আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

~নারী, ভালবাসা আর সমাজের নিষ্ঠুরতা~ (০০৪)

nothing 2 say write now!

সমাজের কোন শেষ নেই। কিশোর সমাজ... কিশোরী সমাজ... তরুণ সমাজ... তরুণী সমাজ... যুবক সমাজ... যুবতী সমাজ... পুরুষ সমাজ... নারী সমাজ... বাঙালী সমাজ... ইংরেজ সমাজ... আরও কত কি! আজ না হয় নারী সমাজের কথাই বলি... তার আগে বলতে চাই, ফ্রি... ফ্রি... ফ্রি... ফ্রি মন্তব্য করার সুযোগ! আসলে আমরা ফ্রি ছাড়া কিছু বুঝি নাতো, তাই বললাম। আরে ভাই, এখানে মন্তব্য করতে টাকা লাগে না। ~নারী, ভালবাসা আর সমাজের নিষ্ঠুরতা~ এর প্রত্যেকটি লেখার মতামত জানাবেন। তো আমি বলছিলাম যে, আজ না হয় নারী সমাজের কথাই বলি... শুরু করছি একটি দূর্ঘটনা দিয়ে যা আমরা হয়তো সবাই জানি।

নয়াদিগন্তে আমি পড়েছিলাম। মারিয়া ও তার এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিল। তারা একসাথে পড়াশুনা করত, চলাফেরা করত। আর আমি যতদূর জানি, মারিয়া একটু বড়লোক ছিল। একদিন মারিয়া ও তার বান্ধবী মারিয়ার বাসায় গেল।

তখন তার বাসায় কেউ ছিল না। তো তারা অনেক মজা করছিল। অনেকক্ষণ গল্প করে তারা গেল গোসল করতে। বাসায় কেউ নাই। তারাই এখন সর্বেসর্বা।

তো দুজন বান্ধবী একসাথে গোসল করল, মজা করল। দুষ্টামি করে তারা একে অপরের গোসলের ছবি তুলল। পরে মারিয়া তা মোবাইল থেকে মুছে দিয়ে তার বান্ধবীকেও মুছে দিতে বললে বান্ধবী বলে যে সে মুছে ফেলেছে। তারপরের দিন মারিয়া কলেজ যায়। সে তার বয়ফ্রেন্ডের মোবাইলে তার অশ্লীল ছবি দেখতে পায়।

তখনই সে বুঝে যায় এটা তার বান্ধবীর কাজ। এরপর সে দৌঁড়ে সেখান থেকে চলে যায়। আমি যতদুর পড়েছি যে, মেয়েকে আর খুজে পাওয়া যায় নি তখন। কেউ কেউ বলেছে, সে লজ্জায়, ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছে। জানা যায়, তার সে ছবি মোবাইলসহ বিভিন্ন অশ্লীল ওয়েবসাইটে পোস্ট করে সেই বান্ধবী আর সেই বান্ধবীর কোন এক ফ্রেন্ড মিলে।

জানতে পারি যে, এটা নিয়ে অনেক মামলাও হয়েছে। পুলিশি কর্মকান্ডও হয়েছে। এটা নিয়ে বেশ কয়েকদিন মাতামাতি হয়। তারপর? তারপর কি হয়? তা মহাসমুদ্রের পানির সাথে মিশে যায় চিরতরে। এভাবে প্রতিদিন অনেক ঘটনা হয়, আর আমরা ঝামেলায় জড়ানোর ভয়ে তা এড়িয়ে চলি।

কিন্তু যখন আমাদের বেলায় হয়, তখন আমরা আমাদের ভুল বুঝি, কিন্তু তখন আর কোন উপায় থাকে না। যদি সেই বান্ধবীকে তখন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া যেত, দ্বিতীয়বার কেউ এই কাজ করার আগে ১০০ বার ভাবত। তো, এটাকে আপনি বন্ধুত্ব বলবেন? মেয়ে হয় অন্য মেয়ের ক্ষতি করতে যে দ্বিধাবোধ করে না, তার চেয়ে অপদার্থ কেউ আছে বলে আমার মনে হয় না। যাইহোক, বন্ধুত্ব নিয়ে অন্যদিন বলব। এভাবে যে কত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, তার ইয়ত্তা নেই।

আমরা যারা জনগন, তারা পত্রিকায় খবর পড়ে হয়তো তা নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবি। তারপর যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই। আর প্রশাসন কয়েকদিন ঘাঁটাঘাঁটি করে তারপর সব চুপ। ফাইল বন্ধ করে দেয়। কোন কোন ক্ষেত্রে দোষীরা শাস্তি পায়।

কিন্তু এতে কি হয়? কয়েকদিন আবার একই ঘটনা হয়। দিনের পর দিন এই জাতীয় ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। আমরা বাঙালীরা কি করছি। আর যদি কোন নারীর কিছু হয়, আত্মহত্যা করে বা তাকে কেউ রেপ করে... তখন কি হয়? আমরা দোষ দেই নারীর। সে আত্মহত্যা করেছে, আমরা বলি, আজকাল মেয়েদের একটাই কাজ, প্রেম কর আর আত্মহ্ত্যা কর।

কিন্তু আমরা কখনই তাদের মনটাকে বুঝতে চাই না। আর তা শুধু নারীদের বেলায় হয় না, ছেলেদের সাথেও হয়। আর কেউ বলাৎকারের শিকার হলে তাকে খারাপ চোখে দেখি। কিন্তু কেন? সে তো কোন দোষ করেনি। বরং তার উপর জুলুম হয়েছে।

আবার কোন কোন সময় হয়তো দোষীর শাস্তীর ব্যবস্থা হয়। কিন্তু সেই দোষী কয়েকদিন পর আবার এসব শুরু করে। আমরা সবই জানি। কিন্তু বলি, করার কিছু নাই। আর সেইজন্য আজও বাংলা পিছিয়ে আছে।

বাইরে থেকে বা বাহ্যিকভাবে বাংলাকে শীর্ষে নিয়ে কোন লাভ নেই যদি আমরা ভেতরের ময়লাকে পরিষ্কার করতে না পারি। দিনের পর দিন নারীরা আত্মহত্যা করে যাচ্ছে আর আমরা হাতে হাত রেখে বসে আছি। আমরা কখনও এগিয়ে আসি না। হায়! কখনও বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয় না। এই বখাটেদের সৃষ্টি হয় কিভাবে? আমরাই তো করি।

এটা নিয়ে পরে বলব। এখন কারেন্ট চলে গেছে! আজকাল যা অবস্থা লোডশেডিংয়ের!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.