আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের কাজটা কী??!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

আসুন,সরকারী কর্মচারীদের ঘুষগ্রহণসহ সকল দুর্নীতিবন্ধে সর্বাত্মক সহায়তা করি। কারন সরকারি কর্মচারীরা দেশপরিচালনার হাতিয়ার। তারা যদি না হয় দক্ষ ও সততার অধিকারী, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বাংণাদেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার কাজটি হবে সুদূরপরাহত। ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের কাজটা কী??!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! আমরা সবাই জানি কি? বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোডের্র মূলকাজ হলো-দেশী-বিদেশী, বানিজ্যিক-অবানিজ্যিক ছায়াছবিসমূহ সেন্সরপূর্বক সেগুলোর বৈধতার সনদপত্র প্রদান। এছাড়া কোন ছবি দেশে বা বিদেশে প্রদর্শিত হওয়ার কোন সুযোগও নেই এবং কারণও নেই।

কিন্তু সেন্সর বোর্ডের নিচের আইনগুলো পড়ার পর এখন বলুনতো, ধর্মকে কটাক্ষ করে দাঁড়ি-টুপিওয়ালাদের বদমায়েশ দেখানো হয় কিনা? একাজটি হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ভারতে হলে আপত্তি থাকতো না যে, তারা অন্য ধর্ম্যাবলম্বী হিসেবে ইসলাম বা মুসলিমদের হেয় করতেই পারে। যদিও তারা তা না করে কেবল মুসলিম চরিত্রে চাকর-বাকর বা নিম্নপেশার লোকদেরই সাধারণত দেখিয়ে থাকে। অন্যদিকে, তারা তাদের নাটক-সিনেমার শুরুটাই করে ধর্মীয় আচার, বন্দনা বা পূজা দিয়ে? কিন্তু আমরা বাংলাদেশের মুসলিম নামধারীদের অধিকাংশই ধর্মের নাম নিতেই অচ্ছুৎ বনে যাবার ভয়ে থাকে। তারা হিন্দুদের চেয়েও কত নরাধম দেখুন! নাটক-সিনেমাকে বলা হয় সামাজিক প্রতিবিম্ব। কিন্তু আমাদের নাটকসমুহে নারীদের কিছুটা সামাজিক পোশাক পরানো হলেও সিনেমায় কী ধরণের ন্যাংটা ও অসামাজিক পোশাক পরানো হয়, তাতো বলার অপেক্ষা রাখেনা!! অথচ পুরনো দিনের সিনেমাগুলো দেখুন কী সামাজিক পোশাক ছিলো সেখানে? এ-ই যদি না-ই হবে, তবে এসব বিনোদন মাধ্যমকে সমাজজীবনের প্রতিচ্ছবি বলার নামে ভণ্ডামীর কারণ কী? যদিও ইদানীং মিডিয়ার অধিকাংশ মানুষ এখন আবার সুস্থ-সামাজিক ও রুচিশীলতার দিকেই ঝুঁকছে এবং আন্দোলনেও নেমেছে ক্ষেত্রবিশেষে।

বলুনতো, আমাদের কোন্ গ্রামের বা শহরের যুবতী মেয়েরা নাগরের সাথে প্রকাশ্যে নষ্টি-ফষ্টি করে প্রকাশ্যে নেচে নেচে গান গায়? আইন-শৃঙ্খলা, পুলিশ, প্রকাশ্যে ধূমপান, সীটবেল্ট-হেলমেটবিহীন গাড়ীচালানো ইত্যাদি কোন্ আইনে পড়ে? এসব সেন্সর হয়না কেন!! তাহলে দোষ কাদের, যারা সিনেমা বানায় তাদের নাকি যারা পাণ্ডুলিপি লেখে তাদের, নাকি যারা নায়ক-নায়িকা তাদের, নাকি সিনেমার পরিচালক-প্রযোজকদের? নাকি ঘুষ খেয়ে সেন্সরবিধিবহির্ভূতভাবে এসব অসামাজিক ছবি প্রদর্শনের অনুমতি যে সেন্সরবোর্ড, পুরো অপরাধটা তাদের!! এবার তাদের নিচের প্রতিটা বিধি পড়ুন আর বলুন এ কোন্ সেন্সর বোর্ড?? তাহলে দেখুন একনজরে কিছু সেন্সরবিধিঃ ’’সেন্সরবিধি অনুযায়ী কোন একটি চলচ্চিত্র জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শনের উপযোগী হবেনা, যদি উক্ত চলচ্চিত্রের মধ্যে নিমণলিখিত বিষয়াদি বিদ্যমান থাকেbr /> * বাংলাদেশ অথবা ইহার জনসাধারণকে অথবা তাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, প্রথা এবং পোষাককে হেয় প্রতিপন্ন করা দেখানো হলে, * বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌমরাষ্ট্র হিসেবে এর অখন্ডতা অথবা অসিত্মত্বকে হেয়প্রতিপন্ন করা দেখানো হলে, * দেশের নিরাপত্তাবজায় রাখার লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলাবজায় রাখার স্বার্থে বিভিন্ন সময়ে সরকার কর্তৃক জারীকৃত নির্দেশাবলী লংঘন করা দেখানো হলে, * রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অরাজকতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা অথবা অপরাধমূলক কার্যক্রম দেখানো হলে, * রাষ্টের নিরাপত্তাবিঘ্নিত হতে পারে; নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, এমন সামরিক অথবা অন্যান্য গোপন বিষয়াদি প্রকাশ করা দেখানো হলে, * আইন ও শৃঙ্খলাভংগের জন্য অনুপ্রাণিত করলে অথবা আইনভংগ বা অমান্য করার প্রতি সহানুভুতিপ্রদর্শন করা দেখলে, * প্রতিরক্ষাবাহিনী, পুলিশবাহিনী অথবা দেশের আইন-শৃঙ্খলারক্ষার জন্য নিয়োজিত ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো বাহিনী অথবা দায়িত্বশীল অন্য যেকোন বাহিনীকে হাস্যস্পদ অথবা অবমাননা করা দেখানো হলে, * প্রতিরক্ষাবাহিনী অথবা পুলিশবাহিনীকে অননুমোদিত পোশাকে দেখানো হলে, * দেশে অপরাধমূলক কার্যকলাপ এবং আইনহীনতাকে সাধারণ ব্যাপার হিসাবে প্রাধান্য দেয়া দেখানো হলে এবং আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে অনুপস্থিত অথবা অপারগ অবস্থায় দেখানো হলে, * দর্শকদের হাতে ক্ষতিকর হবে এমন প্রবল আইনহীনতা, অন্যায়-অপরাধ অথবা গোয়েন্দাবাজীমূলক কার্যক্রম প্রয়োগের মাধ্যমের দৃশ্যাবলীপূর্ণ করত: মূলকাহিনী অপর্যাপ্ত রাখলে ইত্যাদি * যেকোন ধর্মকে হাস্যষ্পদ, নিন্দা অথবা আঘাত করা দেখানো হলে, * ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত, সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব, বর্ণ বা জাতিবিদ্বেষ ঘটানোর প্রচেষ্টা দেখালে, * বাদ-প্রতিবাদমূলক সামাজিক বিষয়সমূহকে প্রকাশ্যভাবে নিন্দা করা অথবা এইসূত্রে ধর্মকে তুরেধরা অথবা প্রয়োগ করা দেখালে, * কোন ধর্মবিশ্বাসীগণকে দোষারোপ করার লক্ষ্যে তাদের দৃঢ় ধর্মবিশ্বাসকে হাস্যষ্পদ দেখানো হলে ইত্যাদি। ’’ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.