আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কলুষিত ছাত্র রাজনীতি!! বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী জঘন্যতম ছাত্র হত্যাকান্ড ও ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় মুজিব সমর্থিত ছাত্রলীগ!! (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১৮+++)

এহহামিদা'র ব্লগ!!

বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করার পিছনে কে বা কারা দায়ী, সেইটা একটা বড় প্রশ্ন!! ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে, আয়ুব বিরোধী আন্দোলন, স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশের ছাত্ররা সব সময়েই অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছিল!! এইগুলো সবই ছিল বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের গৌরবময় অধ্যায়!! কারো ভ্রুক্ষেপের কাছে মাথানত করার কোন প্রয়াস বা অভিপ্রায় তাদের কখনোই ছিল না বা কোন ধরনের সমঝোতা বৈঠকে বসার অভিপ্রায়ও ছিল না বাংলাদেশের ছাত্রদের মধ্যে!! জনগনের আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটিয়ে দাবী আদায়ে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত রাখা বা বাধ্য করার ক্ষেত্রে ছাত্রদের ভুমিকা ছিল অতন্ত্র প্রহরীর মত!! ঘটনা ছিল বাশের চেয়ে কন্চি বড় টাইপের মত!! জাতীয় নেতৃবৃন্দ যখনই সমঝোতার পথ বেছে নেয়ার তালে ছিল তখনই তাদের পথের কাটা হয়ে উঠেছিল ছাত্ররাই!! ছাত্ররা এতটাই অপ্রতিরোধ্য ছিল যে পাক হানাদার বাহিনীর কুতসিত আক্রমনের প্রথম শিকার হতে হয়েছিল এই ছাত্রদেরই!! এখন দেখা যাক স্বাধীতার পর কি এমন হয়েছিল যে এই অসম সাহসী ছাত্ররাই জড়িয়ে পড়েছিল সংঘাতে, কলুষিত করা হয়েছিলে সর্বদা সতেজ ছাত্র রাজনীতিকে!! কারা করেছিল এই জঘন্য কাজটি!! At a news conference, the young president of the victorious Bangla Chatra Union, declared that the election had demonstrated the disenchanment of the students with the Awami league, to which he ascribes "facist tendencies." Source: Robert Trumbull, " Bangladesh students shift to the left", New York Times, May 24, 1972. এই বক্তব্যটি এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরেই!! সেই নির্বাচনে আম্বা ছাত্রলীগ হেরে যায় ছাত্র ইউনিয়নের কাছে!! কি কারনে আম্বা সমর্থিত ছাত্রলীগ হেরে গিয়েছিল তা আরো চমকপ্রদ!! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭২ সালের মে মাসের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে আম্বা ছাত্রলীগ দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল!! একপক্ষকে এনডোর্স করেছিল শেখ মুজিবুর রহমান আর আরেক পক্ষকে সমর্থন যোগাত তাজউদ্দিন আহমেদ ( অবিশ্বাস্য একটি ব্যাপার আজকের অনেকের কাছেই)!! শুধু ঢাকাতেই নয় আম্বা ছাত্রলীগ পরাজিত হয়েছিল রাজশাহীতে, ময়মনসিংহে!! মুজিবের সমর্থন ছিল নুরে আলম সিদ্দিকীর গ্রুপের উপর!! এবং তাজউদ্দিন, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং যেকোন মার্কিন সাহায্যের বিরোধী ছিলেন সব সময়েই, সমর্থন দিচ্ছিল রব গ্রুপকে!! For the moment Chhtra dissidents are aligned with Finance Minister Tajuddin ahmed, identified with the Indo-Soviet lobby within the Awami league. .. As prime minister Tajuddin once vowed that Bangladesh would never accept american aid but Mujibur quickly overruled him তাজ্উদ্দিন অবশ্য তার এই মার্কিন বিরোধী অবস্থায় বজায় রেখেছিলেন শেষ পর্যন্ত!! ফলশ্রুতিতে তাকে প্রথমে প্রধানমন্ত্রি, পরে অর্থমন্ত্রী এর পদ হারাতে হয়েছিল এবং মুজিব মন্ত্রীপরিষদ থেকে বিতারিত হয়েছিলেন ১৯৭৪ সালের দিকে!! One faction, led by Nur E-Alam Siddiqui, was backed by Mujibur. The other faction, headed by A. S. M. abdur Rab, professed to be pro-Mujibur but anti-Mujibism. উপরের দুইটা কোটের সোর্স: William Drummond, "Mujibur faces leftist revolt in Bangladesh", Los Angeles Times, June 1, 1972. বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আম্বা ছাত্রলীগের পরাজয়, মুজিব-তাজউদ্দিনের রেশারেশি, আম্বা ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ এবং বিপরীত মুখী দুইগ্রুপের প্রতি দুই জনের সমর্থন এবং এক সময় তাজউদ্দিন সমর্থিত গ্রুপকে, যারা কিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে একটি বিশেষ গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে, দেখা যায় সরাসরি মুজিব বিরোধী অবস্থান নিতে!! এই তাজউদ্দিন সমর্থিত আম্বা ছাত্রলীগ গ্রুপই পরে জাসদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়!! "There has been no revolution in Bangladesh," said Rab, lighting a cigarrette. "Independence was not a revolution. That was an armed struggle. Revolution is change. It is a change in society, in economic conditions, in government administration- everything- the total life of the country." "Last March 26, the sheikh spoke to the nation and said, "I am fighting for scientific socialism and social revolution." ... "You see, there is no group that denies Sheikh Mujibur Rahman. Everybody is close to Sheikh. He is accepted leader of all of Bangladesh, but some people are trying to exploit the popularity of the Sheikh." Rab said. Why does the Sheikh not act to remove corrupt officials? Source: william Drummond, "Students may prove trouble in Bangladesh", Los Angeles Times, June 8, 1972. রবের উপরে বর্নীত বক্তব্য থেকেই বুঝা যায় মুজিব কি হারে ডিগাবাজী দিত!! মুজিব জাতির পিতা বা বংগবন্ধু হিসেবে নেতৃত্ব দিতে সম্পুর্নভাবেই ব্যর্থ হয়!! ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনেই দেখা যায় বিরোধীদের দমন করার জন্য আম্বা-মুজিব সমর্থিত ছাত্রলীগের নারকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনা!! এই হত্যাকান্ডের আগেই ঘটে আরেকটি ঘটনা!! ন্যাপ মোজাফফর ও ছাত্র ইউনিয়নকে শায়েস্তা করার জন্য আম্বা ছাত্রলীগ পুড়িয়ে দেয় ন্যাপ (মোজাফ্ফর), কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়!! Government supporters in the Bangladesh Students League tonight set fire to the national headquarters here of the pro-Moscow National awami opposition party. They also burned the headquartes of of pro-Moscow student unions and threw stones at the offices of the pro-Chinese Revolutionary students union and the Moscow oriented Communist Party. Source: "Students Set Fires in Dacca", New york Times, Jan6, 1973 এর পরেই ঘটে বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে সেই জঘন্যতম ঘটণাটি!! ঘটনাটি ঘটে ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সময়ে!! ১৯৭২ সালের পরাজয়ের গ্লানী আম্বা ছাত্রলীগ তাদের মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি!! ততদিনে রব গ্রুপও আম্বা ছাত্রলীগ ছেড়ে চলে যায়!! ১৯৭৩ সালের ঢাকা ইউনির্ভার্সিটির ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আম্বা ছাত্রলীগ তাদের পরাজয় রুখতে চেয়েছিল ব্যালট বাক্স ছিনতাই এর মাধ্যমে!! ব্যালট বাক্স ছিনতাই যখন আম্বা ছাত্রলীগের পরাজয় রুখতে পারছিল না, তখনই তারা আশ্রয় নিয়েছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ডের!! Five bound and blindfolded students were lined up against a wall at Dacca University Thursday night and submachine gunned, Police reported yesterday. Four died and one lay near death in a hospital. Click This Link সেপ্টেম্বর ৮, ১৯৭৩ স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ ও ঢাকা ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকান্ডের বিচার করেনি শেখ মুজিবুর রহমান!! এই হত্যাকান্ড সংঘঠিত করেছিল মুজিব সমর্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ!! পাচটি তাজা প্রান ঝরে পড়েছিল হাতবাধা-চোখবাধা-দেয়ালে পিঠ ঠেকা অবস্থায় মেশিনগানের ব্রাসফায়ারে ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরে!!!! বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতিতে ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও হত্যাকান্ডের সুচনা করে মুজিব সমর্থিত ছাত্রলীগ!! মুজিবের সেই আদর্শকে এখন পর্যন্ত সমুন্যত রেখেছে ছাত্রলীগ!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.