আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০০০ এর ডাইরী পর্ব ১



অনেক ঠান্ডা লাগছে। মনে হচ্ছে আর একটু ঘুমাই। লেপের মধ্যে আরও কুকড়ি বুকরি হয়ে পড়ে থাকলাম। জেগে থেকেও ঘুমের ভাব। হঠাৎ ঝাঁকুনি।

আমার মা'র হাত, প্রথমে কপালে, তারপর গালে। মা ফিসফিস করে বলল, "এ....ই মা আমার, ওঠ ওঠ্। দেরি হয়ে যাবে তো। আজ তোর অংক পরীক্ষা। যাবি না?" আমি অংকে বরাবরই কাঁচা।

তাই অংক নিয়ে কিছু শুনলেই গায়ে জ্বর আসে। আরও কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলাম। তারপর অনেক কষ্টে উঠলাম। কোচিং এ যেতে হবে। এখন আর ফাঁকি দেয়া যাবে না।

সামনে টেস্ট। কোচিং এ যাওয়া আসা ভাল লাগে না। রাস্তায় অনেক যানজট থাকে। যানজটের মধ্যে রিক্সায় বসে বসে রিক্সাওয়ালার গায়ের দুগর্ন্ধ আমার অসহ্য লাগে। আর কিছু কিছু লোক জোরে জোরে আজেবাজে কথা বলে।

মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কেউ কেউ আছে রিক্সার ভেতর উঁকি দেয়। মেয়ে হলেই যত আগ্রহ। এসব ভাবতে ভাবতেই দেখলাম আমার নেলপালিশ বুড়ো আঙ্গুলেরটা উঠে গেছে। বাসায় গিয়ে নতুন করে লাগাতে হবে।

এ কথা চিন্তা করছি আর নোখের দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ একটা মোটা কর্কশ পুরুষালী গলা। বুকের ভেতর ধক করে উঠল। রিক্সার হুটের ভেতর মুখটা ঢুকিয়ে দিয়েছে। সিগারেটের গন্ধ ভগভগ করে আসছে।

আমাকে বলল, "কাল কোচিং শেষে গেটে ওয়েট করবা। না হলে আসা যাওয়া করতে পারবা না। কথা আছে"। বাসায় পৌঁছালাম। বুকটা তখনও ধরফর করছে।

কেন যেন খুব তেষ্টা পাচ্ছে। বার বার বাথরুম পায় বলে, আমি পানি খুব কম খাই। পেছন থেকে মা বলল, পরীক্ষা কেমন দিলি? আমি ভূত দেখার মত চমকে উঠলাম। মার কন্ঠটাও আমার ওই ছেলের কন্ঠের মত মনে হল। আমি শুকনা মুখে মার দিকে একবার তাকালাম।

(চলবে ১) ২ এর link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।