আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

~নারী, ভালবাসা আর সমাজের নিষ্ঠুরতা~ (০০৩)

nothing 2 say write now!

(দ্য়া করে এই সামু ব্লগে আর http://personallyabid.wordpress.com -এ আপনার মতামত জানাবেন ও রেটিং করবেন। ) শিশু... কিশোর... তরুণ... যুবক... বৃদ্ধ... মৃত্যু... বন্ধু... সখি... সাথী... মিত্র... ফ্রেন্ড... পার্টনার... ভালবাসা... প্রেম... লাভ... ইশক... মহব্বত... পেয়ার... প্রতারণা... ছলনা... ধোঁকা... বিট্রে... ফাঁদ... আত্মহত্যা... পবিত্র ভালবাসা..... সবার আগে সেই কথাটা আবার বলতে চাই যে, ভালবাসা কোন খেলা নয়, এটা কোন লোক দেখানো কোন অনুভূতিও নয়। আজকাল এমন অবস্থা হয়েছে, ভালবাসা এখন টিস্যুর মত মানুষ ব্যবহার করছে যেন এটা কোন অনুভূতি নয়, এটা একটা বস্তু। আধুনিকতার নামে চলছে জীবনের বিনাশ, চলছে প্রতারণা। আগে ভালবাসার শুরুতে পবিত্র কথাটা ব্যবহার করতে হত না।

কারন, ভালবাসা মানেই ছিল পবিত্রটা। আর এখন ভালবাসা মানে অপবিত্রতা। কিছু বলার আগে আমি আগের পোস্টের কিছু প্রাসঙ্গিক কথা তুলে ধরতে চাই, ### "আমরা মনে করি ভালবাসা হল লাইফ ইন্জয়ের যাস্ট একটা মাধ্যম, আর কিছুই না। তাই, আমাদের চলাফেরার মাঝে যে দেখতে খুবই সুন্দর, তাকে আমরা মন দেই। ধরলাম, আপনার ভালবাসা সত্য।

কিন্তু আপনি যত যাই বলেন, এটা আপনার মনের ভালবাসা না। এটাকে বলতে পারেন, বিপরীত লিঙ্গের শরীরের প্রতি ভালবাসা। আর এটা কখনই সত্য ভালবাসা হতে পারে না। কারন, আপনি যখন আরেকটু বড় হবেন তখন আরও সুন্দর ও ফর্সা মানুষের দেখা পাবেন। ভালবাসা হয় দুই হৃদয়ের মাঝে।

এখানে শরীর কোন বিষয় না। আর সেজন্য হয়তো, পৃথিবীতে এমন মানুষও আছে যারা তাদের ভালবাসার শরীর (চেহারা) না দেখেই তার মনকে ভালবাসে, সে কালো হোক বা ফর্সা। আর বিয়ের আগে তার শরীরকে টাচ করার চিন্তাও মাথায় আনে না। আর এটাই হচ্ছে পবিত্র ও সত্য ভালবাসা। আপনি হ্য়তো বলবেন, ভালবাসার মাঝে আবার বিয়ে আসলো কোথা থেকে।

কিন্তু এই বিয়েই হচ্ছে সত্য ভালবাসার প্রতীক। কিন্ত হায়, আজ এমন অবস্থা হয়েছে যে ভালবাসার জন্য একজনকে, বিছানার জন্য অন্যজনকে আর সামাজিকতা রক্ষার্থে বিয়ের জন্য আরেকজনকে বাছাই করি। "" ### আজকাল আমাদের যা হয়, খুব সুন্দর আর ফর্সা দেহের কাউকে প্রপোজ করি অর্থাৎ প্রেম নিবেদন করি। তারপর বন্ধুতের সামনে নিয়ে অহংকার করি। তার সাথে বেইলী রোড, সেরাটন হোটেল বা পিজা হাটে সময় পাস করে বড়লোকি দেখিয়ে মজা পাই।

একদিন বসুন্ধরা সিটি'র গ্রীণ সল্টে যাই যদিও সেখানে খাবারের দাম তুলনামূলক একটু বেশি। যাইহোক, কিছুক্ষণ পর দেখলাম, পাশে এক মেয়ে বসে আছে। একটুপর মেয়ের হুকুম পেয়ে তার তথাকথিত প্রেমিক তার জন্য ফুড (খাবার) নিয়ে এল। মেয়েটি দুই কামুর খেয়ে তা ফেলে দিল। এত ধং দেখাচ্ছিল যে, আমার নিজেরই অসহ্য লাগা শুরু হল।

ছেলেটি আরেক খাবার নিয়ে এল। সেটিও মেয়েটি দুই কামুর খেয়ে অন্যকিছু আনতে হুকুম দিল। এভাবে একের পর এক প্রায় ৫/৬ বার খাবার নষ্ট করল। এমনকি শেষ খাবারও খেল না। তার কিছুই হল না, অথচ ছেলের কমপক্ষে ২০০০/২৫০০ টাকার মত গেল।

যদি এই টাকা কাজে লাগত তাও হত। কিন্তু সব টাকা নষ্ট হল। অথচ কত মানুষ যে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। আমরা এদের জন্য কোন টাকা খরচ করছি না। হায়! আর ইসলামে স্পস্টই বলা আছে, "অপচয়কারী শয়তানের ভাই।

" যাইহোক, আমি বলছিলাম যে, তার সাথে বেইলী রোড, সেরাটন হোটেল বা পিজা হাটে সময় পাস করে বড়লোকি দেখিয়ে মজা পাই। তারপর তার সাথে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হই। আসতে আসতে তার পরিমাণ বাড়তে থাকে। আবার কিছু সময় দেখা যায়, তাকে ভোগ করে তৃপ্তি পেয়ে গেলে তাকে ত্যাগ করি। এতে পরিণতি হয় আত্মহত্যা।

এসবকে কি আমরা পবিত্র ভালবাসা বলব? আগেকার দিনে ভালবাসা পবিত্র ছিল। তারা হৃদয়ের মিলনে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে একে অপরকে ভালবাসত, পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হত। তারা তাদের ভালবাসাকে সম্পুর্ণ বিশ্বাস করত। আর এখন? হায়! আপনার ভালবাসা যদি পবিত্র হয় আর তা যাচাই করতে চান, তাহলে... ১। আপনি বিয়ের আগে কখনও তার গাঁয়ে স্পর্শ করা তো দূরে থাক, স্পর্শ করার চিন্তাও মাথায় আনবেন না।

২। আপনি কখনও বড়লোকি ভাব দেখাবেন না। অপচয়তো করবেনই না। তার কথা আপনার পছন্দ না হলে সরাসরি বলবেন। ৩।

তাকে আপনার আসল চেহারাটি দেখাবেন। ৪। তার সাথে আলোচনা করবেন ইসলাম বা আপনার নিজের ধর্ম নিয়ে। ৫। তার মতামতকে গুরুত্ব দিবেন, কিন্তু গোলামি করবেন না।

৬। তাকে বুঝার চেষ্টা করবেন আর নিজের স্বরূপকে তুলে ধরবেন। ৭। তার সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হবেন না, হবেন তার গুনে। ৮।

তার সৌন্দর্যের প্রশংসা অনেক বেশি করবেন না, করবেন তার গুনের। ৯। তার খারাপ দিকটি তার সামনে তুলে ধরবেন আর সে কিছু বললে তাও শুনবেন। ১০। আর একটি বিষয় খেয়াল করবেন যে তার চরিত্রটি কেমন।

১১। দেখবেন, সে হোটেলের বয়দের সাথে কিভাবে কথা বলে। ১২। হোটেলে বা রেষ্টুরেন্টে গিয়ে প্রথমে কি বলে। ১৩।

খাওয়া অর্ডার থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত তাকে লক্ষ করবেন। ১৪। আর অবশ্যই এই কাজটা করবেন যে, দোকানে গিয়ে বার্গার, রোস্ট বা পেপসি ইত্যাদি দুইটা না নিয়ে একটা নিয়ে ভাগ করবেন। দেখবেন সে কি করে। ১৫।

আর সেই সাথে দুই প্লেট নয়, এক প্লেট রাইস বা পোলাও বা নুডুলস জাতীয় কিছু কিনে দুইজনে মিলে খাবেন আর তাকে কিছু টাকা দিতে বলবেন। ১৬। আর আপনি যদি এখনও আয়-উপার্জনের পথে পা না দিয়ে থাকেন, তাহলে একটি পরীক্ষা করবেন। কথার ছলে ছলে তার মোবাইলে বা তাকে টাকা দিবেন। স্বাভাবিকভাবেই সে তা গ্রহন করবে।

যদি করে, তাহলে বুঝবেন, ভবিষ্যতে আপনার আর তার মাঝে টাকা নিয়ে ভুল বোঝবোঝিসহ অনেক সমস্যা হবে। আপনাদের জীবন নরকেও পরিণত হতে পারে। এও খেয়াল করবেন সে আপনার কাছে ঘন ঘন টাকা চায় কিনা... কিন্তু সে যদি বলে 'তুমি তো এখনও স্কুলের শেষ সীমানা পাড় করেনি, (বা কলেজে পড়লেও) এখনও উপার্জন করোনা বা সবে মাত্র কিছু টাকা উপার্জন শুরু করেছ। তুমি এই টাকা আমাকে কেন দিচ্ছো? তোমার উচিত এ টাকা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য জমা রাখা যাতে যখন ভাল করে উপার্জন করবে, তখন তুমি আমাদের চাহিদা পূরণ করতে পারো স্বাচ্ছন্দ্য মনে। ' তাহলে বলব, আপনি খুশিতে টানা ২৪ ঘন্টা লাফালাফি করুন! কারন, তার এই ধরণের কথাই প্রমান করে যে সে শুধু ভাল বুঝে তাই নয়, আপনাকেও সে অনেক বুঝে, যত্ন করে আর মন থেকে ভালবাসে।

কখনও যদি দূরভাগ্যক্রমে আপনার সব টাকা পানিতে ভেসে গিয়ে আপনি রাস্তায় এসে পড়েন, তখনও সে আপনার পাশে থাকবে। আর আপনি নিজেকে খুব ধনী মনে করবেন না, কারন, আজ আপনার হাতে টাকা, কালকে সেই টাকা হবে অন্যের। ** আপনি কখনই একা কোন কাজে টাকা দিবেন না। তাকেও মিলেমিশে টাকা দিতে বলবেন। *** মাঝে মাঝে তাকে বুঝাবেন যে আপনার কাছে অমুক সময়ে খুব বেশি টাকা নেই, তাকে দিতে বলবেন আর তার কাছে টাকা ধার চাবেন।

এতে লজ্জার কিছু নেই। দেখবেন, সে দেয় কিনা, কতবার তাকে বলার পর দেয়, কি বলে টাকা দেয়, কোথা দেখে টাকা দেয় ইত্যাদি। এতে আপনার ভবিষ্যতের অনেক সমস্য থেকে অগ্রিম মুক্তি পাবেন। সে কতটুকু ধর্ম পালন করে তাও দেখবেন। এসব কিছু শুনতে লজ্জা কিংবা অদ্ভুত মনে হতে পারে।

কিন্তু, এতে আপনার জীবনই ধন্য হবে। আর এসবই হল ইসলামের আলোকে পবিত্র ভালবাসা। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে পবিত্র ভালবাসায় জীবন গড়ে তুলুন। ইসলামে পবিত্র ভালবাসার মূল্য অনেক। তাই অন্যের পবিত্র ভালবাসাকে সম্মান করুন।

সমাজ তাদের পক্ষ না নিলেও আপনি নিন। ধন্যবাদ, আমার জন্য দোআ করবেন, সবার জন্য আন্তরিক ভালবাসা রইল, আল্লাহ হাফেজ। (দ্য়া করে এই সামু ব্লগে আর http://personallyabid.wordpress.com -এ আপনার মতামত জানাবেন ও রেটিং করবেন। )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.