আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বারো সঙ্গিনীকে খুন করেছে যৌন-উম্মক্ত এক দাঁতাল হাতি!!যৌন মিলনের পর তৃপ্ত হতে না পেরে সঙ্গিনীকে খুন করাই তার নেশা !!

এই দেশটা আমার, আপনার, আপনাদের সবার, আসুন দেশটাকা ভালবাসি।

এমন একটি সংবাদ, জানিনা আপনাদের ভাল লাগবে কিনা জানিনা? মনে হয় ভাল লাগবে। যদি ও কাট-পেস্ট তবু ও শেয়ার না করে পারলাম না। সংবাদটি নিম্নরুপ: গল্পের মতো শোনালেও ঘটনা একেবারে সত্যি। দেশ-বিদেশে যৌন উš§ত্তায় কাণ্ডজ্ঞানহীন পুরুষের নানা অপকর্মের কীর্তিকাহিনী প্রায়ই শোনা যায়।

কিন্তু এ ঘটনা হলিউডের যে কোন থ্রিলারকেও হার মানায়। এক নয়, দুই নয়, পরপর বার সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌনমিলনের পর তাদের একে একে খুন করেছে একটি পুরুষ দাঁতাল হাতি। আপাতত ওই ‘সিরিয়াল লেডি-কিলার’ উš§ত্ত ফেরার পুরুষ হাতিটিকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে ভারতের কেরালা রাজ্য পুলিশ, প্রশাসন ও বন বিভাগের লোকজন। ওই ‘লেডি কিলার’কে ধরতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি টিমও তৈরি করা হয়েছে। কিছুটা হলেও বিশ্বখ্যাত লেডি কিলার চার্লস শোভরাজ অথবা বাংলাদেশের চাঁদপুরের রসুর জীবনশৈলীর সঙ্গে মিল থাকা এই যৌন উš§ত্ত পুরুষটি দক্ষিণ ভারতের কেরালার পেরিয়ার জঙ্গলের বাসিন্দা দাঁতাল হাতিটির বয়স ২৫ বছর।

বন দফতরের দেয়া নামÑ ‘আলফা’। বন দফতরের হিসাব বলছে, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্র“য়ারি থেকে আটটি হস্তিনীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে কেরালার পেরিয়ার জঙ্গলে। কেরালার বন্যপ্রাণী বিভাগের প্রধান কেকে শ্রীবাস্তব বুধবার জানিয়েছেন, ‘ময়নাতদন্তের বিভিন্ন রিপোর্ট ও অন্যান্য প্রমাণ পরিষ্কার বলে দিচ্ছে, একটি দাঁতাল হাতিই একে একে খুন করেছে ওই হস্তিনীদের। আর সেটি হল আলফাই। ’ ২০১০ এর ১২ ও ২১ মার্চ আরও দুটি হস্তিনীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ওই জঙ্গল থেকে।

হস্তিনীদের শরীরের আঘাতের চিহ্নগুলো বলে দিচ্ছে সেগুলো একই অপরাধীর কাজ। প্রথমে পেরিয়ারের ব্যাঘ্র প্রকল্পে যখন হস্তিনীদের মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছিল যখন মনে করা হয়েছিল চোরাগোপ্তা শিকারিদের কাজ এটি। কিন্তু ডব্লিউডব্লিউএফ এবং প্রাণিবিদ্যা বিশারদরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও আঘাতের চিহ্ন এবং খুনের সময় মৃতের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের অবস্থান পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, সবগুলো খুনই করেছে দাঁতাল আলফা। পেরিয়ারের ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর ওপি কালেরের অধীনে ১৫ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। ২০০৯ সালের ৪ এপ্রিল প্রাথমিক রিপোর্টে কমিটি জানায়, হাতিদের মধ্যে লড়াইয়ের ফলে এই মৃত্যু।

আর প্রত্যেকটি লড়াই হয়েছে যৌনমিলনের পর। পরে কালেকর কমিটি জানায়, একই দাঁতালের কাজ এটি এবং যৌনমিলনের পর সঙ্গিনীদের খুন করার কারণ হিসেবে অতৃপ্তির বিষয়টি উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। জঙ্গলের ভেতরে ফেরার আলফাকে খোঁজার জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করেছে কেরালা সরকার। পেরিয়ার ফাউন্ডেশনের পরিবেশবিদ এ বিরামনি বলেন, হাতির এই ধরনের আচরণ খুব একটা চোখে পড়ে না। সেদিক দিয়ে এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।

ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি পরামর্শ দিয়েছে, পশুদের গতিবিধি নজরে রাখতে তাদের রেডিও কলার পরানো হোক। তাহলেই ধরা পড়ে যাবে ওই খুনি দাঁতাল। যদিও ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছে, ‘দাঁতালটিকে খোঁজা ততটা সহজ কাজ নয়, যতটা সহজে বলা যাচ্ছে। (দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা থেকে নেওয়া)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।