আমাদের আঁতুরঘরকে জীবানুমক্ত করতেই ফিরেছি আবার
গত ক'দিনে প্রচুর লাশ পড়েছে। তরতাজা একটা প্রাণের হঠাৎ লাশ হয়ে যাওয়া, সেটা বুলেটেই হোক কিংবা ধারালো কোপে। একটির নায্যতা প্রমাণে আরেকটির অবমূল্যায়ন একধরণের পাশবিকতা। যেমনটি জাতির জনকের হত্যাকাণ্ড থেকেই আমরা দেখে আসছি। দেখছি এখনও।
পিশাচ তার হাসি দেয়, লাশ নিয়ে। যেন লাশ হওয়াটাও কারো সাজানো চিত্রনাট্য। অনেক আগে এক কমরেডের ব্লগে পোস্ট হওয়া একটা কবিতাকে প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে।
পশু বিশেষজ্ঞদের মতে দেশে শৃগাল ও কুকুরের চাইতেও
হায়েনাদের সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাইতেছে, এই কথা মনে করিয়া,
জনাকয়েক পশু বিশেষজ্ঞ ভীষণ চিন্তিত; কেন, যে
চালাক চতুর শৃগালেরা তাহাদের পান্ডিত্য বিসর্জন দিয়া
হায়েনাদের ভয়ে স্বদেশ ছাড়িয়া অন্য মহাদেশে যাইবে
তা-ই এখন
পশু বিশেষজ্ঞদের গবেষনার বিষয়।
এই বার্তা জানিবার পর পরই, হায়েনাদের দলপতি তাঁর ঠাণ্ডা ঘরে
বসিয়াই গ্রাম-গঞ্জের অন্যসব হায়েনাদের কাছে ডাকিয়া বলিলেন,
'৭১ এ যেইভাবে বাংলার মানুষদের খাইয়াছি, ঠিক সেইভাবে আবারও
খাইতে হইবে, এবং খাইতে ইচ্ছা করি
শেয়াল কুকুর সবকিছু।
বেয়াদপ কুকুরগুলি আমাকে দেখিলেই ঘেউ ঘেউ করিয়া স্বজাতিদের
পুনরায় জানাইয়া দেয়, সেই ১৪ ডিসেম্বরের রাত্রে, কিভাবে খাইয়াছিলাম
বাংলার হাড় মাংস মাথা।
যাহাই হউক,
সামনেই নির্বাচন, অন্যান্য পশুদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আগেই
আমাদের একটি মাত্র প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত,
আমরা অবশ্যই নির্বংশ করিব,
চতুর শৃগাল,
প্রভুভক্ত কুকুর।
প্রয়োজনে
বাঘিনীকে।
হে আমার অগ্রজ ও অনুজ হায়েনার দল প্রস্ততি পর্ব এখন আমাদের শেষ
এখন শুধু সেই '৭১ এর মতো রাস্তায় নামিয়াই আমাদের খাইতে হইবে,
ধানগাছ হইতে শুরু করিয়া নৌকার গলুই। ।
( নিগড়ণ / মাকিদ হায়দার)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।