আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্জনতার খোঁজে

ুাুিইাু্

চুপচাপ বসে আছি। হঠাৎ করে মনটা খারাপ হয়ে গেল। অনেক চেষ্টা করেও কারন খুঁজে পাচ্ছি না। আসলেই মানুষের জীবনটা কেমন জানি তাই না? এইতো একটু আগেও কত গভীর মনোযোগ সহকারে কাজ করছিলাম। তখন জীবন কি কেন আমি এখানে, কিছুই মনে হয়নি।

কিন্তু একটু ফ্রি হতেই স্মৃতি এসে মনের জানালায় উঁকি দিচ্ছে। চারিদিকে শুধু যান্ত্রিক নগরের যান্ত্রিক কোলাহল। সবাই সবার কাজে ব্যাস্ত, কারও অন্য কারও দিকে তাকানোর এতটুকু সময় নেই। সবাই যেন সময়ের সাথে নিজেকে নিজের সাথে পাল্লা দিয়ে চলেছে। খুব বিরক্ত লাগে যখন মনে হয় পৃথীবি এবং পৃথীবির মানুষ গুলোর কথা।

মাঝে মাঝে মনে হয় কোথাও চলে যাই, দূরে অনেক দূরে যেখানে থাকবে না মানুষের কোলাহল, আর এই যান্ত্রিক নগর। এমনি একটা জায়গা যেখানে একাকীত্ত আমাকে ভালবেসে জড়িয়ে থাকবে, ঠিক যেমনি জড়িয়ে থাকে শীতার্তের শরীরে শীতের চাদর। র্নিজনতা আমাকে ভালবেসে, শুধুই অফুরন্ত ভালবাসা আর মনের গভীরের জমে থাকা দীর্ঘদিনের আবেগময় অনুভূতি নিয়ে, পরম শ্রদ্ধায় নিজের হাতে বানানো শীতের এক কাপ চা নিয়ে আমার দিকে কাজল কাল চোঁখ দিকে তাকাবে। আমি র্নিজনতার কাজল কালো চোঁখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকব, ঠিক যেমন দীর্ঘদিনের বিচ্ছেদের পরে প্রেমিক প্রেমিকা একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকে। উহ!! কি যে সেই অনুভূতি…… জানি আমার জন্য হয়ত এমনি কোন সময় অপেক্ষা করছে, কিন্তু এ কেমন অপেক্ষা, এ যেন অনন্ত কাল ধরে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে প্রবাহিত সুমুদ্রের প্রবাহের মত।

আমার ভাল লাগে পাহাড়ের কান্না, ভাল লাগে সুমুদ্রের গর্জন। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে পাহাড়ের চূড়ায় বসে সূমুদ্রের গর্জন শুনতে। আচ্ছা এমন হলে কেমন হয়? মাথার উপর পূর্ণিমার চাঁদ, পৃথীবির উচ্চতম পাহাড়ের চুড়ায় বসে বিশাল সুমুদ্রের গর্জন শুনছি। ভাবতেই কেমন জানি লাগে। আমার এক সময় খুব ভাল লাগত পাহাড়, মনে পড়ে, আমার হলে আমার রুমে বসে একসময় পাহাড় দেখতাম।

কি অপরুপ সেই দৃশ্য, নিজের চোঁখে যারা পাহাড় দেখেছেন তারা নিসশ্চয় বুঝতে পারছেন। একটা সময় আমি পাহাড়ের সাথে কত কথা বলেছি একা একা। তারপর একদিন আমার সুমুদ্রদেখারও সৌভাগ্য হয়। প্রথম যে দিন আমি সুমুদ্র দেখি আমার আজও মনে আছে, সুমুদ্রের কাছে যাওয়ার সাথে সাথেই আমার মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি।

দু’চোখ দিয়ে অশ্রুধারা অঝোরে ঝরেছিল। আমি জানি না সবারই এমন হয় কি না। সেই স্মৃতি গুলো হাতরাচ্ছি ঠিক এমন সময় মনে হল আমার কিছু কাজ করতে হবে, অনুভূতিটা ঠিক এরকম, র্নিজনতা যেন আমাকে দেখে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আমিও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি, মনে হল সে যেন আমাকে স্পর্শ করতে চায়, আমিও ব্যাকূল হয়ে আছি নির্জনতা কে স্পর্শ করার জন্য। দু’জন খুব কাছা কাছি স্পর্শ করব ঠিক তখনি তার হাতের চায়ের কাপটা কাত হয়ে আমার কাঁধে পরল। বুঝেন এবার ঠেলা।

কি আর করা অগত্য অনিচ্ছায় আমার স্মৃতি থেকে বের হয়ে কাজে মনযোগ দিলাম। বিঃদ্রঃ আমার বানান ভুলের জন্য দুঃখিত। লেখাটা লেখা বিকাল ৫টায়। তখন দেওয়া হয়নি, কিন্তু এখন দিয়েছি , আপনাদের কষ্ট দেওয়ার জন্য ক্ষমা মার্জনীয়। ধন্যবাদ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।