আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোলা - ৩ উপনির্বাচনে জসিম নন, শাওনই আ. লীগ প্রার্থী

ফুলের সৌরভে সুরভিত কলমের কণ্ঠস্বর

ভোলা-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে মো. জসিমউদ্দিন নন, মো. নুরন্নবী চৌধুরী শাওনই আওয়ামী লীগ প্রার্থী। দলের উপ দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস জানান, পার্লামেন্টারি বোর্ড তাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। ২০০৪ সালের ৩১ আগস্ট সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয় জসিমউদ্দিনকে। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক অবসরের পর পাঁচ বছর পার না হওয়া পর্যন্ত কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। পাঁচ বছর পার হওয়ার আগেই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন জসিম।

গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তার সংসদ সদস্যপদ অবৈধ ঘোষণা করে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে জসিম উদ্দিনের আবেদন ১৮ অক্টোবর খারিজ করে আপিল বিভাগ। গত ৩ ফেব্র"য়ারি নির্বাচন কমিশন ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে। এ আসনে নির্বাচনে নিতে ইচ্ছুক চারজনের মধ্যে একজনের মনোনয়নপত্র বুধবার বাতিল হয়। ভুল তথ্য দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফারুক ফরাজীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয় বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান জানান।

আওয়ামী লীগের মো. জসিমউদ্দিন ও মো. নুরন্নবী চৌধুরী শাওন এবং বিএনপির হাফিজউদ্দিন আহমেদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। শাওনকে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করায় হাফিজের সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ৮ এপ্রিলের মধ্যে। আগামী ২৪ এপ্রিল ওই আসনে ভোট হবে। বুধবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়।

হাসানুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সম্মতি স্বাক্ষর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়। ফারুক ফরাজী স্বাক্ষরের যে তালিকা জমা দিয়েছেন তার মধ্যে কিছু স্বাক্ষর ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯২৬। ভোট কেন্দ্র ৮৬টি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।