আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুকের সম্পর্ক ছড়াচ্ছে যৌনরোগ!

পরে বলবো

ফেসবুক নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। ইদানীং একটু বেশিই হচ্ছে ব্রিটেনে। এর কারণ ফেসবুকের মাধ্যমে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে এক তরুণীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা ঘটেছে সেখানে। মাত্র ক’দিন আগের এ ঘটনা। এখনো তরতাজা।

এমনিতেই ব্রিটিশরা ভীতু। ফলে ফেসবুক তাদের নতুন চিন্তার কারণ হয়েছে। ব্রিটেনের টিস-সাইড এলাকার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর পেটার কেলি জানিয়েছেন, তার কর্মীরা যুবতীদের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের একটি সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। এর সঙ্গে ফেসবুকেরও সম্পর্ক আছে। তিনি বলেন, সিফিলিস একটি বিধ্বংসী রোগ।

অরক্ষিত যৌনাচারের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ানোর মাত্রা খুবই বেশি। ইদানীংকালে যুবতী বা কম বয়সী মহিলাদের মধ্যে এই রোগের মাত্রা বাড়ছে। জার্মানির একটি বার্তা সংস্থা কেলির বক্তব্য উদ্বৃত করে বলে, কারা কারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে তা কেলি নাম ধরে বলতে পারেন নি। তবে তিনি বলেছেন, আমার কাছে পরিসংখ্যান রয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে এসব আক্রান্তের মধ্যে অনেকেই ফেসবুক বা সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে সঙ্গী খুঁজে নিয়েছিলেন।

কেলির দাবি সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো অসতর্ক যৌনতার পথ সহজ করে দিচ্ছে। ব্রিটেনের টিস-সাইড এলাকায় গত বছর ৩০টি সিফিলিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নথিভুক্ত রয়েছে। তবে এ রোগে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলেও মত অনেকের। অবশ্য ফেসবুকের এক মুখপাত্র এই খবরকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তার বক্তব্য, বর্তমানে ফেসবুকের ব্যবহারকারী ৪০০ মিলিয়ন।

আমাদের এই ওয়েবসাইট অসতর্ক যৌনতার প্রতি মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য নয়, বরং এটি এমনই এক জায়গা যেখানে বন্ধুরা তাদের সম্পর্কের পরিধি আরো জোরালো করতে পারবে। ওদিকে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ১৩ বছরের কম বয়সী এক চতুর্থাংশ শিশুরাই নাকি ফেসবুক বা এধরণের ওয়েবসাইটে একাউন্ট রয়েছে। আর এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ শিশুর শোবার ঘরেই রয়েছে কম্পিউটার! অথচ ১৩ বছরের নিচের বয়সীদের ফেসবুকে প্রবেশ নিষিদ্ধ। এরপরও শিশুদের এমন ফেসবুক ব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। কারণ, অনেকেই মনে করেন শিশুদের জন্য নিরাপদ কোনো ব্যবস্থা এখনো তৈরি হয়নি ফেসবুকে।

আর তাই শিশুরা নানা ধরণের নিগ্রহের শিকার হতে পারে সেখানে, একইসঙ্গে মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ফেসবুক থেকে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.