আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রবীন্দ্র প্রলাব



রবীন্দ্রনাথ, বাংলা সাহিত্যের অমর দিকপাল যার পদচারণায় বাঙালী তার নিজের পরিচয় পেয়েছে, বিশ্ব পেয়েছিল আরকেজন শেক্সপিয়ারকে । সেই বাংলা শেক্সপিয়ারের জন্মবার্ষিকী আসছে ২৫শে বৈশাখ । সারা বাংলা আবার উৎসবে মেতে উঠবে, আবার সব বাঙালী গাইবে - আগুনের পরশমনি ছোয়াও প্রাণে..... । সেই সাথে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর বাসিও গেয়ে উঠবে - আজি শুভদিনে পিতারও ভবনে অমৃত সধনে চল যাই.............। হ্যাঁ আমরা শাহজাদপুর বাসি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিবেশী।

প্রতিবেশী বলব কারণ আমাদের পূর্ব পুরুষগন দ্বারকায়নাথ ঠাকুররে হাজার হাজার বর্গমাইল জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করত আর যে গুলো দেখাশুনা করার জন্যই রবীন্দ্রনাথ আমাদের শাহজাদপুরে বসবাস করেছেন আর সৃষ্টি করেছেন তার অমর কবিতা - আমদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে............ এছাড়াও পোষ্ট মাষ্টারের মত বিশ্বজয়ী গল্প । ২৫ শে বৈশাখে আমরা শাহজাদপুর বাসি একটু আলাদা করে গুরুদেবের জন্মদিনটা পালনকরি .. . তিন দিন ব্যাপি রবীন্দ্র কাচারী বাড়িতে মেলা বসে সারাদিন গান, কবিতায় গুরুদেব কে স্মরণ করি আমরা । শহরটা যেন একটা উৎসব মুখর পরিবেশ ধারন করে । ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে মাঠের কৃষক, ঘাটের মাঝি সবাই আসে গুরুদেবকে স্মরণ করতে। তরুনীরা বৈশাখী সাজে আসে গুরুদেবের আঙ্গিনায়, তরুণেরা আসে এক এক জন ক্ষুদ্র রবীন্দ্রনাথ হয়ে।

যাই হোক এবার সেই উৎসবে মনে হয় আমার উপস্থিতিটা থাকছে না । খুব মিস করব, বার বার শাহজাদপুরকে মনে পড়বে গুরুদেবের জন্মদিনে । তবে পাঠক ভাই বোনদের নিমন্ত্রণ করলাম আমাদের ঐতি্হ্যে ভরা শাহজাদপুর ভ্রমনের জন্য , যে খানে আপনারা দেখতে পাবেন গরুর বাথান যাকে বাংলাদেশ জানে দুধের সাগর নামে , আরও দেখতে পাবেন সাত আউলিয়ার এক আউলিয়া বাবা শাহ মুখদম শাহ'র মাযার শরীফ , আরও দেখতে পাবেন সৃজনশীল মানুষের সংস্পর্শে থাকা সেই কারিগরদের উত্তরসুরিদের নিজ হাতে বুনা তাঁতের শাড়ীর কারখানা । আরও পাবেন তাঁতের কাপড়ের জন্য বিখ্যাত হাট শাহজাদপুরের কাপড়ের হাট যে হাট লাগিয়েছিলেন কবিগুরু নিজে । যে হাটের কাপড় এখন দেশ ছাপিয়ে বিদেশও রপ্তানী হচ্ছে।

সেই সাথে গুরুদেবের জন্মদিনের কেক খাওয়ারও নিমন্ত্রণ রইল আপনাদের। Click This Link


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।