যে কোন লড়াই শেষ পর্যন্ত লড়তে পছন্দ করি।
মাশরাফিকে নিয়ে যা ঘটলো তা খুবই দুঃখজনক। দেশের ক্রিকেট আকাশে কালো মেঘ যেন আর কাটলো না। এসব ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, নাইমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাহমুদ সূজন, হাবিবুল বাশার, খালেদ মাসুদ পাইলট -- এদের সবাইকে নিয়ে এধরণের ঘটনা ঘটেছে।
কিন্তু তাতে ক্রিকেটের মঙ্গল হয়নি। আবার এখন এমন ঘটনা অতিশয় দুঃখজনক। কেননা বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলটি বিশ্বের যে কোন দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখে এবং সেটা ভাগ্য বলে নয়, যোগ্যতা বলে।
বাংলাদেশের আপার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা স্বাভাবিক সতর্কতার সাথে খেললে, আবেগ তাড়িত হয়ে ভুল শট না খেললে এবং বাহাদুরি জাহির করতে না গেলে, প্রত্যেকে কমপক্ষে ২০/২৫ রান করার যোগ্যতা রাখে। এছাড়া দিনটি তাদের হলে, তাদের কেউ কেউ অর্ধশতক ও শতক করার যোগ্যতা রাখে।
কিন্তু বিগত ছয় মাসের খেলা পর্যালোচনা করলে পরিস্কার দেখা যায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পরিকল্পিত গেম প্লান নাই, দলগত ভাবে খেলারও কোন টেম্পরামেন্ট নাই। টীম হিসেবে না খেলে প্রত্যেকে যেন একা একা নিজের জন্য খেলছে, দেশ এবং দলের কথা তাদের মাথায় নাই।
এর মধ্যে তাহলে কী অর্জন নাই? আছে, তবে ব্যাক্তিগত এবং অনেকটা ভাগ্যের জোরে। প্লেয়ারদের মধ্যে হিংসা, দলাদলি -- এসব সুষ্টি এবং উস্কে দেয়ার পিছনে কোচ, সিলেক্টর এবং ম্যানেজমেন্ট সবাই জড়িত। তাদের মধ্যে পেশাগত অসততা থাকায় তারা কেউ একথা স্বীকার করেন না।
আশরাফুলকে অহংকার ও গরিমায় পেয়ে বসেছিল। তার খেসারত সেও দিয়েছে, জাতিও দিয়েছে। এখন অশরাফুলের মত অহংকার ও গরিমা যদি সাকিবকেও গ্রাস করে থাকে, তাহলে এটা খুব বড় একটা দুঃসংবাদ, তার নিজের জন্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। আজ মাশরাফির সাথে যা করা হয়েছে তা পুরো জাতির জন্য কলঙ্ক।
এসব নোংরামী পেছনে ফেলে একমন একপ্রাণ হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আবার ঘুরে দাড়াবে এবং যোগ্য দল হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের পায়ের ছাপ রাখতে সক্ষম হবে, এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।