আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সমঝোতা

সময়ের প্রয়োজন

আস্তিক- নাস্তিকের ক্যাচাল নিয়ে অনেকেই বিরক্ত, ঠিক এসময় আমি আসছি কয়েকটি সমঝোতা প্রস্তাব নিয়ে। এটাকে আবার আমি কয়েকটি ভাগে ভাগ করতে চাই। ১. জন্ম ও বংশবিস্তার পর্ব ২.পানি পর্ব ৩. পরিবেশ পর্ব ৪. মহাকাশ পর্ব ৫. মানবদেহ পর্ব ১. জন্ম ও বংশবিস্তার: আপনি নাস্তিক হন কিংবা আস্তিক স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে, জীবের জন্ম ও বংশবিস্তার এবং তার ব্যবস্থাপনা এমন এক রহস্য, এমন এক নিয়মের অধীন যে, এর অন্যথা হলে মানুষের কোন ক্ষমতা ছিলনা এ পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার। মানুষের সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করেন, মানুষ ভুমিষ্ট হওয়ার পূর্বে থাকে মাতৃ-উদরে। কি নিখুত ICU! আর জন্মের পরে? এখন পর্যন্ত সবাই একমত হবেন যে মাযের দুধই শিশুদের শ্রেষ্ট খাবার।

পুষ্টি বলেন আর এন্টিবায়োটিক বলেন। এই পরিকল্পনা কিন্তু মানূষ করে রাখে নাই। সবাই একটি জিনিস হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন, অনেকের বাড়ীতে একই মুরগী হাস ও মুরগীর ডিমে তা দেয়। মুরগীকে মানূষ বলে দেয়না যে তুমি তা দেও, মুরগীটিও কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েনি। মজার ব্যাপার হলো ডিম থেকে যে বাচ্চা ফুটল হাস ও মুরগীর ঐ বাচ্চারা পানির পাশ দিয়ে চলে গেলে শুধু হাসের বাচারাই পানিতে লাফ দেয়, কারণ, মুরগীর বাচ্চারা জানে (?)যে, তাদের পানিতে ভেসে থাকার ক্ষমতা নাই।

আমরা বটবৃক্ষের বংশ বিস্তারের দিকে লক্ষ্য করি, একই স্থানে অনেক বটগাছ হলে পথিকের জন্য লাভজনক হয়না। আমরা জানি বটগাছের ফল পাখিতে খাওয়ার পরে মলত্যাগ করলে সেই বিচিতে বটগাছ হয়। সরাসরি বিচি থেকে হয়না। এভাবে বটগাছ ছড়িয়ে পড়ে। দেখুন, নারিকেল গাছ কিভাবে পানিতে ভেসে ভেসে বিভিন্ন স্থানে বংশ বিস্তার করে।

এরুপ হাজারো ঘটনা আছে যা ভাবলে অবাক হতে হয় যে কি সুন্দর এই ব্যবস্থাপনা! (চলবে...)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।