আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাকরি লাগবে, চাকরি?

আমি বজ্র, আমি অবিনাশী/ আমি নরকে বসিয়া হাসি পুস্পের হাসি/ মোর এক হাতে বাঁকা প্রেমের বাঁশরী, আর হাতে রণতূর্য/ আমি মহাবিদ্রোহী রণক্লান্ত/ আমি সেইদিন হব শান্ত/ যেদিন আমার মনের মানুষ পরের ঘরে যাবেনা....না না না সুপ্রিয় বেকার, চাকরিজীবী, ভাদাইম্মা ভাই ও বোনেরা, আসসালামু আলাইকুম। আজকে অনেকদিন পরে আমি আপনাদের চরণে একটা সুখবরযুক্ত ব্লগ উপহার দিতে যাচ্ছি। সুখবর টা নিশ্চই ব্লগের টাইটেল দেখে আঁচ করতে পারছেন এবং নিশ্চই এরই মধ্যে আপনাদের মনের ভিতর ২/৩টা প্রশ্নও তৈরী হয়ে গেছে- কাজের ধরন কী? বেতন কত? যোগ্যতা কি? সকল প্রশ্নের ঊত্তর?- এক্কেবারে পানির মতন কিলার(!!!)......এক্কেবারে সোজা। কেউ আপনাকে এই চাকরির জন্য আপনি কি পাস তা জানতে চাইবে না, জানতে চাইলে সংস্থার সভাপতির গালে আপনার/ আপনাদের জুতার বারি ঠাশ ঠাশ। অনেকেই আঁচ করে ফেলছেন “নিশ্চই এটা MLM”. কছম আল্লাহর, দুই কানে ধইরা, জিব্বায় কামুড় দিয়া বলতাছি, অগুলি কিছুই না।

বাজী লাগায়া বলতে পারি সারা বাংলাদেশে এইরকম মজার চাকরি আর আছে কিনা সন্দেহ, তার ওপর পার্ট-টাইম, নো-জামানত...খালি স্পটে হাজিরা দিয়া ঘন্টা দুই সময় দেয়া লাগবে আর গলা ফাটায়া চিল্লা-চিল্লি অপশনাল, পারলে ভালো, পরিচিতি বাড়বে তবে না পারলে কোন জোরাজুরি নাই, সভাপতি অতোটা মাইন্ড করবে না। আর একটা শর্ত, কট-কটে হলুদ “গু” কালারের গেঞ্জি পড়তে হবে এবং গু-কালারের পট্টি বাঁধা লাগবে। ভাই বহুৎ বিটলামি করছি আপনাদের সাথে, আপনাদের অনেক্ষন ঝুলায় রাখছি, এইজন্য আমি স্যরি। মূল কথায় আসি, আমি যে সভাপতির কথা বলছিলাম উনি হলেন আপনার আমার অতি-পরিচিত-অপরিচিত বিশিষ্ট ধান্দাবাজ, উড়ে এসে জুড়ে বসা তথা-কথিত ক্রীড়া-সংগঠক মিঃ মঞ্জুর কাদের ওরফে “মোঞ্জা পাগলা”, বর্তমানে উনি হাওয়া থেকে পাওয়া “শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব” এর বল-পূর্বক, জোর-পূর্বক(!!!) সভাপতি। ৭/৮ মাস আগেও এইনামে বাংলার আকাশে-বাতাসে কোন ক্লাবের নাম কোন মানুষ ত দূরের কথা কোন এনসাইক্লোপিডিয়াতেও ছিল না।

যে নামে ছিল, তা হল “ধানমন্ডি ক্লাব”। যাউকগা, কিভাবে আমাদের মোঞ্জা পাগলা “শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব” সিস্টেম করল তার প্যারোডি ইতিহাস অন্য সময়ে বলব। Recently, আমাদের মোঞ্জা পাগলা কিভাবে মানুষ জন কে বাসা থেকে এবং বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের আশে-পাশের লোক জনকে ডেকে ডেকে পেটে-ভাতে চাকরি দিয়ে যে অভিনব উদাহরন তৈরি করল সেই প্রসঙ্গে আসি। মোঞ্জা পাগলা ইদানিং বেশ বেকায়দায় পড়ছে। কারন বেত্তমিজ সাংবাদিকরা আর কিছু বজ্জাৎ আবাহনী-মোহামেডান সাপোর্টাররা চিল্লায়া কানতাসে যে, “শেখ জামাল”, রহমতগঞ্জের লগে ম্যাচ পাতাইসে, রহমতগঞ্জ যে ২ গোল আগে দিয়া পরে যে ৫ গোল হজম করছে সেগুলি Just দাঁড়ায়া থেকে, এইভাবে পোলাপানের মত গোল খাওয়া এই লেভেলের ফুটবলে অচিন্তনীয়।

মোঞ্জা পাগলার মাথায় এম্নেই “বাল” কম, তার ওপর বাংলাদেশ লীগ জেতার দ্বারপ্রান্তে এইরকম একটা অভিযোগে চান্দির বাকি “বাল” ও উইঠা আস্তেসে। মোঞ্জা পাগলার মান-ইজ্জত প্যালাস্টিক হইয়া যায়-যায় ভাব। এই সংকটময় অবস্থায় পত্রিকা মারফত সে জানান দিল “শেখ জামাল” Next Match এ মোহামেডান কে ফেস করবে তার বিশাল সমর্থক নিয়া। এই খবরে মুচকি হাসলাম। কারন মোঞ্জা পাগলা যেই টিমের সভাপতি, সেই টিমের প্লেয়াররা কখনো বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেনা তারা মনে প্রানে “শেখ জামাল” সাপোর্টার, আর সেই টিমের কিনা “সমর্থক” তাও আবার বিশাল!!! যাইহোক, মোহামেডানের বিরুদ্ধে শেখ জামালের খেলা শুরু হবার আগে আমাদের যে ছাম্বাদিকরা সাধারনত হাই তুলতে তুলতে, মুখ হাঁ করে ঘুমাতে অভ্যস্ত, এইবার এরা সব একযোগে চোখ খুলে হাঁ করে পশ্চিম গ্যালারির দিকে উদ্ভ্রান্তের মত তাকিয়ে রইল......গু-কালারের এত ছাপোটার!!!! সব কটার মাথায় গু-কালারের পট্টি, ব্রাজিল-টাইপ পতাকা.........কোত্থেকে এল এই “গু-আর্মি”(!!!!) আমাগো চাল্লু ছাম্বাদিক ভায়েরা মোঞ্জা পাগলার ভাব-মূর্তি যা একটু ইলাস্টিক আছিলো, সেটাও দিল প্যালাস্টিক কইরা।

এরা কয়েকজন “গু-আর্মি” রে জিগাইল, “আপ্নারা কি আসলেই শেখ জামালের সাপোর্টার? টিকেট কেটে শেখ জামালের খেলা দেখতে এসেছেন? তারা উত্তরে যা জানালো তাতে মোঞ্জা পাগলার ফটকাবাজি-ধান্দাবাজি আরো একবার প্রমাণ হয়ে গেল, এই গু-আর্মি রা জানালো “ভাই আমি স্টেডিয়ামের পাশ দিয়া যাইতাছিলাম, আমারে একজনে কইল, ভাইজান, ভালো খাওয়া আছে, এই পট্টি টা মাথায় বাইন্দা ১৮ নাম্বার গেট দিয়া ঢুকেন। টিকেট লাগবোনা”। ঠিক-ই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ম্যাচ শেষে এই “গু-আর্মি” দের মধ্যে প্যাকেট বিরানী খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। যাকেই জিজ্ঞেস করা হয় আপনি সাপোর্টার কি না, সবার-ই এক কথা, পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, তাদের কে রিকোয়েস্ট করে ম্যাচ দেখতে ঢুকানো হয়েছে। কিংবা তাদের ধরে নিয়ে আসা হয়েছ টিভি চ্যানেল “সময়” এই অভিনব দৃশ্য প্রচার করে ১৬-ই জুন রাতের খবরে, এদের ছাম্বাদিক মোঞ্জা পাগলাকে এই ভুয়া গু-আর্মির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে মোঞ্জা পাগলা সরিষার তেল মাখা চোরের মত এইসব দু-নম্বরি অস্বীকার করে এবং গর্বের সাথে বলে তার টিম এদেশের যেকোন টিম কে ৫ গোল দিতে পারে।

এজন্যই নাকি তাদের এত গু-আর্মি। তবে ম্যাচ না পাতিয়ে ৫ গোল দিতে পারে কিনা সেটা জানায়নি। তবে ভাই, এটা বলতে হবে, এইভাবে শেখ জামালের প্রেসিডেন্ট মোঞ্জা পাগলার চ্যালা-চামুন্ডারা বিরানীর গন্ধ শুকায়া ব্যাপক “গু-আর্মি” যোগাড় করে জাতিকে অন্তত কয়েক ঘন্টার জন্য হলেও আমাদের মাননীয় জননেত্রীর ঘরে-ঘরে চাকরীর যে প্রতিশ্রুতি ছিল, সেটার বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দিয়েছে......আম্রাও পারি। এইবার হয়তো ব্লগার বৃন্দের মন খারাপ হয়েছে, চাকরীর ঘোষনা শুনে এত আগ্রহ নিয়ে ক্লিক মারলেন না জানি কি চাকরী আপনার জন্য wait করছে!!! কিসের ভিতর কি? ভাবছেন আপ্নারা প্রতারণার শিকার, আমাকে হয়তো গালি ও দিচ্ছেন। প্লিজ, একটু ভেবে দেখেন, কোন রিকয়ারমেন্টস ছাড়া এইরকম মজার চাকরী আপনাকে কে দেবে? তাও বাংলাদেশে? আমি তো একটা প্রধান সেরা টিমের সাপোর্টার, কখনোতো টিকেট ছাড়া অদের খেলা দেখার সুযোগ পাইনাই।

অথচ মোঞ্জা পাগলার টিমের কথা ভেবে দেখেন, টিকেট ছাড়া বাংলাদেশের ন্যাশনাল টিমের খেলা দেখবেন(কারন জাতীয় দলের ম্যাক্সিমাম প্লেয়ার মোঞ্জা পাগলার টিমে, তারপরও মোঞ্জা পাগলা ম্যাচ পাতায়) তারপর ভরপেট বিরানী খাবেন......আহ! কি আনন্দ..... মোঞ্জা পাগলার পরের ম্যাচ ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে, সেই ম্যাচেও নিশ্চই ভালো ব্যাবস্থা থাকবে........জয় মোঞ্জা পাগলা, জয় গু-আর্মি......... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.