আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামের দৃষ্টিতে সুদের সামাজিক কুফল

রাজশাহীকে বলতে চাই এবং শুনতে চাই আইটি নগরী

আল্লাহ তালা সর্ব কালের সকল ধনী আদমের জন্র্য একদিকে যেমন ব্যাবস্যাকে বৈধ করেছেন , অন্যদিকে সুদ ও সুদভিত্তিক ব্যাবসা বা কার্যক্রমকে চিরতরে হারাম করেছেন। অর্থনীতিতে শোষনের অবসান ও জুলুমের বিলাপ সাধনের জন্য সর্ব প্রথম ও সর্ব প্রধান যে মোক্ষম আঘাতটি আসে তা হল সুদ । সুদের মত সমাজ বিধ্বংসী অথনৈতিক হাতিয়ার আর দুটি নেই । সুদের কুফলের প্রতি আমরা একটু লক্ষ করলেই বুঝতে পারবো সুদকে কেন চিরতরে হারাম করা হয়েছে । সুদের কুফল অত্যান্ত ব্যাপক ও সুদুর প্রসারী ।

এর আর্থ সামাজিক কুফল ধ্বংস কারিতা সব চাইতে বেশী । সুদ সমাজ শোষনের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম বা উপায়। একদল লোক বিনাশ্রমে অন্যের উপার্য়নে ভাগ বসায় । সুদের সাহায়্যে ঋন গ্রহিতা যে কারনে ঋন নেয় , সে কাজে তার লাভ হোক বা না হোক মহাজনের সুদের অর্থ পরিশোধ করতেই হয় । এর ফলে বহু সময়ে ঋন গ্রহিতাকে স্হাবর অস্হাবর সম্পদ বিক্রি করে গলেও সুদ সহ সসকল প্‌োনা পরিশোধ করতে হয় ।

সুদ গ্রহিতা হচ্ছে সমাজের পরগাছা । এরা বিনাপরিশ্রমে অন্যের অন্যের উপাজন ও সম্পদে ভাগ বসিয়ে জীবন যাপন করে । উপরন্ত বিনাশ্রমে অর্থ লাভের ফরে সমাজের প্রতক্ষ অথনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের কোন অবদান থাকে না । সুদের কারনেই সমাজের দরিদ্র শ্রেনী আরও দরিদ্র এবং ধনী শ্রেনী আরও ধনিতে পরিনিত হয়, ফলে সামাজিক শ্রেনী বৈষম্য দিনের পর দিন বেড়েই চলে । দরিদ্র অবাব গ্রস্হ মানুষ প্রয়জনের সময়ে সাহায্যের কোন দরজা খোলা না পেয়ে, কোন উপায় অন্তর না পদেখে সুদে ঋন নিতে বাধ্য হয় ।

সে ঋন উৎপাদনশীল অনুৎপাদনশীল উভয় প্রকার কাজেই ব্যাবহার করে । বিশেষ করে অউৎপাদনশীল কাজে ঋনের অর্থ ব্যাবহারের ফলে তার ঋন পরিশোদের ক্ষমতাই লোপ পায় । পুঁজিপাতি সমাজে কর্জে হাসানার কোন সুযোগ না থাকায় অনুৎপাদনশীল খাতে ঋন তো দুরের কথা উৎপাদনশীল খাতেও বিনা সুদে ঋন মেলা ভার । বোঝার উপর শাকের আটির মতো তাকে সুদ পরিশোধ করতে হয় । এর ফলে সে তার শেষ সম্বল যা থাকে তা বিক্রি করে উত্তমর্নের ঋন শোধ করতে বাধ্য হয় ।

এ বাড়তি অর্থ পেয়ে আরও ধনী হয় উত্তমর্ন । একউ সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে সামাজিক শ্রেনী বৈষম্য । সুদ মানুষকে স্বার্থপর ও কৃপন করে । অর্থ লিপ্সা কার্পন্য ও স্বার্থপরতা সুদখোরদের অন্যতম চরিত্রিক বৈশিষ্ঠ । বিনাশ্রমে অর্থ উপার্যনের আকাঙ্খা ও অর্থ লিপ্সা হতেই সুদ প্রতার জন্ম ।

সুদের মাধ্যমে নিশ্চিত ও নির্ধারিত আয় প্রাপ্তির লোভ সুদখোরদের বিচার বিবেচনা আবেক অনুভৃতি , এমনকি বিবেককে পর্যন্ত নিঃসাড় করে দেয় । সুদখোরদের মধ্যে লোভ লালসা কৃপনতা ক্রমে ক্রমে এতদুর পর্যন্ত প্রসার লাভ করে যে, তারা সমাজে ঘৃনিতজীবে পরিনিত হয় । এ কারনে মহান আল্লাহতালা সুদকে কঠিন ভাবে হারাম করেছেন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.