আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কারা কারা দুনিয়ার সব চাইতে সভ্য দেশ আম্রিকা যাইবার চান আহেন

To put the world right in order, we must first put the nation in order; to put the nation in order, we must first put the family in order; to put the family in order, we must first cultivate our personal life; we must first set our hearts right -Confucius
. . . বাগদাদের এক গোপন কারাগারে ইলেকট্রিক শক ও যৌন হয়রানিসহ রুটিন নির্যাতন চালানো হয় বন্দিদের ওপর। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে। এক ব্রিটিশসহ ৪০ জনের ওপর জরিপ চালিয়ে এই গ্রুপটি জানায়, এসব নির্যাতন ইরাকি সেনাবাহিনী চালায়। এদিকে ইরাকি কর্তৃপক্ষ এ গোপন বন্দিশালার কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, অতীতে এ ধরনের নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে জাতিসংঘের নির্যাতন বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের আমলের চেয়েও মারাত্মক অবস্থা এখন। বাগদাদের বিমানঘাঁটিতে গোপন বন্দিশালায় ৪শ’রও বেশি বন্দি রয়েছে। ৬৮ বছর বয়সী এক বন্দি জানান, তাকে বেদম পেটানো হয় এবং জননেন্দ্রিয়র ভেতরে বিদ্যুত্ প্রবাহিত করাসহ বলাত্কার করা হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, তিনি এবং অন্য বন্দিদের বিরুদ্ধে সন্দ্রাসীদের সহায়তা এবং তাদের অর্থ দিয়ে সাহায্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে চার্জ দাখিল করা হয়নি। বিবিসি প্রতিনিধি গোপন বন্দিশিবির থেকে ছাড়া পাওয়া এমন বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পান। সৈন্যরা আমাদের মাথায় নোংরা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে নির্যাতন শুরু করে। আমাদের পুরো শরীর পানিতে চোবানোর পর বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন চলে। ইরাক সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, এসব সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য এবং সঙ্গতিপূর্ণ। ওই গোপন আটককেন্দ্র এখন বন্ধ রয়েছে। কিছু বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে অধিকাংশ বন্দিকে বিভিন্ন কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মানবাধিকার গ্রুপ নির্মম ও জঘন্য নির্যাতনের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং উচ্চপর্যায়ের বিচারের দাবি জানিয়েছে।

ওই জেলের অস্তিত্ব প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকির জন্য বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করে। কর্মকর্তারা জানান, দু’সপ্তাহ আগে ওই ডিটেনশন সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরও নির্মম ও জঘন্য নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন এক তরুণ বন্দি। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদকারী ও রক্ষীদের সঙ্গে ওরাল সেক্স করতে হয়েছে। তাদের ভারী বৈদ্যুতিক তার দিয়ে চাবুক মারা হতো।

এসিড ও জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে হাত ও মুখের চামড়া পুড়িয়ে দেয়া হতো। নির্যাতনে জ্ঞান হারালে তারা জ্ঞান ফিরে পেত তাদের জননেন্দ্রিয়ের ভেতর বিদ্যুত্ প্রবাহিত করলে। মানবাধিকার গ্রুপের রিপোর্টে বলা হয়, আবু গ্রাইব কারাগারের নির্যাতনের সঙ্গে এর মিল রয়েছে। ২০০৮ সালে ইরাকি বন্দিদের ওপর ওই নির্যাতনের চিত্র প্রকাশিত হলে সারা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। Click This Link কি!!! যাইবেন?
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.