আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আক্কেল কম কোম্পানির লোকেরা!

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

গতকাল বৈশাখের প্রথমদিন একটু নিরিবিলিতে কাটানোর জন্য গিয়েছিলাম এক গ্রামীণ রিসোর্টে। গাজিপুরের মাস্টারবাড়ি এলাকায় রিসোর্টের নাম থার্ড টেরেস রিসোর্ট। চমৎকার সুন্দর জায়গা। আমরা, মানে আমার ছেলে-মেয়ে আর তাদের দুইখালার পরিবারের ১৫জন।

আমরা সকাল ১১টার দিকে সেখানে গিয়ে পৌছেছি। পুকুর পাড়, গাছাগাছালি - মহা সুন্দর জায়গা। সেখানে আরো এক টি দল আগে থেকে ছিল। শুনলাম পান্তা খেয়ে গেছে জনা পঞ্চাশেকের আরো একটি দল। রিসোর্ট কর্মীরা সবারই যত্নআত্তি করেছে।

তবে, আমাদের মনে হলো অন্য দল যারা আগের রাত থেকে সেখানে তারা আমাদের দেখে খুবই বিরক্ত। খবর নিয়ে জানলাম ওরা রিসোর্টের চারটি কক্ষ ভাড়া করলেও সম্পূর্ণ রিসোর্ট ভাড়া করেনি। যে কারণে রিসোর্ট কতৃপক্ষ আমাদেরও দিয়েছে। যাহোক, দুপুরে খাওয়ার সময় হলে পড়ে রিসোর্টের ম্যানেজার এসে জানতে চাইলো আমরা কখন খেতে চায়। কারণ ঐ পক্ষ দুপুর ২টার সময় খেতে চেয়েছে।

তা আমরা বললাম তাহলে আমরা ওদের পড়ে খাবো। তা ম্যানেজার বলে গেল তাহলে আড়াইটা পৌনে তিনটের সময় আমরা খেতে পারবো। তারপর আমরা দেখলাম ভেলকি। রাজামশায়রা আর খেতে যান না। ওনারা খেতে গেলেন আড়াইটার পর।

তারপর খাওয়ার পর টেবিলে বসে গল্প করতে লেগে গেলেন। অথচ দেখেছে যে, আমাদের দলে কিছু ছোট্ট শিশু আছে। ওদের টাইম মতো খাওয়া দরকার!!! বোঝাই গেল আমাদের খাওয়া দাওয়া বিলম্ব করানোই ওদের ইচ্ছে। আমি খুবই অবাক হলাম। কারণ মানুষের মন যে এতো কাল হইতে পারে তা আমার জানা ছিল না! পড়ে জানলাম ওরা আক্কেলকম নামের একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় নাকি চাকরি করে।

হায়রে মানুষ!

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.