আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালের চিৎকার----২ (২৫ মে কাজী নজরুলজয়ন্তি উপলক্ষে) কাজী নজরুলঃআমাদের অনুপ্রেরণা (জাতীয় কবির সাংবিধানিক স্বীকৃতি এখনো মেলেনি)

"কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন মনেপ্রাণে বিপ্লবী। তিনি বিদেশি শাসকবিরোধী এবং জাতীয়তাবাদী হয়েও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমালোচিত ‘ভদ্রলোক জাতীয়তাবাদে’র পরিবর্তে সর্বজনীন অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। বিদেশি রাজ্য পতন করে পরাধীন দেশকে মুক্ত করার সশস্ত্র সংগ্রামে বিশ্বাসী ছিলেন নজরুল। তার যাতায়াত ছিল তৃণমূল স্তরে এবং লৌকিক সংস্কৃতির অন্দরমহলে; গ্রামনগরকে একাকার করে পরাধীনতা থেকে দেশের মুক্তি অর্জন যেমন, তেমনি শিক্ষিত তরুণের আত্মদানে, শ্রমিক-কৃষকের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে। যেমন দেশ-জননীর কাছে একটি সন্তান ভিক্ষা চেয়েছেন নজরুল, তেমনি চেয়েছেন কৃষক-শ্রমিকের কাস্তে-হাতুড়ির সংগ্রামে অগ্রচারীর ভূমিকা" কার গান লাগে ভাল, সেত নজরুল- সেত নজরুল, কার সুর লাগে ভাল, সেত নজরুল- সেত নজরুল, কার লেখনী বলে কথা,চির লাঞ্ছিত আর সর্বহারাদের ব্যাথা তাও নজরুল ,সেত নজরুল ।

(শফি চাকলাদার) চুরুলিয়ার স্কুল পালানো ছেলেটি অনেকের মত সোনার চামুচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহন করেননি। হয়তবা সেজন্যই, লোকে তাকে বলত দুখু মিয়া। কিন্তু সেই দুখু মিয়াই আমাদের মাজে এসেছেন বাংলার জনমানুষের কবি হিসেবে। যিনি আজিবন বাংলা কাব্য সাহিত্ত চর্চায় ব্রতি ছিলেন । যিনি ছিলেন বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারি, যিনি দেশের স্বাধীনতা ও মানবিক মযদা প্রতিষ্ঠার জন্য জালেম শাসক গুষ্ঠির অন্যায়ের বিরুদ্দে কলমকে অস্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে বন্দি জীবন কাতিয়াছেন।

যার কবিতা,হামদ্‌ , নাত,গজল প্রায় প্রতিটি বাঙ্গালি মানুসের হৃদয়কে করেছে জাগরিত। যিনি ছিলেন একাদারে শ্রমিক, সৈনিক,কবি, সাহিত্যিক,অন্যায়ের বিরুদ্দে প্রতিবাদি এবং একজন খাতি দেশপ্রেমিক ,তিনিই হচ্ছেন জনমানুষের কবি নজরুল। তিনি ১৩০৬ সালের ১১ ই জ্যৈষ্ঠ মোতাবেক ১৮৯৯ সালের ২৫ শে মে বধরমান জেলার আসনলল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। কাজী নজরুল ইসলাম। একটি নাম যার সকল তুন-মন-প্রান জুড়ে ছিল মানুষের কল্যাণ কিভাবে করা যাবে তারেই চেতনা।

চুম্বকের যেমন এক্তা ক্ষমতা রয়েছে, কাজী নজরুলের লেখায় তেমনি আকর্ষণ আছে পাঠক সমাজে। কাজী নজরুলের লেখা শুধু হিন্দু- মুসলিম নয় নির্বিচারে হৃদয় জয় করেছে। তাই তিনি বলেছেন, “ হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞেস কন জন? কাণ্ডারি বল ডুবিছে মানুস,সন্তান মোর মা’র” নজরুল অগনিত মানুষের বিপুল ভালবাসা ও শ্রদ্দার আসনে অসিন হয়েছেন। তার অসম্প্রদায়িক চেতনা ও নির্যাতিত নিপরিত জনতার প্রতি গভীর দরদের জন্য। তার লেখা গান,কবিতা উপন্যাস ,গল্পের মধ্যে খুজে পাই ভাষার নান্দনিকতা।

মানুষের হৃদয়ের চিরন্তন কমল-মধুর অনুভূতি গুলো তার রচনায় ভাষার নান্দনিকতা প্রকাশ করেছে। তাই তিনি জনমানুষের কবি। নজরুল। সত্য প্রকাশের এক প্রজ্জলিত নাম। তিনি কারও বিরুদ্দে কথা বলতে কণ্ঠ রুদ্দ করতেন না।

তিনি বলেছিলেন, “ নিজেদের কওমের যদি মঙ্গল করতে চাও, তবে তার জন্য অপর কাউকে গাল দেওয়ার দরকার হবেনা। যারা অপরকে গালি দিয়ে ‘কওম’ ‘কওম’ করে চিৎকার করে তারা ঐ এক পয়সার মক্কা-মদিনা দেখানওয়ালাদের মত । কাওমের খেদমত করতে করতে কাওম হচ্ছে গরিব হয়ে, আর গড়ে ওঠেছে নেতাদের দালান ইমারাত” একদম সত্য কথা বলতে গেলে আজ এই কথাটা মিথ্যা কেও বলতে পারবে? এদেশের রাজনিতির চরিত্র এখনও কি এর থেকে বদলাচ্ছে? আর যদি রাজনৈতিক পরিবত্তন ঘটতো তাহলে নজরুল সাংবিধানিক স্বীকৃত পেত। নজরুল যদি স্বীকৃত পান তাহলেত তার কোটেশন তুলে দরতে হবে। কিন্তু গদিতে যারা আছেন তারা কি তা উচ্ছারন করবেন।

নজরুল তাইত আগেই লিখেছেন “মাটিতে যাদের ঠেকেনা চরন, মাটির মালিক তাহারাই হন। যে যত ভণ্ড ধড়িবাজ আজ সেই তত বলবান.........”। । কিংবা, “প্রাথনা কর যারা যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ মুখের গ্রাস যেন লেখা হয় আমার রক্ত লেখায় তাদের সরবনাশ” শফি চাকালাদারের ভাষায় –এমন সরবনাশ যাদের উদ্দেশ্যে নজরুলের অভিশাপ তারা কি খকন নজরুলের স্বীকৃতি দিবে? কবি নজরুল । একটি বিপ্লবি কণ্ঠের নাম।

বিদেশি রাজ্য পতন করে পরাধীন দেশকে মুক্ত করার সংরামে বিশ্বাশী ছিলেন তিনি । তাই তিনি কলমকে অস্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তার গানে, যুগবানীর কলামে,ধুমকেতুর সারথীর বয়ানে বিপ্লবের গাথা পরিবেসিত। তিনি লিখেছেন- “এদেশ ছাড়বি কিনা বল নইলে কিলের ছোটে পিঠ করিব জল” আজ আমরা স্বাধীন হলাম । মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাশ নেওয়ার অধিকার পেলাম।

কিন্তু যে মহান ব্যক্তিটি তার কলম শক্তি দারা উদ্ভদ্ব করেছিলেন আমরা জাতি হিসাবে আজ ব্যথ তাকে মুল্যায়িত করতে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি জরিপ অনুসারে বাংলাদেসের বেশির ভাগ তরুনের চেতনার মানুষ হচ্ছে কাজী নজরুল ইসলাম। তাই আমাদের দাবি গন মানুষের চেতনার কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সাংবিধানিক ভাবে জাতীয় কবির স্বীকৃত দেওয়া হোক। পরিশেষে নজরুলের ইতি টানছি- “মানসী আমার ! মাথায় কাতা নিয়েছিলুম বলে ক্ষমা করনি, তাই বুকের কাটা দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করলুম” সুত্রঃ ১,জাতীয় কবি নজরুল ইসলামঃ নানা প্রসঙ্গ-শফি চাকলাদার ২,বিশ্বের শ্রেষ্ঠ একশ মনিশী-মাইকেল এইচ। হার্ট ৩,নজরুলের ছোটগল্প ৪, নজরুল গবেষক শাহাবুদ্দিন আহমেদের কিছু লেখা ৫, দৈনিক আমারদেশ ৬, দৈনিক প্রথম আলো ৭,ভুমিকা,আহমেদ রফিক  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।