আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কারা কারা কি কারনে আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর তৈরীর পক্ষে এবং বিপক্ষে?


[img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/krisnonagor_1296489785_2-Fullscreen_capture_1022011_25243_AM_sydney.jpg যেকোন দেশের সরকাররের আইনগত অধিকার রয়েছে মালিকানার ক্ষতিপূরণ শোধ করে জমি কোন জনহিতকর কাজে ব্যবহারের জন্য। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন করছেন হাজারো লোক নতুন বিমান বন্দর আমাদের দেশে দরকার নাই। অনেক বিমানবন্দর দেশে পড়ে আছে তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। শুধু টাকা অপচয় না করে রাস্তাঘাট,স্কুল কলেজ কারখানা করা যায়। কিন্তু কেউ আমাদের (সরকার এবং বিরোধী পক্ষ)তথ্য দিচ্ছেনা এই টাকা বাংলাদেশ সরকার নিজেরা ব্যবস্থা করবে না বিদেশী কোন ইনভেষ্টমেন্ট হবে।

যদি বিদেশীরা বিনিয়োগ করে সে এক্ষেত্রে হাজারো লোকের দাবী অসরতাই প্রমান করে। যদি সরকার দেশের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে বানানীর চেষ্টা করে তবে আমার মূল্যায়ন এখনি বন্ধ করা হোক বিমানবন্দর তৈরীর রুপরেখা। এসব প্যাচাল আমার মুখে ভালো মানাবে না কারণ আমি কোন বিশেষজ্ঞ নই আমাদের পরবর্তী বছরগুলির বিমানপরিবহনের চাহিদার পরিমান কি হবে। আসুন মুল কথায় যাই কেন আড়িয়াল বিলবাসী এই বিমানবন্দরের বিরোধীতা করছেন? ১,নিজস্ব বসতভিটা ফেলে কে যেতে চায়। ২,বাপ দাদার কবরস্থান যেটা স্পর্শ কাতর।

৩,অর্থনৈতিক কারণ- এটাই মূলত প্রধান। সরকার বিমানবন্দর তৈরীর ঘোষনা দেয়ার সাথে সাথে আড়িয়াল বিল এলাকার আশে পাশে ৩/৪গুন দাম বেশী দিয়ে নুরুল ইসলাম বাবুল-নূর আলী সহ অনেক ব্যবসায়ী বিঘা জমি বায়না করেছেন। অর্থাৎ দিন যত যাবে জমির দাম তত বাড়বে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থরা পাবে সরকারী দাম। ধরুন সরকারী দামে আড়য়াল বিল এলাকায় জমির দাম, আছে ৩ লাখ টাকা ।

সরকার থেকে ক্ষতিপূরণ পেতে সময় লাগবে। ততক্ষনে আশে পাশের বসতভিটা তৈরীর জমির দাম হবে ৮০ লাখ বিঘা। এখন যার ১ বিঘা জমি আছে সে তার ক্ষতিপূরণ দিয়া ১ কাঠাও কিনতে পারবে না। যদি সরকার ক্ষতিগ্রস্থদের আশে পাশে বসতবাড়ীর তৈরীর জমির ব্যবস্থা সাথে সাথে ক্ষতিপূরণ হিসাবে নগদ টাকা দিতে পারে তখনই তাদের শান্ত করা সম্ভব হত। ৪, কিছু লোক বিপক্ষে কারণ এই বিমানবন্দরের নাম বংঙ্গোবন্ধুর নামে হবে।

এটা নিঝুম দ্বীপে হলেও বিপক্ষে যেত। ৫, কিছু লোক পরিবেশের কথা বলছেন। তারা আমাদের মত আড়িয়াল বিলের বাহিরের লোক জন। পরিবেশের কথা চিন্তা করলে অবশ্যই আড়িয়াল বিলে এত জায়গায় নিয়া বিমানবন্দর করার পক্ষে আমি নই। জলাশায় নষ্ট করার পক্ষে নই।

বরং ভালো হয় বুড়িগঙ্গার পাড়ে অথবা পদ্মার পারে জ়েগে ওঠা চড়ে রানওয়ে করা। তাতে কৃষি জমি এবং জলাশয় রক্ষা পাবে। পক্ষে কারা---- ১, যারা বিমানবন্দরের জন্য জমি একোয়ারের বাহিরে পরেছেন তারা খুবেই খুশি। কারন তাদের জমির দাম মুহুর্তের মধ্যেই আকাশ সীমায় পৌছে যাবে। আমার ধারনা যত লোক শ্রীনগর,দোহার এবং নবাবগঞ্জে বিমানবন্দরের বিপক্ষে তার চেয় বেশী পক্ষে।

এমন কি কেরানী গঞ্জের মানুষও। যদি আঞ্চলিকতার পক্ষে বলা হয় তবে আড়িয়াল বিলে বিমান বন্দর তাদের জন্য বেশী লাভজনক হবে। কারণ এর ফলে তাদের কর্ম সংস্থান হবে। বাড়ী ভাড়া বেড়ে যাবে হোটেল হবে,অফিস হবে ইত্যাদি। এক্ষেত্রে সরকার থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরন নিশ্চিত করতে হবে।

আড়িয়ালবাসীরা বিমানবন্দের বিপক্ষে না বুঝেই আন্দোলন করছে বলে আমার মনে হয়। তারা যদি তাদের স্বার্থ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারত তারা এই আন্দোলনে যেত না বলেই বিশ্বাস। কিন্তু আবার আমরা যদি সামগ্রীক দেশের চিন্তা করি আমাদের অবশ্যি উর্বর এবং জলাভূমিতে বিমানবন্দর করার বিপক্ষে আন্দোলন করা উচিত। কিন্তু বিশেষজ্ঞ থেকে নিশ্চিত না হয়ে নতুন বিমানবন্দরের দরকার নাই বা আছে এই রকম লাফ ফাল দেয়া দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ পায়।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.