আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন

ভাতের মজা কিছুতেই পাই না।

মোবাইলের চিল্লাচিল্লিতে আজকে সকালের ঘুমটা ভাঙ্গল। আমি তাজ্জব। কি ব্যাপার, অন্যদিন তো আমার প্রিয় মোবাইলটা এমন চিল্লাচিল্লি করেনা। ঘুম জড়ানো চোখে মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখলাম কার যেন আজকে জন্মদিন, তা জানান দিচ্ছে।

ও হ্যাঁ, এইবার মনে পড়ছে। চার বছর আগে ও আমার রূমমেট ছিল। তখন হোস্টেলে থাকতাম। প্রথম দিন সিটে উঠেই ওর সাথে পরিচয় হয়েছিল। আমি ব্যাগ থেকে কাপড় চোপড় গুছাচ্ছিলাম তখন ও হঠাত ঘুম থেকে উঠে সালাম দিল “আসসালামু আলাইকুম” বলেই আবার কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ল।

বিকেল বেলায় শুয়ে থাকাটা ওর অতি করণীয় কাজের একটি। আর পড়ালেখা করত সব মাঝ রাতের পর থেকে। ঠিক আমার কানের কাছটায়। কি যে বিরক্ত লাগত! সকালবেলা আবার পড়ে পড়ে মরার মত ঘুমাত। তাই প্রায়ই ক্লাসে লেট ছিল।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের একনিষ্ঠ কর্মী ছিল। প্রথম দিন ওর মেডিটেশন করার ভাব ভঙ্গী দেখে আমি তো ধরেই নিলাম মেডিটেশন বুঝি সব পাগলরা করে। ওর একটা কমন ডায়ালগ ছিল “রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন”। আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে ওকে প্রচুর ক্ষেপাতাম। যখন দেখতাম ও রেগে যাচ্ছে তখন সবাই সমস্বরে বলতাম “রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন”।

হে হে হে হে... একটু বেলা বাড়লে ওকে ফোন দিলাম। প্রচন্ড ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলল “আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন?”। আমি বললাম “শুভ জন্মদিন। পঁচিশ বছরে পা দিলেন”। ওর জবাব-জ্বি ভাই, বুড়ো হয়ে যাচ্ছি।

হে হে হে... । ও খুব হাসতে পারত। কারনে অকারনে। আজকেও সেই চির পরিচিত হাসিটা দিল। ভালই লাগল।

ইলেকট্রনিক্সে বি এস সি করছে। কিন্তু বর্তমানে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনেই সময় দিচ্ছে। অল্প টাকা পেয়েও খুব সুখেই আছে বলল। সুখে থাকলেই ভাল।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.