আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যথাযোগ্য বিষাদ যথাযোগ্য আগুন

রাকিবুল হক ইবন

তারা যেন আমার সঙ্গে মেপে কথা বলে তারা যেন আমার সঙ্গে মেপে কথা বলে এবং বারণ কোরো ও-সব বিষয়ে আমার ধারণা মোতাবেক প্রত্যেকে প্রত্যেকেই যেন দ্বিমত পোষণ না করে। করলে সত্যিই খুব খারাপ হতে থাকবে। কথা নেই বার্তা নেই চিঠি নেই এমন কী মেইলও পর্যন্ত নেই, হঠাৎ-ই ভীষণ রোদে মানুষের গা থেকে হলুদ চামড়া ঝরে যাবে খসে : পুড়ে ও জ্বলে। আর আমি আমার কথা অনুসারে দ্যাখও-সব ঠিক-ই এনে দেবো বিশাল চন্দ্রদ্বীপ থেকে। তারপরও বাঙালিদেরকে বলে দিও তারা যেন আমার সঙ্গে উচ্চ স্বরে মত বিনিময় না-করে। আর সামান্য কাঠবাদামের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠা কুমারী-গর্ভবতীদের মন! আমি জানি-না, কী সেই ঘ্রাণ; যা বালিকাকে একা থাকার প্ররোচণা দেয় মনে ও মনে? *********************************** উপযোগী কয়েকটি পড়শী তিলক জংয়ে ধরা শিকল খুলে যেতে খুলে যেতে যেতে হা করে তবে খুলে যাবে সিনথিয়ার মৌল মুখের সৌর সকালে একদিন; ক্যান্সার দুরন্ত তুমি কিশোরী আগে, বহু আগে, মৃত্যুর সামনাসামনি বাঘের কী গরম ওম ধূর্তরাজ শৃগাল- হে ক্যান্সার শাবক দুরন্ত হে আপন বালিকা আমার; আপনি আঁকা-বাঁকা উচ্চরাতে খারাপ করেন মাথা ঝালে ফ্রাই-করা চড়ুই পাখির অখাদ্য কী সুখাদ্য স্বভাবে! ক্যান্সার দুরন্তরাজ হে লেজেকাটা ঘুড়ি এক বিপ্লবী মেয়ের গোপন কন্যা আমি তার কোমল লৌহ স্বভাবের স্তন ! প্রতিক্ষণ পোড়া সজারুর কাঁটায়- কাঁটারা জানে ক্যান্সার কবিতা আপনি, নেচে যান আপন কাঁটায় কাঁটায় ওলো সই সখি- শ্বেতরোগ্য পাতাবাহার, কবিতা সে-ও ক্যান্সার আমার আমাকে বেদম সপাং সপাংয়ে যোগ্য করে তুলুন আপনার ! *********************************** শিল্পায়ন-শিল্পনীতি তোমাকেই নয় তোমাকে নয় আমি আমাকেই এভাবে ঝুমুর ঝুমুরে তিন প্রস্থ জার্নাল করি আর অভিষেকে উপযোগী স্বমৌল প্রবাল তুলি *********************************** শ্রম বিষয়ক উপপাদ্য এই যে একাকী রাস্তায় বহু দন্ডিত পা কতিপয় জ্যামিতিবিহীন ! যদিও এরই মধ্যে তপসেপ্রসিদ্ধ শহরে তপতী নদীর তীরে একাকী হাঁটতে আমার বেশ ভালো লাগে হাতে অসংখ্য পোড়া যিশু ! এই যে, অর্থ্যাৎ শূন্য চোখে কাল্পনিক কোনো প্রেমিকার ঠোটেঁর রঙ চোখে মেখে নিয়ে, আমি দীর্ঘ গন্তব্যহীন গন্তব্যে হাঁটতে বেশ পছন্দ করি পথিমধ্যে ট্রেনে কাটা পরা গর্ভবতী মুরগী গলিত; পচা রূপচাঁদা পুকুরের পরিস্নাত মাছের পাপড়িতে বহুরূপী পোনা অকস্মাৎ আচমকা দু'একটা কুকুর আমাকে শাসায় ! ওদের মুদ্রাও টানে-না ! কী তবে টানে ? চন্দনের মিহি ঘ্রাণ ? জীবনানন্দের অলক্ষ্মী কালো প্যাঁচা ? প্রকৌশলী ইঁদুর ? বহুজন ব্যবহ্রত গণবিরোধী বিড়াল ? এই শ্রমঘেষা শ্রমবিলাসী বাউলবাড়ি থাক শ্রমবান নতুবা আমি ফিনিক্স পাখি ও বিক্ষিপ্ত বাউল স্বভাবে জ্বালিয়ে দেবো সৌন্দর্যের প্রতি তীব্র ক্ষুধা; প্রকাশ করছি : শ্রমস্বাধীনতা। *********************************** নক্ষায়ণ অতঃপর কাঠি-দৌড় ও পরিব্রাজক প্রহরী পর্যটনে যাই ফ্রিকোয়েন্সিতে মেলে না পৃথিবী কফির চাইতে পোড়া স্বপ্ন স্বপ্ন হারাই অথবা যাই এবং ভেসে যাই যর্থাথ কুমারীমেয়েবিলসী চিত্রে প্র্র্রসাধন... প্রসূতি... প্রেক্ষাগৃহে অতঃপর চেতনার নক্ষাত্রয়ণ চিত্রিত বাসরে পর্যবসিত জ্যামিতিক উত্থানে দূরবর্তী নক্ষত্র বহরে নহরে আবার ফের যাই যর্থাথ ভেসে যাই পালকে ভেসে যাই... চিতাঘেষা বনবালিকার কোলে পুনশ্চপাঠ্য : কার্যত ধীবরদের জালে বিদ্ধ আমাদের প্রথাসিদ্ধ কাঠি-দৌড় ! ************************* ********* একটি আশ্চর্য রিয়েল কবিতা (মেয়েটি দেখালো নিজেকে, মেয়েটিকে দেখলাম...) যা কিছু স্বাধীন সৌন্দর্য-সংহিতা আমি গ্রর্ভগ্রাম তুমি পিতা আমাদের দিগন্তে জন্ম নিলো একটি আশ্চর্য ম্যারাথন কবিতা ও সদ্যপ্রসূত- স্বল্পদৈর্ঘ্য রিয়েল নদী, তুই আমার জলের দীর্ঘ পিতা হবি ? *********************************** উদাম হাওয়া শাড়ি খোল বর্ষা; তুই আমার বউ শাড়ি খোলো বর্ষা; তুমি আমার বউ শাড়ি খোলেন বর্ষা; আপনি আমার বউ **************************** দূরত্ব পথ আমার গায়ে হেঁটে হেঁটে তারও বাড়ি পৌঁছে যায়- সপাং সপাং মুখোমুখি আহা আমি কী করে এ চিত্রিত শ্রমসৌন্দর্য চাষ করে অদৃশ্য হবো। **************************** বনাম হেই হেই ঈশ্বর এসো সমবায় করি নতুবা ডুয়েল লড়ি ********************* মেটালিকা-সংহিতা ১. প্রথমে মানুষ এবং মানুষপ্রবণ কবিতা লেখেন বলে কবি ভালোবাসেন দুটি একটি চেরী অন্যটি দো-পাটি ২. আমাদের একটি সন্তান ডাকনাম- 'শ্রম' সে আমাকে ডাকে বলে 'মানুষ' ৩. গোলাপটি দেখালো নিজেকে, দোকানে; পণ্য সিনথিয়া! আমি দেবো তাকে, চেরী অথবা দোপাটি ৪. কোনো কবিতাই পূর্ণ নয় সখি; অপূর্ণতাই আসল কবিতা *********************************** বিষয়টা বিজ্ঞান ও ইতিহাসের সাইন্সে পড়া মেয়েরা স্বর্ণলতা হেলে পড়া জিনিস মেয়ে তুমি উঠে দাঁড়াও ইতিহাস ******************************* মানুষ যথাযোগ্য আগুন যথাযোগ্য বিষাদ যথাযোগ্য বিষাদ যথাযোগ্য আগুন ********************************* একদিনের রাতে চায়ের কাপে আমারই চায়ের কাপে র‌্যাঁবো আপনার মাতাল তরণী; তরুণী নাচে কতো কাছাকাছি খুলে খুলে জলেরা জানে না নেচে নেচে মাতম আঁকে একদিন আসলে ভেসে ওর কবিতা কেউ কামড়ে কামড়ে খাবে ! খাক্ তবু মহাকালে-দীর্ঘকাল কৃষক-কুমারীরাশি মোমদানি হাতে ! ও কীভাবে যে কী আঁকে? আজ উদাম হয়ে একদিনের রাতে আমারও টিনের চালায় মেয়েটি ছেলেটিরে ছেলেটি মেয়েটিরে র‌্যাঁবোর মাতাল তরণী মাতে ! র‌্যাঁবোর মাতাল তরুণী নাচে... ভিজে উড়ে ১৪ বছর বয়সে রচিত ঈশ্বরের এক চোখ কিন্তু আমার অনেক *************************** (এখানে শেষের কবিতাটি ছাড়া সবগুলি কবিতা(!) আমার ১৬ বছর ৬ মাস বয়সে প্রকাশিত _ যথাযোগ্য বিষাদ যথাযোগ্য আগুন _ নামক কাব্য গ্রন্থ হতে পড়তে দেওয়া হল)


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.