ছিল।

ভূতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক এ এস এম রফিকুল আলম খন্দকারের কাছে পাওনা তিন লাখ ৫৭ হাজার ৭১৬ টাকা। ১৯৯৪ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক সৈয়দ রাজী উদ্দিন হোসেনের কাছে পাওনা দুই লাখ ৩২ হাজার ৩৮৭ টাকা। ১৯৯৪ সালের ৭ই আগস্ট তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক মো: সালাউদ্দিনের কাছে পাওনা দুই লাখ ৭১৭৬ টাকা।

১৯৯৮ সালের ২৫শে জুলাই তার যোগদানের কথা ছিল। অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ সেলিমের যোগদানের কথা ছিল ১৯৯৪ সালের ৩০শে নভেম্বর। তার কাছে পাওনা এক লাখ ৯৫ হাজার ৬৪.৯০ টাকা। প্রভাষক জাহনারা বেগমের যোগদানের কথা ছিল ১৯৯৮ সালের ২১শে আগস্ট। তার কাছে পাওনা এক লাখ ৪১ হাজার ৬৯১ টাকা।

প্রভাষক শাহীন ইসলামের কাছে পাওনা ৫০৩৫ টাকা। ১৯৯৯ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক সৌমী মোস্তফার কাছে পাওনা এক লাখ ৮১ হাজার ৯৫৬.৫১ টাকা। ২০০২ সালের ১৭ই জুন তার যোগদানের কথা ছিল। আইন বিভাগের প্রভাষক রুবাইয়া রহমান শরীফের কাছে পাওনা তিন লাখ ১২ হাজার ২৫ টাকা।

২০০৩ সালের ২৫শে জুলাই তার যোগদানের কথা ছিল। বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো: সালাউদ্দিনের কাছে পাওনা তিন লাখ ১২ হাজার ২৫ টাকা। ২০০৩ সালের ২৫শে জুলাই তার যোগদানের কথা ছিল। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এম নুরুল হোসোনের কাছে পাওনা এক লাখ ১১ হাজার ৪৫১ টাকা। ১৯৮০ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর তার যোগ দেয়ার কথা ছিল।

সহকারী অধ্যাপক সেলিম আহমেদের কাছে পাওনা ৮৩ হাজার ৮৩৫ টাকা। ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক সুধীর শ্যাময়েল চৌধুরীর কাছে পাওনা এক লাখ ৪৩ হাজার ৮৯৮ টাকা। ১৯৯৪ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর তার যোগ দেয়ার কথা ছিল। সহকারী অধ্যাপক ফায়জা সুলতানার কাছে পাওনা চার লাখ ৭১ হাজার ৫৮৯ টাকা। ২০০২ সালের ৬ই ডিসেম্বর তার যোগ দেয়ার কথা ছিল।

গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মজুশ্রী বণিকের কাছে পাওনা দুই লাখ ১৪ হাজার ৪৭০.২৭ টাকা। ১৯৯৯ সালের ১লা মে তার যোগ দেয়ার কথা ছিল। গনিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম জামানের কাছে পাওনা এক লাল ৫২ হাজার ২৭৪ টাকা। ১৯৯২ সালের ৩০শে সেপ্টম্বর তার যোগ দেয়ার কথা ছিল। আই এস আর টি বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদের কাছে পাওনা এক লাখ ৬৮ হাজার ৮৮২ টাকা।

১৯৯৫ সালের ১লা মার্চ তার যোগ দেয়ার কথা ছিল। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক মুনা হোসেনের কাছে পাওনা এক লাখ ১১ হাজার ৯৩৫ টাকা। ২০০১ সালের ১৮ই জুলাই তার যোগ দেয়ার কথা ছিল। প্রভাষক শাহনাজ করিমের কাছে পাওনা দুই লাখ হাজার ৬১৮ টাকা। ২০০৩ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তার যোগ দেয়ার কথা ছিল।

পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: বাকী বিল্লাহর কাছে পাওনা তিন লাখ ২৭ হাজার ১৩৯ টাকা। ১৯৯৯ সালের ২৪শে এপ্রিল তার যোগ দেয়ার কথা ছিল। হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সনসুর রহমানের কাছে পাওনা ৬২ হাজার ৯৬৪ টাকা। ১৯৯৪ সালের ৭ই নভেম্বর তার যোগদানের কথা ছিল। ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মেসকাত উদ্দিন আহমেদের কাছে পাওনা এক লাখ ৯৯ হাজার ৯৭ টাকা।

১৯৯৬ সালের ১৮ই মে তার যোগদানের কথা ছিল। ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের রাশেদা হুদার কাছে পাওনা এক লাখ ৪৪ হাজার ৬০৯ টাকা। ২০০০ সালের ১লা জানুয়ারি তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক মো: তাসলিম উদ্দিন শরীফের কাছে পাওনা এক লাখ ৭৪ হাজার ৯২৪ টাকা। ১৯৯৮ সালের ১লা জুলাই তার যোগদানের কথা ছিল।

প্রভাষক আহমেদ নুর আলমের কাছে পাওনা এক লাখ ৪৭ হাজার ১৯৫ টাকা। ১৯৯৪ সালের ১লা নভেম্বর তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক এ কে রফিকুল হাসান ভূইয়ার কাছে পাওনা দুই লাখ ২০ হাজার ৩৩৭ টাকা। ১৯৯৪ সালের ২৯শে মে তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক আদিনা নুসরা আনোয়ারের কাছে পাওনা ৭৮ হাজার ৮৮২ টাকা।

২০০৪ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তার যোগদানের কথা ছিল। ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক্স বিভাগের প্রভাষক কাজী মেহবুব রহমানের কাছে পাওনা দুই লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৭ টাকা। ২০০০ সালের ২রা সেপ্টেম্বর তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক আদনান সিরাজ লস্করের কাছে পাওনা এক লাখ ১৯ হাজার ৭৯৫ টাকা। ১৯৯৮ সালের ১লা জুলাই তার যোগদানের কথা ছিল।

সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ হায়দারের কাছে পাওনা এক লাখ ৯৬ হাজার ৭৬৯.৩৮ টাকা। ২০০২ সালের ১০ই মার্চ তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক সেকান্দার চৌধুরীর কাছে পাওনা ৩৬ হাজার ২৬৯ টাকা। ২০০১ সালের ১লা জুলাই তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক জহিরুল হকের কাছে পাওনা এক লাখ ৬৫ হাজার ৫৩৫ টাকা।

২০০১ সালের ১লা জুলাই তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক জামিল ইউসুফ খানের কাছে পাওনা দুই লাখ ৩১ হাজার ৯৫২ টাকা। ২০০১ সালের ১লা জুলাই তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক বজলুর রশিদের কাছে পাওনা দুই লাখ ১১ হাজার ৩৩৪ টাকা। ২০০১ সালের ১লা জুলাই তার যোগআনের কথা ছিল।

প্রভাষক এ কে এম আজাদের কাছে পাওনা দুই লাখ ১৮৯২ টাকা। ২০০১ সালের ১লা জুলাই তার যোগদানের কথা ছিল। সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম খন্দকারের কাছে পাওনা এক লাখ ১২৬৬ টাকা। ১৯৯৮ সালের ১লা অক্টোবর তার যোগদানের কথা ছিল। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সাঈদা জাকিয়া হোসেনের কাছে পাওনা এক লাখ ৮৪ হাজার ৫০৫.৭৮ টাকা।

১৯৯৪ সালের ১৭ই নভেম্বর তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক কাউসার কিবরিয়ার কাছে পাওনা দুই লাখ ৫৪ হাজার ৫০৭.০৫ টাকা। ১৯৯৯ সালের ১লা জানুয়ারি তার যোগদানের কথা ছিল। রসায়ন বিভাগের প্রভাষক রথীন্দ্রনাথ বোসের কাছে পাওনা ৮০ হাজার ৬১৬ টাকা। ১৯৯৭ সালের ১লা জুন তার যোগদানের কথা ছিল।

প্রভাষক ওমর ফারুকের কাছে পাওনা এক লাখ ৯৪৮০ টাকা। ২০০১ সালের ১লা জুলাই তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক দলিলুর রহমানের কাছে পাওনা এক লাখ ২২ হাজার ৪২ টাকা। ২০০১ সালের ১লা জুলাই তার যোগদানের কথা ছিল। সহকারী অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র বসুর কাছে পাওনা এক লাখ ৯৪৭৪ টাকা।

২০০১ সালের ১লা জুলাই তার যোগদানের কথা ছিল। প্রভাষক চঞ্চল কুমার বোসের কাছে পাওনা এক লাখ ৪১ হাজার ৮৩২ টাকা। ২০০১ সালের ১লা জুলাই তার যোগদানের কথা ছিল। সহকারী অধ্যাপক আবুল খায়ের খানের কাছে পাওনা এক লাখ ৫৯ হাজার ৭০২ টাকা। ২০০১ সালের ১লা জুলাই তার যোগদানের কথা ছিল।

সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা খাদিজার কাছে পাওনা দুই লাখ ৯০ হাজার ৩৯৫ টাকা। ২০০১ সালের ১লা জুলাই তার যোগদানের কথা ছিল। সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামানের কাছে পাওনা তিন লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৮ টাকা। ১৯৯৮ সালের ১লা অক্টোবর তার যোগদানের কথা ছিল। আই বি এর প্রভাষক ড. সামছুর রহমানের কাছে পাওনা এক লাখ ৭২ হাজার ১১৫ টাকা।

১৯৯৫ সালের ১লা ডিসেম্বর তার যোগদানের কথা ছিল। সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দা সোহেলী আলমের কাছে পাওনা দুই লাখ ৮৯ হাজার ৭১৭ টাকা। ১৯৯৬ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তার যোগদানের কথা ছিল। পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ওয়াহিদুল ইসলাম খানের কাছে পাওনা ৭৬ হাজার ১৫৩ টাকা। সহকারী অধ্যাপক বাবুল আলম সরোয়ার-ই-আলমের কাছে পাওনা ৪৭ হাজার ৯৭০ টাকা।

প্রভাষক জিতেন্দ্র নাথ রায়ের কাছে পাওনা এক লাখ ৩৬ হাজার ৪০২ টাকা। প্রভাষক ফিরোজ আলীর কাছে পাওনা ৩৮ হাজার ১৬৪ টাকা। প্রভাষক আহসান জামিল সরফুদ্দিনের কাছে পাওনা এক লাখ ১১ হাজার ৯০৫.৮৯ টাকা। ২০০১ সালের ১লা জুলাই তাদের যোগদানের কথা ছিল। কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আশরাফুজ্জামানের কাছে পাওনা এক লাখ ৮৬ হাজার ৫৯৭ টাকা।

১৯৯৭ সালের ১লা আগস্ট তার যোগদানের কথা ছিল। সমাজ কল্যান ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মো: শমসের আলীর কাছে পাওনা এক লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা। ১৯৯৮ সালের ১লা মার্চ তার যোগদানের কথা ছিল। পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক নুছরাত জাহানের কাছে পাওনা এক লাখ ৪৮ হাজার ১৫৩ টাকা। ১৯৯৫ সালের ১১ মার্চ তার যোগদানের কথা ছিল।

যারা টাকা পরিশোধ করেছেন: চাকুরিচ্যুত শিকদের মধ্যে ৩১ জন শিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা পরিশোধ করে ওয়েব সাইট থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করেছেন। এদের কেউ কেউ এককালীন আবার কেউ কিস্তিতে এ টাকা পরিশোধ করেছেন। ফলিত রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মাহবুবুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: বদরুজ্জামান। ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগের প্রভাষক মো: তোহিদ হাসান, প্রভাষক ড. মো: আবুল বাসার সরকার, অধ্যাপক ড. মো: আহাদ আলী, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এ কে এম জালাল উদ্দিন ভূঞা, প্রভাষক রহমতুল্লাহ, প্রভাষক মাসরুর রহমান, প্রভাষক মো: গোলাম মাহী। অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন।

ফার্মেসী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দীপক কান্তি দত্ত। ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এস এম নুরূল আমিন, সহকারী অধ্যাপক মালিহা মঈন। অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক ড. এ কে এম মাহবুব মোর্শেদ, সহকারী অধ্যাপক ড. মো: মনসুরুল আলম খান। গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল মো: ফজলে কবির। আই এস আর টি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নাসিদ কামাল ওয়াহজেদ।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক সায়রা খান। পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক মো: জালাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন। অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সাকিলা নার্গিস খান। ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক্স বিভাগের প্রভাষক কাজী মেহবুব রহমান। ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আজহার আলী চৌধুরী।

রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো: আলমগীর হোসেন। আই বি এর প্রভাষক মো: আতিকুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক রেজা মো: মোমেন। মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ড. এ কে আনোয়ার হোসেন। পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ওয়াহিদুল ইসলাম খান ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মানফুসা শামস্। উল্লেখিত শিকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭৮৫ টাকা ও সর্ব নিম্ন ৪ হাজার ২০৫ টাকা আদায় করা হয়।

সর্বোমোট আদায় কৃত টাকা পরিমান ৫৬ ল ৮০ হাজার ৯৫৬ টাকা। টাকা দেয়ার অঙ্গিকার: চাকুরি থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত শিকদের মধ্যে তিন জন শিকের প থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপরে পাওনা টাকা ফিরিয়ে দেয়ার অঙ্গিকার করে চিঠি দিয়েছেন। এরা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক নুছরাত জাহান, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নাহিদ বানু, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মেসকাত উদ্দিন আহমেদ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.