স্বপ্ন বাস্তবায়িত না হলে সে স্বপ্ন দেখার কোন অর্থ থাকে না, আমি এ ধারনার পক্ষে নই। অনেক আগে এ সঙ্গ এ্যান্ড এন এ্যারো নামে একটা কবিতা পড়েছিলাম, আমার বিশাস্ব সেই কবিতার মতো।
কিছুদিন পূর্বে আমার এক আত্বিয় র মেয়ে পাঁচ তলার উপর থেকে লাফ দিয়ে আত্নহত্যা করে। সে মাত্র ক্লাস এইট এ পড়ে। আমি শুনে প্রথমে হতবম্ব হয়ে যাই।
যে বয়সে জীবন মৃত্যুর অর্থ বোঝার কথা নয় সেই বয়সে কেনো একটি মেয়ে এরকম কাজ করবে?
আমি একটু খোজ খবর করে জানতে পারলাম ঘটনার সময় মেয়েটি তার প্রমিক (!) এর সাথে কথা বলছিল পাঁচ তলার বারান্দায় দাঁরিয়ে। কথার এক পর্যয়ে মেয়েটি যে ছেলেটিকে কি পরিমানে ভালোবাসে তা বোঝাতেই ছেলেটিকে বলে যে সে তার জন্য সব কিছু করতে পারে। ঐ সময়ের কথোপকথন যদি অনুমান করি তবে তা যেমন হবেঃ
মেয়েঃ আমি তোমার জন্য সব কিছু করতে পারি
ছেলেঃ সবকিছু!
মেয়েঃ হ্যা তুমি যা বলবে আমি তাই করব। তোমার জন্যে আমি সব পারি।
ছেলেঃ আমি যদি ব লি তাহলে কি তুমি পাচ তলা থেকে লাফ দিতে পারবে?
মেয়েঃ অবশ্যই পারবে।
ছেলেঃ তবে দাও তো দেখি!
এই পর্যায়ে মেয়েটি সত্যি সত্যি পাঁচ তলা থেকে লাফ দিয়ে নীচে পরে যায় এবং হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা যায়।
একটু ভেবে দেখুন সামান্য সময়ের আবেগে এই প্রায় শিশু মেয়েটির সুন্দর জীবন শেষ হয়ে গালো। মেয়ের এই আবেগের কথা যতটা বুঝেছি পিতা মাতা জানত না। আমার বিশ্বাস পিতা মাতা যদি এই মেয়ের মানুসিক অবস্হার কথা জানতেন তবে এই দঃখজনক ঘটত না। পেপার খুলে আজ কাল এইরকম ঘটনা প্রতিদিন ঘটতে দেখছি।
আমার সন্দেহ এর প্রতিটি ক্ষেত্রে খোজ নিলে জানা যাবে পিতা মাতা মেয়েদের মানসিক অবস্হা সম্পর্কে কিছু জানতেন না।
দিন দিন অবস্হা যে ভাবে খারাপ এর দিকে যাচ্ছে, আমি প্রতিটি পিতা মাতাকে অনুরধ করব আপনারা সন্তানের মানসিক অবস্হার দিকে আরো মনোযগ দেবেন। না হলে নিছক ছেলে মানুষি কোন আবেগের কারনে হয়ত আপনাকেও হারাতে হতে পারে প্রণের টুকরা স ন্তান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।