আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিয়ন্ত্রণ আসছে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ায়

বাংলাদেশ ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়ন্ত্রণ আসছে। জোরেশোরে চলছে এটি বাস্তবায়নের কাজ। এ জন্য ইন্টারনেট গেটওয়েগুলোতে (আইআইজি) বিশেষ প্রযুক্তি স্থাপনের উদ্যোগ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোসহ ইন্টারনেট ব্যবস্থায় নজরদারিতে (ফিল্টারিং) বিশেষ প্রযুক্তি বসানোর জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পেয়েছে সরকার। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একটি সুত্র জানিয়েছে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে বিশেষ প্রযুক্তি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা হতে পারে।

এদিকে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিষয়ে দেশের টেলিকম বিশেষজ্ঞরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তাদের অভিমত, ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের আইটি সেক্টরে। নিয়ন্ত্রণ সফটঅয়্যার বা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যে কারো ব্যক্তিগত একাউন্টে সহজেই প্রবেশ করা যাবে এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। সূত্র আরো জানায়, এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত ৮ এপ্রিল আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ‘ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন’ চেয়ে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেয়। এই আগ্রহপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল গত ২০ মে।

কয়েকটি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট সলিউশনস প্রোভাইডার কোম্পানি গত রবিবার বিটিআরসিতে আগ্রহপত্র (এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট)জমা দিয়েছে। এগুলো যাচাই বাছাই করে পুরো প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। প্রতিটি আইআইজিতে এ প্রযুক্তি বসানোর পর ইন্টারনেটের নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণের মূল ক্ষমতা থাকবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হাতে। এদিকে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিষয়ে দেশের টেলিকম বিশেষজ্ঞরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তাদের অভিমত, ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের আইটি সেক্টরে।

এটা একদিকে যেমন ব্যবহারকারীদের মাঝে ভীতির সৃষ্টি করবে, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অনলাইন ভিত্তিক আর্থিক ও সামাজিক কর্মকা-। সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়, সমাজ, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায়-এমনসব আপত্তিকর পোস্ট বন্ধ করার যুক্তি দেখানো হলেও, ভিন্নমত পোষণকারী সংবাদ, অনলাইন নিউজ এজেন্সিগুলোও এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। যা স্বাধীন মত প্রকাশের পরিপন্থী। এছাড়া এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলে ফেইসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কারো ব্যক্তিগত একাউন্টে প্রবেশ ও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকবে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে। এ প্রসংগে গতকাল সংসদ ভবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে ‘ফিল্টার’ বসানোর সিদ্ধান্তকে নিয়ন্ত্রণ হিসেবে না দেখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিগত কয়েক মাস যাবৎ কয়েকটি অপশক্তির উত্থান হয়েছে।

এরা বিকৃত তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচার করে ধর্মীয় উন্মাদনার সৃষ্টি চেষ্টা চালিয়েছে। এগুলো বন্ধ করতেই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রযুক্তি চালুর পর ফেইসবুকের আপত্তিকর বিষয় বাদ দেয়া সহজ হবে। ফলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করার আর প্রয়োজন হবে না। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে যাতে আপত্তিকর বিষয়গুলো দেখা না যায়- তা নিশ্চিত করতে ‘বিশেষ প্রযুক্তি’ ব্যবহার করবে সরকার।

আইআইজিগুলোত ফিল্টারিং বা বিশেষ প্রযুক্তি স্থাপনের ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন বিঘœ সৃষ্টি হবে কি না- এই প্রসংগে বিটিআরসি’র একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিশেষ প্রযুক্তি স্থাপনে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে, এমন ইন্টারনেট নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করে দিতে হবে যাতে মূল সাইট চালু রেখেই সহজে আপত্তিকর বিষয়গুলো ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলা যায়। এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমন হবে, যাতে আইআইজিগুলোতে বসানোর পরও ইন্টারেনেটের গতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না এবং আইআইজিগুলো নির্বিঘেœ ব্যবসা করতে পারবে। আইআইজিগুলোতে এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বসানোর পর ওয়েব ইন্টারফেসের মাধ্যমে এর মূল নিয়ন্ত্রণ থাকবে বিটিআরসির প্রধান কাযালয়ে। ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে সলিউশনস প্রোভাইডারকেও সার্বক্ষণিক সহায়তা দিতে হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৬টি আইআইজি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এসব প্রতিষ্ঠান ব্যন্ডউইডথ নিয়ন্ত্রণ ও পাইকারি ব্যান্ডউইথ আইএসপিগুলোকে বিক্রি করে। আর আইএসপিগুলো গ্রাহক পর্যায়ে সেবা দেয়। লিংক  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.