আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফাঁসীর আগে পর্যন্ত খুনীদের কোনো অনুশোচনা ছিলনা তবে কি...??



আমরা যারা স্বাধীনতার পরের দশকে জন্মগ্রহন করেছি তাদের কাছে বিভিন্ন ইতিহাসের বই এবং দাদা-নানা বা বাবা-চাচা-মামা বড় সম্বল বাংলাদেশের বিভিন্ন রক্তাক্ত এবং ঐতিহাসিক ঘটনার কৌতুহল মেটানোর জন্যে। ইতিহাসের লেখাগুলো যেমন পুরোপুরি নিরপেক্ষ নয় তেমনি আত্মীয় স্বজনদের কথাও পুরোপুরি নিরপেক্ষ নয়। অনেকের কথা জানিনা কিন্তু আমার ক্ষেত্রে আমি আমার বাবাকেই বেছে নিয়েছিলাম বাংলাদেশের ইতিহাসের জ্ঞান সমৃদ্ধ করার জন্যে কারন তিনি একাধারে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্রনেতা, বঙ্গবন্ধুর সুবর্ন সময়ে তার সান্নিধ্যে যাবার মত ভাগ্যবান আবার জীবনের প্রয়োজনে রাজনীতি ছেড়ে জীবিকার সন্ধানে ঝাপিয়ে পড়ার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন পাঠক প্রকৃতির মানুষ। আর তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটা খোলামেলা আলোচনা প্রায়ই হত। যাইহোক, তিনি বিভিন্ন সময়ে আমাকে যা বলেছেন তা হয়তো অনেকেরই ভালো লাগবেনা কারন আমি ব্লগে দেখেছি কিছু মানুষকে বঙ্গবন্ধু কে ফেরেশতা পর্যন্ত তোলার প্রবনতা।

তাই আমি আমার একটা সাধারণ অবজারভিশনের কথা বলব। গতকাল দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনীর ফাঁসী কার্যকর হল; অনেক পত্রিকায় তাদের শেষ পর্যন্ত কিরকম মানসিকতা ছিল সে ব্যাপারে বর্ননা দেয়া হইয়েছে কিন্তু সব জায়গায় একটা জিনিস বোঝা গিয়েছে সেটা হলো তারা যা করেছে তার জন্যে তারা একটুও অনুতপ্ত নয় এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যরাও। এইযে ডিজুস দুনিয়ায় বিভিন্ন ব্লগ বা পত্রিকায় এই খুনিদের ব্যাপারে এত ঘৃন্যতা এবং সমালোচনা তারপরও তাদের ভিতর বা তাদের পরিবারের ভিতর শেয পর্যন্ত কোনো বিপরীত চিন্তাধারা আসেনি। এর থেকে একটা জিনিস বুঝতে পারছি যে এই খুনের জন্যে তাদের কোনো অপরাধবোধ হয়নি কখনো এবং নিজেকে প্রশ্ন করলেই বুঝতে পারবেন কোন সময় মানুষ নিজের অপকর্মের ব্যাপারে এতটা কনফিডেন্ট হয়!!! সমকাল পেপারে দেখলাম তারা নাকি আরো অনেক কিছুই বলতে চেয়েছিলেন তাতে অনেকেই নাকি বিব্রত হতেন কিন্তু আমাদের এই জেনারেশনের আসলেই জানা উচিত ছিল তাদের শেষ বক্তব্য। এতে হয়তো আরো না জানা কাহিনী বের হয়ে আসত; বংগবন্ধুর খুনের সুষ্ঠু বিচারের জন্যে সেটাও প্রয়োজনীয় ছিল।

হয়ত তারা তাদের পরিবারের কাছে বলে যেতেও পারে। এরপর পড়লাম আবেদ খানের কলাম যেটা পড়ে মনে হলো এই সরকারের সময় তার হয়তো হিরো হবার একটা খায়েশ হয়েছে। উনি ১৯৭৫ র ১৫আগস্টের ঘটনা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন এবং তা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু কারোই সহযোগিতা পান নাই এবং সেই অসহযোগীতা করায় যাদের নাম তিনি উল্লেখ করেছে তারা ততকালীন এবং বর্তমানেও আওয়ামী ঘরানার লোকজন বলেই পরিচিত। উপসংহারে বলতে চাই, বংগবন্ধুর পতন টা ঐ সময় অনিবার্য হয়ে গিয়েছিল কিন্তু সেটা এইরকম রক্তগঙ্গার মধ্য দিয়ে হওয়ার দরকার ছিলনা। কিন্তু সামরিক অভ্যুথথানে হয়তো শত্রুপক্ষকে বাচিয়ে রাখার কোনো নিয়ম নাই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.