আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যাচ গড়াপেটা হবার সম্ভাবনা বিপিএলে! আইকনদের অবমূল্যায়ন!!!+সাথে ১ টা লুল ছবি ফ্রী

তাশফী মাহমুদ 'আইকনদের নিয়ে যে ছেলে-খেলা শুরু হবে এবং দেশীয় ক্রিকেটারদের মূল্য কম ধরা হবে তা আগেই বোঝা গিয়েছে। '-কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক এক অধিনায়ক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এরপর তিনি যা বললেন তাতে চোখ কপালে উঠে যাওয়ার মতো অবস্থা দাঁড় হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, 'পাতানো খেলার স্থান হবে বিপিএল। ' কিন্তু কিভাবে? এই প্রশ্ন ছুড়তেই একেক করে বুলি ছাড়তে থাকেন সাবেক এই অধিনায়ক, 'ম্যাচ গড়াপেটা হবে বিপিএলে। তা করেই আয় বের করতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের।

এত টাকা দিয়ে দল কিনে তাদের আয় করতে হবেই। আর সেই পথ পাতানো খেলার মাধ্যমেই বের করবে। ' এর সঙ্গে যোগ করলেন, 'আগে থেকেই একজন ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করা হয়ে যাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। এরপর তাকে নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে নেয়া হবে। অথচ টাকা দেয়া হবে আগেই হওয়া চুক্তি অনুযায়ীই।

' উদাহরণ দিতে গিয়ে পোর্ট সিটি ক্রিকেট লীগের (পিসিএল) প্রথম আসরের একটি গোপন তথ্যও ফাঁস করলেন সাবেক অধিনায়ক, 'যেমন তামিম ইকবালকে পিসিএলে ৭ লাখ টাকা ম্যাচ প্রতি দিয়ে নেয়া হয়েছিল। আসলে চুক্তি ছিল ৭ লাখ টাকা পুরো টুর্নামেন্টে। তামিমকে সেভাবেই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এরকমই হতে দেখা যাবে বিপিএলেও। এটাই আসল ব্যবসা হবে।

এখন কথাগুলো শুনে হয়ত অনেকেই ব্রম্ন কুচকাবেন। কিন্তু আসল রূপ এমনই ধরা দিবে। তা না হলে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আয়ের পথ কোথায়? কোটি কোটি টাকা কিভাবে উঠাবে কোম্পানিগুলো?' এই পাতানো খেলার সঙ্গে যে স্থানীয় এবং ভারতীয়রা জড়িত থাকবে সেই কথাও বললেন, 'এখানে স্থানীয় এবং ভারতীয়রা যুক্ত। সবাই ব্যবসা করম্নক। উইন হবে হোক।

কিন্তু ক্রিকেটটা যেন টিকে। লাভবান হয়। জনগণকে দেখানো হবে অনেক দাম ক্রিকেটারদের। চারিদিকে এর উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়া হবে। তা না হলে মানুষ দেখতে আসবে নাতো।

প্রথম বছর দেখা যাবে ভারতীয় যে ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি আছে তারা লাভ করতে পারছে না বোঝাবে। কিন্তু দ্বিতীয় বছর থেকেই তারা এমন লাভ করতে থাকবে যা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে। গেম অন স্পোর্টস টাকা নিয়ে যাবে। বিসিসিআই আইপিএল আয়োজন করে। বিসিবি সেটি করতে পারেনি মূলত এই টুর্নামেন্ট সম্পর্কে বোধ না থাকায়।

' শুরম্নতেই ক্রিকেটারদের নিলাম প্রক্রিয়ায় পাতানোর বিষয়টি আরেকটু খোলাসা করলেন সাবেক এই অধিনায়ক, 'ধরা যাক একটা ক্রিকেটার 'যদু' নাম। তার সঙ্গে ১০ লাখ টাকায় নিলামের আগেই চুক্তি হয়ে গেল। নিলামে তোমার দাম যাই তোলা হোক, সেটা আমার বিষয়। এমন বলে চুক্তি হয়ে গেল। দেখা গেল নিলামে গিয়ে ২০ লাখ টাকায় কিনে নেয়া হলো।

কিন্তু তাকে ১০ লাখ টাকাই দেয়া হবে। ' কয়েকদিন আগে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলাম হয়েছে। সেটিতেও পাতানোর গন্ধ পাচ্ছেন সাবেক অধিনায়ক, 'আমার কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলামটাও ফিঙ্ংি মনে হয়েছে। কারণ, অনেক কম পার্থক্যে দল কেনা হয়েছে। কিছু লোক যে ক্রিকেটটাকে চুষে খাবে তা দেখার মিলবে।

' বিপিএলে ছয় আইকন ক্রিকেটারের মূল্য হ্রাস করার পরিকল্পনা চলছে। এখন দেশী ক্রিকেটারদের সঙ্গে সর্বোচ্চ দামের হিসেবে আইকনদের মূল্য নির্ধারণ হবে। এর সঙ্গে দামের দিক দিয়ে বিদেশীদের পেছনেও থাকতে হচ্ছে স্থানীয় ক্রিকেটারদের। যেখানে 'এ' ক্যাটাগরিতে বিদেশী ক্রিকেটারদের সর্বনিম্ন দর রাখা হয়েছে ১ লাখ ডলার (৮০ টাকা দরে ৮০ লাখ টাকা), সেখানে স্থানীয়দের ৪৫ হাজার ডলার (৩৬ লাখ টাকা) ধরা হয়েছে। 'বি' ক্যাটাগরিতে বিদেশী ক্রিকেটারদের সর্বনিম্ন দর ৫০ হাজার ডলার (৪০ লাখ টাকা) ধরা হয়েছে, সেখানে স্থানীয় ক্রিকেটারদের দাম শুরম্ন ৩০ হাজার ডলারে (২৪ লাখ টাকা) এবং 'সি' ক্যাটাগরিতে বিদেশীদের দাম শুরম্ন হবে ২৫ হাজার ডলারে (২০ লাখ টাকা), সেখানে স্থানীয়দের দর ২০ হাজার ডলারে (১৬ লাখ টাকা) করা হয়েছে।

এই হিসেবে বিদেশীদের চেয়ে স্থানীয় ক্রিকেটারদের দামের এত পার্থক্যেও আপত্তি সাবেক এই ক্রিকেটারের, 'অনেক বেশি পার্থক্য করা হয়েছে। দেশেও অনেক ক্রিকেটার আছে, যারা বিশ্ব ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মেলানোর মতো। অথচ কেউই বিদেশীদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে না! পেছনেই পড়ে থাকবে। ' এমন বলার পর আইকনদের কথা আবারও তুলেন নাম না প্রকাশ করার শর্তে নিজের অভিব্যক্তি জানানো এই অধিনায়ক, 'আমাদের শাকিব বিদেশী যে কোন ক্রিকেটারের চেয়ে এখন এগিয়ে। বিশ্ব সেরা ওয়ানডে এবং টেস্ট অলরাউন্ডার।

দেশের মাটিতে একটি টুর্নামেন্ট হচ্ছে। অথচ সেখানে শাকিব সবার উর্ধে থাকবে না? এটা ঠিক হবে না। আইকনদের উপরেই রাখা উচিত। ' ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে চট্টগ্রাম দলটি। এস কিউ স্পোর্টস ১.২০ মিলিয়ন ডলার (৮০ টাকা দরে ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা) দিয়ে বন্দরনগরীর দলটি কিনে নিয়েছে।

এরপরই অবস্থান খুলনা দল কিনে নেয়ায়। ওরিয়ন গ্রম্নপ ১.১০ মিলিয়ন ডলার (৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা) দিয়ে কিনেছে খুলনা। টাকার দিক দিয়ে দল বিক্রি হওয়ার ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে আছে রাজশাহী। ডিজিটাল অটো কেয়ার দলটি ১.০৭ মিলিয়ন ডলারে (৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা) কিনেছে। সিলেট দলটি পেয়েছে ওয়ালটন।

এজন্য তাদের ব্যয় করতে হচ্ছে ১.০৬ মিলিয়ন ডলার (৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা)। ঢাকার দামটি নিয়ে সবার মধ্যেই আলোচনা তুঙ্গে ছিল। দেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকাকে ঘিরে আগ্রহ তেমন দেখা গেল না। যেখানে অন্যান্য দল কেনা হয়েছে আরও বেশি দামে, সেখানে ইউরোপা গ্রম্নপ ১.০৫ মিলিয়ন ডলার (৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা) দিয়েই ঢাকার দলটি পেয়ে গেছে। নিলামে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হয়েছে বরিশাল দলটি।

আলিফ গ্রম্নপ ১.০১ মিলিয়ন ডলার (৮ কোটি ৮ লাখ টাকা) দিয়েই বরিশাল দলটি কিনে নিয়েছে। শেষে একটা লুল ছবি বিপিএল এর ফ্যাশন শো এই দল কেনার প্রক্রিয়ায় বিড পদ্ধতিতে দেখা গেছে খুব কম পার্থক্য। আর তাতেই দল কেনা নিয়েও যে পাতানো খেলা হয়েছে তা জানালেন সাবেক এই অধিনায়ক। তাঁর দাবি, 'পাতানো খেলার শুরম্ন হয়েছে দল কেনার নিলাম দিয়ে। শেষ যে কোথায় হবে বলা মুশকিল।

আরও কত স্থানে যে পাতানোর গন্ধ মিলবে দিন যাওয়া শুরম্ন হলে। ' ---------------------------------লেখাটি সংগ্রহীত------------------------------  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.