আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিপিএলে পাতানো খেলা ও স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল ?

দ্রিমু য্রখন ত্রখন স্রবট্রাতেই দ্রিমু মাহবুবুল আলমের বিশাল নো বল, চিটাগং কিংসের ১৪২ রানের জবাবে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ৮ উইকেটে মাত্র ৮৮ রান তোলার ব্যর্থতা, ম্যাচের ঠিক আগমুহূর্তে হুট করে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে বসিয়ে মোহাম্মদ আশরাফুলকে নেতৃত্ব দেওয়া, আশরাফুলের মন্থর ব্যাটিং এবং ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ব্যাটসম্যানদের অদ্ভুত সব আউট তখনই চট্টগ্রামে হওয়া ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস বনাম চিটাগং কিংস ম্যাচটাকে সন্দেহের তালিকায় ফেলেছিল। বিসিবি সে অভিযোগ অস্বীকার করলেও আইসিসির নিরাপত্তা ও দুর্নীতি দমন বিভাগের (আকসু) সন্দেহের তালিকায় ঠিকই আছে দ্বিতীয় বিপিএলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস-চিটাগং কিংস ২ ফেব্রুয়ারির ম্যাচটি। তদন্ত হচ্ছে ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় হওয়া বরিশাল বার্নার্সের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের আরেকটি ম্যাচ নিয়েও। প্রায় দুই মাস ধরে চলা তদন্তের অংশ হিসেবে আকসুর চার কর্মকর্তা আলাদাভাবে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। কথা বলেছেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন, পেসার মাহবুবুল আলম, মোহাম্মদ আশরাফুলসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে।

ডেকেছেন চিটাগং কিংস কোচ খালেদ মাহমুদ ও সন্দেহজনক ম্যাচ দুটির ম্যাচ কর্মকর্তাদেরও। ঢাকা রিজেন্সি ও র‌্যাডিসন হোটেলে অবস্থান করে তাঁদের বেশির ভাগের সঙ্গে এক-দেড় মাস আগেই কথা বলে ফেলেছে আকসু। সর্বশেষ আশরাফুলের সঙ্গে কথা হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট দল জিম্বাবুয়ে থেকে ফেরার পর। তাঁর সঙ্গে তিন দফা ম্যারাথন কথা বলে তদন্তের শেষটাও বোধ হয় দেখতে পাচ্ছে আকসু। জেরায় আশরাফুল স্বীকার করেছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের ইচ্ছানুযায়ী বাধ্য হয়েই হেরেছিলেন ২ ও ১২ ফেব্রুয়ারির ম্যাচ দুটি।

আশরাফুলের সঙ্গে তাঁরা সর্বশেষ কথা বলেছেন গত পরশু। শেষবার কথা বলার জন্য পূর্বনির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে। বাংলাদেশি খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের বাইরে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ওয়াইস শাহ, ড্যারেন স্টিভেন্স এবং কুশল লোকুয়ারাচ্চির সঙ্গেও কথা বলেছে আকসু। যাঁর ইচ্ছাতেই হোক না কেন, আশরাফুল সত্যি সত্যি জেনেশুনে ম্যাচ হেরে থাকলে এবং সেটা আকসুর কাছে স্বীকার করে থাকলে, কঠিন শাস্তিই হওয়ার কথা তাঁর। এ নিয়ে বিসিবির কেউ মুখ খুলতে রাজি নন।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কিছু জানার আগে মন্তব্য করা কঠিন। ’ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকের সংযোজন, ‘কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যায় করে থাকে, তাহলে তার ব্যাপারে বোর্ড কঠোরতম সিদ্ধান্ত নেবে। তবে কেউ ভুল করলে বোর্ড তার পাশে থাকবে। ’ বিসিবির একাধিক কর্মকর্তার কথার সঙ্গে মল্লিকের বক্তব্যকে মিলিয়ে দেখলে তাঁর বক্তব্যের দ্বিতীয় অংশটিকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। আশরাফুল ‘অন্যায়’ করেছেন না ‘ভুল’ করেছেন, পুরো বিষয়টা শেষ পর্যন্ত এই প্রশ্নে গিয়েও ঠেকতে পারে।

টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে কাল আশরাফুল স্বাভাবিকভাবেই রাজি হননি বিস্তারিত কথা বলতে, ‘আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন কর্মকর্তারা আমাকে ডেকেছিলেন। তাঁরা যা জানতে চেয়েছেন, আমি উত্তর দিয়েছি। সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি তাঁদের সাহায্য করতে। আর কিছু বলতে পারব না। ’ তবে তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে ইচ্ছে করে ম্যাচ হারার স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে আলোচনা করেছেন আশরাফুল।

জেরার পর থেকে মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্তও তিনি। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস-চিটাগং কিংস ম্যাচের যেসব বিষয় নিয়ে সাধারণ দর্শকদের মধ্যেও প্রশ্ন ছিল, আকসুর প্রশ্নও সেসব নিয়েই। মাশরাফিকে কেন খেলানো হলো না, টস জিতেও ওই উইকেটে কেন ব্যাটিং নিলেন না আশরাফুল, ড্যারেন স্টিভেন্সের অদ্ভুতুড়ে রানআউট, পেসার মাহবুবুলের ‘নো’ বল—জেরায় এসব বিষয়েরই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে সবার কাছ থেকে। এ ছাড়া বরিশালের বিপক্ষেও আশরাফুলের শম্বুকগতির ব্যাটিং, সাকিবের রানআউট এবং ওই ম্যাচেও মাশরাফির না খেলা নিয়ে কৌতূহলী তাঁরা। রানআউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে উষ্মা প্রকাশ করতে গিয়ে নাকি আশরাফুলকে সরাসরি ‘স্পট ফিক্সার’ বলেছিলেন সাকিব।

সূত্র জানিয়েছে, বেশির ভাগ খেলোয়াড়-কর্মকর্তাই তদন্ত কর্মকর্তাদের সামনে আলোচিত দুই ম্যাচ নিয়ে সন্দেহের কথা জানিয়েছেন। তবে সুনির্দিষ্টভাবে আশরাফুলের প্রতি সন্দেহের কথা বলেছেন দু-একজন। এ ছাড়া গত বিপিএলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ভারতীয় প্রধান নির্বাহী গওহর রাওয়াতের ভূমিকাও সন্দেহজনক ছিল বলে উল্লেখ করেছেন কেউ কেউ। [সূত্রঃ প্রথম আলো] ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.