আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'ঘাপটি মেরে থাকা ইন্ডিয়ান এজেন্ট'-বেগম খালেদা জিয়ার জানা ছিল না !

তবে একলা চলরে.......

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারাগারে তার চেয়ে বেগম জিয়াকে ভালো অবস্থায় রাখা এবং তাকে স্লো পয়জনিং করে হত্যা করার ষড়যন্ত্র টেনে এনে জেনারেল মইনের সাথে তার গোপন অাঁতাত আড়াল করতে চাইলেও ভারতের ‘আনন্দবাজার পত্রিকা' হাঁটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দিয়ে উল্লেখ করেছে যে, জেনারেল মইন তাদের কাছে ‘খালেদা বিরোধী' হিসেবে পরিচিত। কয়েকদিন আগেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে প্রদত্ত বক্তৃতায় জেনারেল মইনকে কয়েকজন জুনিয়রকে ডিঙ্গিয়ে সেনাপ্রধান পদে নিযুক্ত করার জন্য কটাক্ষ করে তাকে চারদলীয় জোটের লোক বলে প্রচার করেছেন। কিন্তু জেনারেল মইন যে ঘাপটি মেরে থাকা ইন্ডিয়ান এজেন্ট' সে তথ্য ভারত ও তাদের লোকাল বন্ধুদের জানা থাকলেও বেগম খালেদা জিয়ার জানা ছিল না। জেনারেল মইন তার লেখা ‘‘শান্তির স্বপ্নে- সময়ের স্মৃতিচারণ' বইয়েও উল্লেখ করেছেন যে, তার নিয়োগদানকারী সরকার বা ঐ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কখনও এ নিয়োগদানের বিনিময়ে ভবিষ্যৎ নির্বাচনে তাদেরকে জয়ী করে আনতে কোন রকম চাপ সৃষ্টি বা শর্তযুক্ত করেনি। তিক্ত সত্য হচ্ছে, তারপরও জেনারেল মইন বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের ওপর ঘৃণা ও নিষ্ঠুর আঘাতের পর আঘাত হেনেছেন। শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া এবং তাদের রাজনৈতিক উত্তরসূরী তারেক রহমানকে ভারত টার্গেট করে সরাসরি আঘাত না হেনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতিপয় নীতিচ্যুত প্রতিহিংসা পরায়ন শীর্ষ অফিসারদের দুর্বৃত্তপনায় মাঠে নামিয়ে দিয়েছিল। জাতিসংঘ প্রতিনিধি, ইউরোপীয় মিশনের কূটনীতিকবৃন্দ, কয়েকটি পশ্চিমা দেশের কূটনীতিককে সামনে এগিয়ে দিয়ে ভারত ও যায়নবাদী লবী বাংলাদেশে ক্ষমতার উত্থান-পতনের খেলায় অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছেন। জেনারেল মইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীকে বিভ্রান্ত ও ব্লাকমেইল করে দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। এরই কুফল বইছি আমরা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।