আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহবাগে ছাগু স্কয়ার সুলভ বেলুন বিলাস ......... মজা লস্ মানুষের সাথে??????

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি । তবে স্বপ্ন দেখা নিয়ে কিছুদিন যাবত একটা সমস্যা হয়ে গেছে । নতুন দেখা স্বপ্নগুলো কেন যেন পূরণ হচ্ছে না খুব শীঘ্রই এই সমস্যা কেটে যাবে এই আশাতেই আছি । " ২০ শে ফেব্রুয়ারী বিকাল ৪ টা ১৩ মিনিটে সবাই একটি গ্যাস বেলুন নিয়ে সেই বেলুনে শহীদদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে উড়িয়ে দিবেন...." মজা লস্? আমরা দলমত নির্বিশেষে প্রতিটা রাজাকারের বিচার চাই কিন্ত একই সাথে এতোদিন আন্দোলন চলার পর, আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত একাধিক মানুষের মৃত্যুর ( রাজিব থাবা কে অবশ্যই ঘৃনা করি, তবে সে আন্দোলনে ছিলো এটা মানতেই হবে তা তার উদ্দেশ্য রাজাকারের বিচার চাওয়া বা ইসলামের বিরুদ্ধাচার করার সুযোগ বাগানো যেটাই হোক) পর এমন চলমান ফোটকা দিয়া আকাশের ঠিকানায় চিঠি লেখার মতো কর্মসূচী যারা দিতে পারে তাদের পাছায় চিকন জালি বেত দিয়া কইষ্ষা বেত না ভাঙ্গা পর্যন্ত বাইরানোরও দাবি জানাই । আইন সংশোধন করা হয়েছে, আপিল পরবর্তী কার্যক্রম পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে আমাদের আন্দোলনের চাওয়া অনুযায়ীই এগোবে অতি আশাবাদী মানুষ হিসেবে এতোটুকু আশা আমরা করতেই পারি ।

কিন্তু এর মধ্যবর্তী সময়ে এই টাইপ ফাইজলামির মানে কি? সারাদেশ থেকে মানুষ শাহবাগ কি এই ধরনের তামাশা দেখার জন্যে এসেছিলো? ভ্যালেন্টাইন ডে, ফাল্গুন সব ভুলে গিয়ে মানুষ দিনের পর দিন রাস্তায় বসে স্লোগান দিয়ে গেছে কোন রেজাল্ট দেখার জন্য । আমার নিজের চোখে দেখা দুই হাত কনুইয়ের নিচ থেকে কাটা যাওয়া বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা তার অবশিষ্ট হাত আকাশের দিকে তুলে ধরেছিলেন তার প্রানের দাবি আদায় হওয়া দেখতে, আন্দোলনকে সরকারের পোষা হয়ে যাওয়া দেখতে না । শাহবাগের ব্যাপারে মুখ খোলার সময় এসেছে । মানুষ বিভক্ত হতে চায় নি । সব দল, মত , শ্রেণী, বয়সের মানুষ ওখানে গেছে ।

মানুষের বিভক্তির জন‍্য জামাত, শিবিরের ছাগুদের মতো আন্দোলনের কেন্দ্রে বসে থাকা আর সাক্ষাৎকার দিয়ে বেড়ানো তালেবররাও সমান দায়ী । বেলুন টাইপ কর্মসূচি আরো দেয়ার আগে আন্দোলনের রুপরেখা এখনই আমাদের স্পষ্টভাবে জানানো হোক । বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য শাহবাগ না । যারা ওখানে মন থেকে গেছে তাদের বিরিয়ানি খাইয়ে আর সিনেমার শুটিংয়ের মতো ট্রলি ক্যামেরায় ছবি তুলে অপমান করা হচ্ছে । এসব পিকনিক টাইপ জিনিস শাহবাগে ঢুকবে কেন ? আমাদের বাপ - দাদারা না খেয়ে যুদ্ধ করেছেন আর আমাদের জন‍্য খাবার প‍্যাকেটের পাশাপাশি একাধিক বাথরুমেরও ব‍্যবস্থা করে রাখা হয়েছে ।

এতো নাগরিক সুবিধা চলে আসলে আন্দোলন আর যাই থাকুক " আন্দোলন " থাকে না । বিচার দূরে থাক, লোকদেখানো কোন তদন্তও হয়নি লাকি আক্তারের উপর হামলার বিরুদ্ধে , থেমে থাকেনি রাজাকার পেটে নিয়ে চলা সরকারিদলের আন্দোলনকে নিজেদের বলে চালিনোর প্রবনতা । আন্দোলন ছিলো রাজাকারের বিরুদ্ধে আর জামাতকে আসল ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল বানিয়ে তার মোড় ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে ধর্মের বিরুদ্ধে । দুইটা ভিন্ন ইস‍‍্যুকে এক করে আসিফ মহিউদ্দীন শ্রেণীর চামচা বনে যাওয়ার অর্থ কি? সব রাজাকারের ফাঁসি আমরা সবাই চাই, কিন্তু তার জন্যে নিজের ধর্ম , বিবেকবোধকে অপমান করে না । আন্দোলন চললে চলার মতো, নিরপেক্ষভাবে সব রাজাকারের ফাঁসি চেয়ে চালাও আর না হয় বন্ধ করো ।

এইসব বেলুন বিলাসটাইপ কাজ করতে চাইলে আমরা যারা রাস্তায় ছিলাম তারাই ব্যানার নিয়ে দাড়িয়ে যাবো, " ছাগলামির নাটক থামা হারামজাদা! " ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।