আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবসুর অবস্থা সংকটজনক

আমি পড়তে ভালোবাসি

পশ্চিমবঙ্গের বর্ষিয়ান জননেতা ও রাজ্যের সাবেক মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবসু অসুস্থ্যতার নিয়মিত খবর পড়ছিলার কলকাতার অনলাইন পত্রিকা গুলোতে। তিনি আগের তুলনায় ভালো নয়। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তাকে ফিজিওথেরাপী করা হচ্ছে। তিনি বিপদমুক্ত নন।

তার ফুসফুসে সংক্রামন রয়েছে। বাড়ি যাওয়ার জন্য মন উতালা হয়েছে। মাঝে মধ্যে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। ৬ জানুয়ারীর খবর ছিল তার অবস্থা খারাপ। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে চিকিৎসরা ভেনটিলেটারের সাহায্য নেন।

তার প্রচন্ড শ্বসকষ্ট শুরু হয়েছে। তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার ১ জানুয়ারী, ৯৬ বয়সের বসুবাবু কে কলকাতার সল্ট লেকের বেসরকারি হাসপাতাল এএমআরআইতে ভর্তি করা হয়। শুরু থেকেই তাকে ইনটেনসিভ কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে (আইসিসিইউ) রাখা হয়েছিল। জ্যোতি বসুর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং এএমআরআই হাসপাতাল কর্তৃক গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা. এ কে মাইতি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। ক্ষণে ক্ষণে পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে।

তাই তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। ’ হাসপাতাল কর্তৃক প্রচারিত একটি মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়, ‘ফুসফুসের অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ায় জ্যোতি বসু প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন। এ কারণে তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। তবে তার হার্ট এবং কিডনি ভালভাবে কাজ করছে। ’এদিকে বৃহস্পতিবারের কলকাতার বাংলা দৈনিক বর্তমান বাংলা লিখেছে দলমত নির্বিশেষে নেতাকর্মীরা তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটছেন।

। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহস সিং জ্যোতিবসু কে দেখতে কলকাতা আসছেন। গত শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকে জ্যোতি বসুর শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছিল যা মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। কিন্তু বুধবার পরিস্থিতি আকস্মিকভাবে পাল্টে যায়। ৬ জানুয়ারী সন্ধ্যারপর জ্যোতি বসুর অবস্থার অবনতি ঘটায় দিনভর বিভিন্ন মহল থেকে তার মৃত্যুর গুজব ছড়াতে থাকে।

অসংখ্য ওয়েবসাইট তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে। তবে দায়িত্বশীল ও পরিচিত ওয়েবসাইটগুলোর কোনটিতে এমন খবর দেখা যায়নি। গুজব ছড়ানো ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল হটইন্ডিয়া ডটকম নামের একটি সংবাদভিত্তিক ব্লগ। এটি বেশ গুরুত্বসহকারে জ্যোতি বসুর ‘পরলোকগমন’-এর খবর প্রকাশ করে। এতে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, বুধবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জ্যোতি বসুর মৃত্যু হয়েছে।

তাকে ভেন্টিলেটর দিয়েও বাঁচানো যায়নি। রিপোর্টে এও বলা হয়, হাসপাতাল ইচ্ছা করেই মৃত্যুর খবর প্রচার করছে না। চিকিৎসকরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তারপর মৃত্যুর খবর মিডিয়াকে জানাবে। রিপোর্টের শেষদিকে বলা হয়, যে যাই বলুক না কেন, কিছুক্ষণ আগে একটি ইতিহাস অতীত হয়েছে। প্রসঙ্গত: জ্যোতি বসু ১৯১৪ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৭৭ সালের জুনে তিনি পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। স্বাস্থ্যগত জটিলতা শুরু হবার পর ২০০০ সালে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। জ্যোতি বসুর আরোগ্য কামনা করে ফুল পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার রাতে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার তার দেশের প্রধানমন্ত্রীর তরফে জ্যোতি বসুর আরোগ্য কামনায় ফুল নিয়ে যান এএমআরআই হাসপাতালে। রাতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. দীপু মনি এ ব্যাপারে চিঠি পাঠান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির কাছে।

তিনি দ্রুত তার আরোগ্য কামনা করেন। #

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.