আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জীবনের কথা-৬



পরদিন ফোন করলো সীমানা- হয়তো প্রয়োজন ছিলো না ফোন করার। অল্প বয়সের অবুঝ মন সীমানাকে ভীষনভাবে কঠিন বাস্তবতার দিকে ঠেলে দিলো- শুরু হলো জীবনের নতুন অধ্যায়। ছোট ছোট ভুল মিলে একটা বড় ভুলের জন্ম হলো ওর মনের অজান্তেই ৩-৭ -হ্যালো ফোনটা ছেলেটাই ধরলো -কাল আমি ফোন করেছিলাম রিংকু ভাই-এর ছাত্রী, একটু কথা ছিলো -আবার ছাত্রী বলছেন? আমার বন্ধুর কোনো ছাত্রী নাই। -জ্বী ঠিকই বলেছেন, ভুলটা আমারই ছিলো প্লিজ কিছু মনে করবেন না, এুঁকু বলার জন্যই ফোন করেছি আপনাকে, ধন্যবাদ রাখি তাহলে, কিছু মনে করবেন না। ভুলতো মানষেরই হয়, খোদাহাফেজ বলেই রিসিভারটা নামাতে জাবে অমনি ওপাশ থেকে -শুনুন -হু -আপনার নামটা জানতে পারি এত কথা বললাম নামটাই জানা হলো না।

-সীমানা -আমি -আপনি কি পড়েন -কলেজে একথা সেকথায় চললো কিছুক্ষণ গল্প, কি করে কোথায় থাকে, সীমানা বার বার ফোন রাখতে চাচ্ছে আর উনি বলছে আর একটু কথা বলি, সীমানাও পারছে না রাখতে, এমন ঘটণার জন্য প্রস্তুত ছিলো না সে, আর এমন কিছুর সাথে সে পরিচিতও না, ছেলেদের সাথে জীবনে কথা বলেছে খুব কম, কি করে কথা বলতে হয় কিভাবে এড়িয়ে চলতে হয় তখনও ঠিক বোঝে না সীমানা। -শেষ পর্যন্ত ছেলেটি বললো আবার ফোন করবেন কথা বলবো, কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না -বিষয়টা এড়িয়ে যাবার জন্য বললো ঠিক আছে করবো, হয়তো সে বিশ্বাস করলো না আমার মনের অভিসন্ধি বুঝলো বললো প্রমিজ করেন। - কেনো? - শুধুতো একটা কথাই বলবেন, সমস্যা কি? আমাকে কি আপনার খারাপ মনে হচ্ছে? - নাহ, তা না - তাহলে প্লিজ ফোন করবেন, প্রমিজ করেন - ঠিক আছে করবো, তবে কবে সেটা বলতে পারি না - ঠিক আছে, তবে প্রমিজ করেন - প্রমিজ পারলো না সীমানা, মনের মধ্যে খচ খচ কেনো প্রমিজ করলো, ছোট মনের কোমলতা তখনো বোঝেনি অপরিচিত একটা মানুষের কাছে সামান্য একটা প্রমিজ জীবনে কিছু না। বরং ওর মনে হলো প্রমিজ যখন করেছি ফোনতো করা উচিত। ওর বোকামী ওর সরলতা ওর ভাবনার প্রেক্ষাপটকে সহজ করে দিলো।

জীবনের প্রথম প্রমিজ, ভুলতে পারছে না কিছুতেই এটা সেটা ভাবতে ভাবতে নিজের কাছে পরাজিত হলো সীমানা দুদিন পর আবার ফোন করলো আবার কিছুক্ষণ গল্প, কথা বলতে বলতে জানলো ছেলেটা ডাক্তার, হয়তো সেদিনও বলেছিলো কিন্তু তখন অতোটা খেয়াল করেনি। ডাক্তার সীমানা কোনদিনও পছন্দ করে না, গল্পের এক পর্যায়ে কথাটা বলে ফেললো ও। তখন সে ডাক্তারী পাশ করেছে, শিশু হাসপাতালে ইন্টার্নী করছে। একটু ভয় পেলো সীমানা এত বড় একটা লোকের সাথে গল্প করছে? কি জানি ঠিক হচ্ছে কিনা, মাঝে মাঝেই কথা হচ্ছে, গল্প করাটা কিছুটা নেশার মত হয়ে গেলো, ছেলেটার কণ্ঠ বেশ রোমান্টিক, ওকে টানছে, এক সময় রোজই ফোন করা শুরু হলো কিন্তু কেমন করে যেন একটু একটু করে আটকে যাচিছলো সীমানা, বুঝতে পারলেও ফিরতে পারছিলো না, ওটা ছিলো পুরুষের প্রতি ওর একটা মোহ... প্রচন্ড একটা মোহ, অজানা কিছুর প্রতি তীব্র আকর্ষণ তার প্রধান কারণ হচ্ছে প্রচন্ড শাসনের মধ্যে বেড়ে ওঠা, এস, এস, সি পরীক্ষার আগ পর্যন্ত কখোনো কোন ছেলের সাথে কথা বলেনি সীমানা বা বলতে দেয়া হয়নি। পুরুষজাতিটা ওর কাছে একটা স্বপ্ন ছিলো।

একটা অজানা ভূবন ছিলো। প্রচন্ড আকাংক্ষা ছিলো জানার এই অজানা ভূবন সম্পর্কে। কেমন যেন পুলকিত হতো কিছু ভাবতে গেলেই। এই অদম্য আকর্ষন ওকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে দূর থেকে দূরে কোন অজানায় তা সীমানা নিজেও বোঝেনি । চলবে............



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.