আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাহাদের শেষ সংলাপ

গল্পের রাজত্বে বসবাস করছি আপাতত

পৃথিবীতে একমাত্র অবধারিত সত্য হলো মৃত্যু। কখনো কি আমরা ভাবতে পেরেছি ঠিক সন্মুখে যখন মৃত্যু দাঁড়িয়ে থাকবে কি বলবো আমরা, কি ই বা করবো। দশজন ব্যক্তির কথা জানা যাক যারা মৃত্যুর সময়ও পরিচয় দিয়েছেন রসবোধের। ১. কুইন মারির মৃত্যু হয়েছিলো গিলোটিনে। তার মৃত্যু দণ্ড কার্যকর করার জন্য জল্লাদ তাকে গিলোটিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই জল্লাদের পায়ে তার পা লেগে গিয়েছিলো।

রাণী মারী বলেছিলেন, ‘ক্ষমা করবেন জনাব, এটা আমি ইচ্ছা করে করিনি। ’ এটিই ছিলো জীবনের শেষ সংলাপ। ২. বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক জে এমন বেরি পিটার প্যান লিখে সারা বিশ্বে অমর হয়ে আছেন। মৃত্যুর আগ মুহূর্তে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ঘুমাতে পারছি না। ’ ৩. হলিউডের চির সবুজ নায়ক হামফ্রে বোগার্ট জীবনের শেষ সংলাপ হিসাবে বলেছিলেন, ‘আমার কখনোই স্কচ থেকে মার্টিনিতে আসা উচিত হয়নি।

’ স্কচ হুইস্কি থেকে মার্টিনিতে আসক্ত এই নায়ক তার মদ্য পানকেই কি মৃত্যুর কারণ মনে করেছিলেন? ৪. জেমস ফ্রেঞ্চ কোন বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন না, বরং কুখ্যাত বলা যায়। খুনের এই আসামীকে ইলেকট্রিক চেয়ারে বিদ্যুৎ প্রবাহ দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিলো। মৃত্যুদণ্ডর জন্য বৈদ্যুতিক চেয়ারে তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি তিনি জীবনের শেষ কথাটি চিৎকার করে বলেন, ‘ওহে বন্ধুগণ! কালকের সংবাদপত্রের জন্য এই শিরোনামটি কেমন? ‘ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস’! ৫. আরেক সিরিয়াল কিলার কার্ল পাঞ্জরাম ফাঁসি কাষ্ঠে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘তাড়াতাড়ি কর, হারামি হোসিয়ার [জল্লাদের নাম], তুই যতোক্ষন ধরে গাধামি করছিস ততক্ষণে আমি দশটা খুন করতে পারতাম। ’ ৬. জোসেফ হেনরি গ্রিন নিজের পালস দেখে বলেছিলেন, ‘এটা বন্ধ হয়ে গেছে’। এরপরই তার মৃত্যু হয়।

৭. ‘আমি অসুস্থ বোধ করছি। ডাক্তার ডাকো। ’ কিন্তু ডাক্তার আসিবার পূর্বেই স্রেফ এইটুকু বলেই চীনের মহা নায়ক মাও সেতুং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ৮. ভবিষ্যত বক্তা হিসাবে নস্ট্রাডামাস সারা বিশ্বে পরিচিত। তার বলা অনেক ঘটনাই পরে ঠিক ঠিকই ঘটেছে।

নিজের মৃত্যুর আগ মুহূর্তে তিনি বলেছিলেন, ‘আগামীকাল, আমি আর এখানে থাকবো না। ’ ৯. প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ঘটনা। পাশের সৈন্যকে সাকি বলেছিলেন, ‘জঘন্য সিগারেটটা নেভাও। ’ তার ভয় ছিলো, সিগারেটের ধোঁয়ায় শত্র“ তাদের অবস্থান জেনে যাবে। তবে তার এই কথা শুনতে পেয়েই ততক্ষনাৎ জার্মান সৈন্য গুলি করে এবং মুহূর্তেই তিনি মারা যান।

১০. মৃত্যু শয্যায় শায়িত নাস্তিক ভলতেয়ারকে পার্দ্রী বলেছিলেন, শয়তানকে অস্বীকার করে ঈশ্বরে বিশ্বাস আনতে। ভলতেয়ার বলেছিলেন, ‘এখন, ওগো ভাল মানুষ, এখন শত্র“ বানানোর সময় নয়। ’

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।