আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাগুরায় মাতামাতি-৩



ভাই, ও ভাই উঠেন, সকাল হয়ে গেছে। লম্বুর ডাকে ঘুম ভাঙে। সকাল ১১.১০। ফ্রেশ হয়ে আসতে আসতে দেখি নাস্তা রেডী। লম্বুকে বলি, কিওে তুই তো সুন্দর হয়ে গেছিস! তার মা বলেন হ্যা রে বাবা শুধু যদি একটু বৃদ্ধি শুদ্ধি হত! তার বিরুদ্ধে কমপ্লেন সে অনেক রাত্রে বাড়ী ফেরে।

লম্বুর বাবা-মা অসম্ভব ভাল মানুষ। বাবা স্কুল শিক্ষক ছিলেন। এখন রিটায়ার্ড। তারা এতদিন গ্রামের গ্রামের বাড়ীতেই ছিলেন, এখন শহরে এসেছেন। শাকিলের সাথে চাচার খুব ভাল সম্পর্ক।

নাস্তার পর বাইরে বেরুনো হল। স্টডিয়াম পাড়া নাম এই যায়গার। স্টেডিয়ামের পাশে এস দেখি নেতা উপস্থিত তার বাইক নিয়ে। এরপর লম্বু কিছুক্ষনের জন্য বাইক নিয়ে উধাও। নেতা আমাদের তিনজনকে তিনটা মেম্বারশিপ আইড দিল, বলল সবসময় না লাগালেও হবে শুধু সামনে যাওয়ার সময় ব্যবহারের জন্য।

লম্বু ফিরলে আমরা রিকশায় আর লম্বু আর নেতা বাইকে অনুষ্ঠানস্থল অর্থ্যাৎ সরকারী কলেজের দিকে রওনা দিলাম। পথে শাকিলের ঐযে অমুকের বাড়ী, এইযে আমার কলেজ, এখানে আমরা টাংকি মারতে আসতাম ইত্যাদি। কলেজে পৌছে দেখি স্টেজ কমপ্লিট, সাউন্ড চেক হচ্ছে...ভিতর বলে বাইরে থাকুক ...। সেখানে দেখা পও্রধারন আয়োজকের সাথে। আওে ভাই আপনারা কখন আসলেন... ইত্যাদি।

কিছুক্ষন ঘোরাফেরার পর শাকিল বলল চল, বাউলের দোকানে গিয়ে তোকে মানুষ বানিয়ে পরে বাসায় যেতে হবে। সেই বিকাল ৩টায অনুষ্ঠান। আবার ও রিক্সাযোগে বাউলের দোকান, চৌড়ঙ্গী মোড়। বাউল আমাদের দেখে চা-সিগারেট ইত্যাদি দিয়ে সমাদও করতে অস্থির। সামনে সেলুনে গিয়ে আমি ”মানুষ” হয়ে এলাম, তারপর সবাই মিলে রওনা উদ্দেশ্য-শাকিলের বাসা।

শাকিলের বাসায় পৌছে চাচা চাচীর সাথে দেখা হওয়ার পর গোসলের উদ্দেশ্যে ”নবগঙ্গা” উদ্দেশ্যে যাত্রা... চলবে...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.