আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পপির ফ্যান মিল্টনের কামরায়!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

কি কমু আর! কইতে কইতে কাউয়া হইতেই বাকী, যদিও এই দেশে কাউয়ার কন্ঠ কোকিলের মতোই মধুর! একদিন লেকপাড়ে হাটতে গিয়া দেখি একখান প্যান্ট উচকাইয়া আছে আর তিনফুটি দূরে একখান শার্ট উচকাই আছে ঢালুর দিকে। আমার অতো কাম কি, লেকের পাড়ে খাড়াইয়া হিস্যু করনের পায়তারা করতাছিলাম। মাগার বাইরের টেমপারেচার দেইখা ঠাহর করতে পারতাছিলাম না কেমুন ঠান্ডা। গায়ে দুই দুইটা জ্যাকেট পড়ছি।

এমুন সময় দেখলাম ঠোলার গাড়ী আমার পাশ দিয়া ঘুইরা গেলো। আমি জানালা দিয়া চাইয়া দেখলাম মামুর লগে মামী আছে কিনা। এই দেশে ঠোলা মামীরা খুবই সুন্দর! আমি আবারও চারিদিকে চাইয়া আশেপাশের এ্যাপার্টম্যান্টে উকিঝুকিও মারলাম। হঠাৎ দেখি সেই পুলিশের গাড়ি আবার আমার পাশ দিয়া গেলো। বুকে হাত দিয়া এনসিওর হইলাম পাসপোর্টখান পকেটে আছে নাকি টয়লেটের বেসিনে রাইখা আইছি।

হাটা ধরলাম, ব্যাটারা মনে হয় মনের কথা স্ক্যান কইরা ফেলাইছে আমি আসলে হিস্যু করবার আইছি। যাই হোউক হাটা দিয়া দূরে সইরা খাড়াইলাম, দেখলাম মামুগো গাড়ি একটু দূরে দাড় করাইলো আর মামী বাইর হইয়া ঐ ঢালে নাইমা ঐ প্যান্টু শার্ট উঠাইলো। পাশ দিয়া এক দেশী পোলাপান পাশ দিয়া যাইতে যাইতে আমারে কয়,' ব্যাটারা মেলাদিন পর একখান কাম পাইলো, না হইলে বেতনের টাকা হুদাই হ্যাগো পিছনে খরচ হইতাছিলো!' আজকা আইসা পড়লাম এই এলাকায় নাকি কয়েক যুগ পর কয়েকমাস একখান মার্ডার হইছে। পোলা নাকি কিক বক্সার। পয়লাই কুশ্চেন, এই দেশি পালোয়ান কিক বক্সাররে মারলো কারা? তিন মাস আগে থিকা এইখানকার পুলিশ এইটা নিয়া নানা রিসার্চ পিএইচডি কইরা বাইর করছে খুনি কে? এইটা শুইনা সেই দেশী পোলা কইলো,' হগা মামুগো বেতানো দরকার, আমাগো দেশের পুলিশ হইলে যে মরে নাই হের মার্ডারের কেসের আসামীরে দুই দিনে এ্যারেস্ট কইরা তিনদিনে জেলে চালান দিয়া ১৬৪ ধারায় গান গাওয়ায় ছাড়তো, আর এই গুলান.........কুনো কামের না!' ইয়াহু ম্যাসেন্জ্ঞারে আমারে একখান লিংক দইলো, খোজ নিয়া দেখলাম দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সর্বাধিক পঠিত নিউজ।

সব চটি বিষয়ক লেখা। সেই লেখায় দেখা গেছে যে মাইয়ারে নিয়া লেখছে তার গলির ঠিকানা ভাইয়ের নাম কুন স্কুলে পড়ে রুল নাম্বার কতো সব লিখা দিছে। এমনকি ঐ মাইয়ার রুম মেটের বাড়ির ঠিকানাভি লিখা দিছে। তাও আবার কিস্তি কইরা! পরের পর্বে যখন অনুসন্ধানী রিপোর্ট আরও আগে বাড়লো তখন জানা গেলো ঐ মাইয়া নাকি এলাকা ছাড়া আর এর কিছু দিন পর ঐ মাইয়ার ছোট ভাই ঐ মাইয়ার ফেলাইয়া যাওয়া জিনিস পত্র নিতে আইছে। মাগার খবরের নিউজের কারনে এলাকায় ঐ বাসা হিট।

বাড়িআলা তার মাইয়ারের ঢাকায় আরেক বাসা ভাড়া কইরা রাইখা আসছে। ঐ বাড়ি আলা ঐ পোলারে পাইয়া কয় কিছুই নিয়া যাইতে পারবি না। পরে অনেক অনুনয় বিনয় কইরা ফ্যান খইলা নিলো। মাগার বাড়ির দারোয়ান ফ্যাকড়া বাজানোয় সেই ফ্যানও নেওন গেলো না। পত্রিকার হেড নিউজ আইলো, পপির ফ্যান মিল্টনের কামরায়! মাইনসে কয় এই বয়সে আমি অখনও চটি বিষয়ক লেখা লেখি কেন, আমি কই এইসব পত্রিকার বড় বড় হাম্বাদিক যদি লিখতে পারে চটি আমার পড়তে দোষ কই! এই দেশে আইসা আমাগো দেশের আজব দিক চোখে খালি ভাসে! আগরতলা ষড়যন্ত্রের লিগা তৎকালীন লোকজন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ ফেরত সংগ্রাম পরিষদ নামের একটা কিছু বানাইছিলো।

ইদানিং শুনি আমাগো তারেক জিয়ার নামে তারেক জিয়া স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সংগ্রাম পরিষদ বানানো হইছে। আমি খালি প্রমাদ গুনি ফকরু কাকার শাসনামলে সব নেতাগো জেলে নেওনের দুই দিনের মধ্যে বুইড়া থিকা জুয়ান সব গুলানের কিডনি থিকা শুরু কইরা ফুসফুস পর্যন্ত বিকল হইয়া হাসপাতাল ভর্তি হইয়া গেলো। এমনকি সিঙ্গাপুরে নাকি তখন কুনো সীট খালি আছিলো না কারন সব বাংলাদেশী নেতারা বুক কইরা রাখছে। ওদিকে তারেক কাকার পিঠের মেরুদন্ডের হাড় হাড্ডি ছুটাইয়া ল্যাংড়া কমিটির চ্যায়ারম্যান বানায় দিলো। রাস্তায় দেখতাম অনেকে দাত মুখ খিচাইয়া কইতো,' সাব্বাস বাপের বেটা ঠোলা!' আমিও চিন্তা করতাম কুন ঠোলার এত বড় বুকের পাটা! আর অখন সেইসব বুড়া বুড়া নেতারা সারা দেশ দাবড়ায়া বেড়ায়, নির্বাচন করে, তারেক জিয়া ইংল্যান্ডে দৌড়াদৌড়ি করে।

আমার যদি এই জুয়ান কালে কিডনি বা মেরুদন্ডে সামান্য বেদনাও হইতো, খোদার কসম বাকী জীবন এইডা নিয়াই যাইতো। আল্লাহ জানে এরা কুন দুকানের চাল খায়! এইসবেও আমার সমস্যা নাই, খালি মাঝে মাঝে যখন ঘুমাইতে যাই তখন মনে পড়ে রংপুর রেলষ্টেশনে আইজও অনেক গুলান লোক না খাইয়া ঘুমায়, চট্টগ্রাম রেলষ্টেশনের পিছনে আইজও কিছু মাইয়া শরীর বিক্রি কইরা পেটের ভাত কিনতে হয়, ফরদিপুরে বাস ষ্টেশনে আইজও টোকাইগো শুইতে গেলে গার্ডরে ১০ টাকা কইরা দিতে হয়! আমিও এক ছোলিম, কুনো কাম করি না, খালি কই আর চিন্তা করি! আমারে মাইনাস দেন দয়া কইরা!


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।