আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতের উচিত নিজের স্বার্থেই বাংলাদেশকে উপরে উঠতে সাহায্য করা: কুলদীপ নায়ার

এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
সংসদকে কার্যকর করাই বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দেন তিনি। সম্প্রতি দৈনিক ভোরের কাগজের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে ঢাকায় আসলে দেশ টিভির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব অভিমত তুলে ধরেন। সাবেক কূটনীতিক ও নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা কুলদীপ নায়ার বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে রয়েছেন তার বর্ণাঢ্য জীবনের পুরোটা জুড়েই। দেশ টিভির সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি ও সংসদীয় গণতন্ত্র বিষয় নিয়ে আলাপ করেন তিনি।

বাংলাদেশের সংসদ সম্পর্কে তার স্পষ্ট অভিমত, কার্যকর সংসদের জন্য বিরোধীদলের যেমন সংসদমুখী হওয়া উচিত তেমনি সরকারেরও উচিত তাদের সংসদে আনতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা। সফরকালে কুলদীপ নায়ার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গেও দেখা করেন। সেসময় বিরোধীদলীয় নেত্রী সংসদে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়ে উল্লেখ করে কুলদীপ নায়ার বলেন, “সংসদে বিরোধীদলের থাকা উচিত এবং যারা ক্ষমতায় আছে তাদের এটা নিশ্চিত করা উচিত। সংসদ মানেই তাই এবং দুই দলের মাঝেই অবশ্যই কিছু ন্যূনতম সমঝোতা থাকা উচিত। ” আর এই সমঝোতা না থাকলে সরকার বা দেশ চালানো সম্ভব না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের এই অকৃত্রিম বন্ধু কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে। ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হলে দেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে— কোনো কোনো মহলের এমন সমালোচনা ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন কুলদীপ নায়ার। তিনি বলেন, “ এই অঞ্চলে বাংলাদেশই আমাদের ঘনিষ্ঠতম। কেউ একটি বাস বা ট্রেন চালিয়ে একটি দেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ” ভারতের এমন কোন উদ্দেশ্য নেই বলেও জানান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু বলার আগেই ভারত বাংলাদেশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছিল—এ কথা জানিয়ে কুলদীপ নায়ার আরো বলেন, “আমি মনে করি না এতে (ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি) কোন ক্ষতি হবে। বরং আমি মনে করি ভারতের উচিত নিজের স্বার্থেই বাংলাদেশকে উপরে উঠতে সাহায্য করা। ” সারাজীবন বাংলাদেশের পক্ষেই থাকবেন বলে জানান বাংলাদেশের অকৃত্রিম এই বন্ধু। তথ্যসূত্রঃ
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.