(খসড়া প্রচ্ছদ: অতনু তিয়াস)
প্রথম ফ্ল্যাপ:
উৎসর্গ হতে পারে এমন: “আমার এই বইটি উৎসর্গের বাজারমূল্য কানাকড়িও নেই, তাইতো কাউকে উৎসর্গ করলেই মহাখুশি হয়ে যাবেনা।
চারিদিকে পাখিদের কলরব শুনতে পেতাম, উচ্চডালটিতে বসে ডাকতো যে ঘুঘু পাখিটি তাকে ভালোবাসতে চাইতাম, আজো চাই। ”
কাব্যগন্থের উৎসর্গপত্রের সত্যি সত্যিই কোন বাজার মূল্য নেই। কিন্তু দেখা যায় যাকে উৎসর্গ করা হয়, তিনি সত্যি সত্যিই মহাখুশি হন। তিনি কেন খুশি হন? একজন কবির প্রিয় মানুষ হতে পেরে খুশি হন।
কবি কি এমন? যার প্রিয় মানুষ হতে পারলে আপনি খুশি হবেন?
বাজার ব্যবস্থায় একজন কবির বাজার মূল্য নগণ্য। কবি অতি সাধারণ নগণ্য মানুষের কাতারে অবস্থান করে। তাদের দুঃখ, ক্ষোভ, বেদনা, বিদ্রোহ, বিপর্যয়ে পাশে এসে দাঁড়ায়। তারা তখন কিছুটা স্বস্তি, শক্তি অনুভব করে। আর এইটুকুই কবির নগণ্য মূল্য।
আর এই নগণ্য মূল্যের কারণেই শাসক শ্রেণী কবিকে ভয়-ভীতি, নিপীড়ন-নির্যাতন, কারাগারে ঢুকানো, দেশ থেকে বিতাড়িত করা, এমনকি হত্যা করে থাকে। কবি যুগের পর যুগ ধরে আলোচনা সমালোচনায় জড়িয়ে থাকে। আর তার প্রিয় মানুষটি এটা বেশ উপভোগ করেন। মহাখুশি হবার এটাও একটা কারণ।
একজন মানুষ কবি হয়ে উঠলে তার নিকটবর্তী মানুষেরা কেউ খুশি হয়না।
কেননা, এখানে নগদপ্রাপ্তি নগণ্য আর তার নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন থাকতে হয়!
ওগো সুপ্রিয়, ওগো নগণ্য মানুষ, ওগো উদ্বিগ্ন মানুষেরা ভালো থাকো!
উৎসর্গ:
সারাক্ষণ মৌ গুঞ্জরণ
আমার কানে কানে,
হঠাৎ-ই কাছে টানে
দূরে রাখে আরক্ষণ
হীরা তাহিরা-কে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।