আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তৃতীয় ছবিতে সংহত হলেন ফারুকী

সঙ্গে সাহিত্যের সুবাস ...

থার্ড ছবি থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার ছবিতে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে সংহত অবস্থায় পাওয়া গেল। ব্যাচেলর-এ ফাহিমদের প্রেম-প্রক্সি খেলার কার্যকারণ যেমন যৌক্তিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তেমনি রাজনৈতিক-ছবি-হতে-চাওয়া মেড ইন বাংলাদেশ-এ অতি-উচ্চকিত স্লোগানধর্মিতার কারণে বক্তব্য দর্শকের মনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়নি। কিন্তু থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার ছবিতে মুন্না-রুবা-তপুর ট্রায়াঙ্গুলার অথচ সিঙ্গুলার রিলেশনের কাহিনী দর্শকের মনে গেঁথে যায়, এর আধেয় এবং আঙ্গিক উভয় বিবেচনাতেই। মোটের ওপর এটি আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গীর ছবি। ব্যাচলর-এও আধুনিকতা ছিল, কিন্তু তা হালফ্যশনময় এক উপরিতলে ঘুরপাক খায়।

কিন্তু সিঙ্গুলার নাম্বার-এর সিঙ্গুলার নারী রুবার মনস্তত্ত্বের গভীরে পরিচালকের প্রবেশ করার প্রচেষ্টা ছবিটিতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রুবার জীবনসঙ্গী (স্বামী নয়) মুন্না কী এক গোলমাল করে খুনের অভিযোগে জেলবন্দী। ছবি শুরু হয়েছে এর পরের ঘটনা থেকে। রুবা এরপর থেকে মোটামুটি ঘরছাড়া। তার মা সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে আগেই ঘর বেঁধেছেন।

বাবা মারা গেছেন। মুন্না-রুবার বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটিকে সম্মান না করার সিদ্ধান্ত যেহেতু মুন্নার বাবা মেনে নিতে পারেননি, তাই জেলে যাবার পরই রুবাকে শ্বশুরবাড়ি ছাড়তে হয়। একা একা ঘুরে শেষে পুলিশের হেফাজতে থানায় এক রাত কাটাতে হয়। পরে আশ্রয় নেয় খালাতো বোনের বাড়িতে। খালাতো বোনের ওখানে থেকেই সে চাকরি ও নতুন বাসা খুঁজতে থাকে।

এই পর্যায়ে দেখা যায় তাকে অনেকেই বাসা বা আশ্রয় কিংবা চাকরি দিতে চায়, তবে একাকী মেয়ের বিপন্নতার সুযোগে কেবলই তার শরীর পাবার আশায়। কেউ চাকরির নামে তাকে বাগানবাড়িতে আসতে বলে এবং তাকে স্পর্শ করতে চায়। একজন ‘বন্ধুদের আড্ডাস্থল’ বলে পরিচিত এক রুমের এক বাসা দেয়, কেবলই তাকে অন্তরীণ অবস্থায় ভোগ করতে পাবার আশায়। একজন আবার চাকরি দিতে চায়, উচ্চবেতন দিতে চায়, বিনিময়ে কেবলই শরীরী বাসনার ইংরেজি গান শুনতে হয় রুবাকে। বলা দরকার এই পুরো লোভী কমিউনিটিই হলো বার্ধক্যবয়সী।

ছবির প্রথম অংশের বেশ খানিকটা সময়জুড়ে বিপন্ন রুবাকে দেখা যায়, যে সংগ্রাম করছে একা বেঁচে থাকার জন্য। এই পরিস্থিতিতে ডিকন নামের এক বড় ভাই তার অ্যাড ফার্মে রুবাকে চাকরি দেন, সে অংশত অবলম্বন অর্জন করে। তার বিপদ প্রায় পুরোপুরি কেটে যায় যখন সে তার বাল্যবন্ধু এবং বর্তমানে বিখ্যাত গায়ক তপুর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। তপু প্রথম জীবনে রুবার প্রেমপ্রার্থী ছিল, কিন্তু রুবার অনাগ্রহে তা পূর্ণতা পায়নি। একালে গান গেয়ে বিখ্যাত তপুই রুবার সহায় হয়।

তার জন্য অভিজাত এলাকা বসুন্ধরায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে দেয় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে। রুবার দ্বিতীয় লিভ-টুগেদার শুরু হয় তপুর সঙ্গে। প্রথম দিকে একই বাসায় দুই রুমে থাকতে থাকতে দুজনেই চঞ্চল হয়ে ওঠে। তপু নানা উছিলায় রুবার রুমে টোকা দেয়। রুবাও দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু তার আরেকটি সেল্ফ, ১৩-বছর-বয়সী রুবা এসে তাকে বাধা দেয়।

তার নৈতিকতা-বিবেক ধরে টান দেয়। ফলে দু’জনের লিভ-টুগেদার চলতে থাকে, শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াই। এদিকে চাকরি-তপু ইত্যাদি কারণে রুবার দিক থেকে মুন্নাকে দেখতে যাওয়া কমে যায়। একবার দেখা করতে গেলে মুন্নাও ক্রোধ ও অসহায়ত্ব থেকে রুবাকে নানা সন্দেহ ও দোষারোপ করে। একদিন মুন্না রুবার সঙ্গে দেখা করতেও অস্বীকৃতি জানায়।

ঢাকা থেকে আগত রুবা তপুর পরামর্শে জেলশহরেই থেকে যায়। রুবা প্রতিদিন জেলগেটে যাবে, যতদিন না মুন্না দেখা করতে আসে। মুন্না একদিন দেখা করে এবং ক্ষমাপ্রার্থনা করে। এরমধ্যে উকিলরা জানাতে থাকে যে মুন্নার মুক্তি মেয়াদের আগে অল্প সময়ের মধ্যেই হতে পারে। এই পর্যায়ে রুবা তপুকে বারবার ধন্যবাদ দিতে থাকে, এবং বলতে থাকে তার ঋণ শোধ হবার নয়।

তপু ক্যাজুয়ালি ‘ঋণশোধ’-এর ইঙ্গিত দেয়। একদিন রুবাও ঋণশোধে সম্মতি জানায়। রেকর্ডিং স্টুডিও থেকে তপু গাড়ি নিয়ে ছুট দেয়, পথে দোকান থেকে নিরোধক সংগ্রহের নানা কমিক সিচুয়েশনের জন্মও দেয়। কিন্তু বাসায় পৌঁছে দেখে রুবা নেই। কারণ রুবা এরমধ্যেই জানতে পেরেছে মুন্না শিগগীরই জেল থেকে বের হচ্ছে।

বঞ্চিত তপু প্রথমে রাগ করলেও পরে নিজেকে সামলে নেয়। মুন্না জেল থেকে বেরুবার পর দেখা গেল রুবা উল্লসিত হচ্ছে না, আবেগে ভাসছে না। বরং কেমন একটা আড়ষ্টতা মুন্নাকে ভাবতে বাধ্য করলো যে দুই বছরে সব পরিবর্তিত হয়ে গেছে, এমনকি রুবাও। শয্যায়ও রুবা আড়ষ্ট, তার শরীর বিছানায়, কিন্তু মন পড়ে আছে তপুর জন্য। যে মুন্নাকে ফিরে পাবার জন্য রুবার সংগ্রাম, যে সংগ্রামে তপু সহায়ক ছিল কেবল, সেই মুন্নাকে পাবার পর কেবলই রুবার তপুকে মনে পড়ছে।

বা মধ্যিখানে তপুর উপস্থিতি সব সম্পর্ককে পাল্টে দিচ্ছে। এদিকে মাকে দেখতে গিয়ে রুবা পায় তার মৃত্যুসংবাদ। মার মৃত্যু রুবাকে আরও এলোমেলা করে দেয়। যে-মাকে তাদের ছেড়ে প্রাক্তন প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য সে এতদিন ঘৃণা করে এসেছে, নিজের জীবনের অন্তর্গত জটিলতা দিয়ে সেই মাকে সে ভালবাসতে শিখলো, মার মৃত্যুর পরে। রুবা মুন্নাকে জানায় যে তার জীবনে আরেক পুরুষ আছে।

অতএব তাদের আলাদা হয়ে যাওয়া ভালো। এই কথা মুন্নাকে এলোমেলো করে দেয়। মুন্না এক সপ্তাহ সময় চায়, পরীক্ষা করার জন্য যে এরপরও একসঙ্গে থাকা যায় কিনা। পরে উভয়ে সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা একসঙ্গেই থাকবে, বন্ধু হয়ে, বাসা ভাড়া শেয়ার করে। কারণ তাদের উভয়েরই যাবার আর কোনো জায়গা নেই।

ছবিশেষে দেখা যায় তপু এসেছে রুবার বাসায়। সে রুবাকে বলে কক্সবাজারে বেড়াতে যেতে। রুবা বলে মুন্নাকেও সঙ্গে নিতে। তপু নিতে এবং মুন্না যেতে রাজি হলে, শেষ দৃশ্যে তিনজন সিঙ্গুলার নাম্বারকে দেখা যায় কক্সবাজারে একত্রে এবং একাকী সময় কাটাতে। আগেই বলেছি থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির ছবি।

অর্থাৎ নগরায়ণ ও আধুনিকতার প্রভাবে প্রথাগত অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিই নতুন প্রজন্মের মানুষের আস্থা কমতে থাকে, বিয়ে যেমন একটি প্রতিষ্ঠান। নারী-পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এই দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তন আসে। তবে যতই আধুনিকতা আসুক, নারীর ক্ষমতায়ণের সম্ভাবনা যতই বাড়ুক, নারী ও তার শরীর সনাতন ও আধুনিক সব সমাজেই যে এবিউজের শিকার -- এই ছবির মূল বক্তব্য এটাই। কিন্তু এসবের মধ্য দিয়েই দৃঢ়চেতা নারীরা এগিয়ে যায়, রুবা যেমন। আর দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তন যে অনেক নতুন ক্রাইসিসের জন্ম দেয়, ছবিতে তাও এড়িয়ে যাওয়া হয়নি।

তবে পশ্চিমের তুলনায় ক্রাইসিসের ধরনে পার্থক্য আছে। নগরায়ণ, আধুনিকতা, বিশ্বায়ণের চাপে বাংলাদেশের প্রধান নগর ঢাকায় সনাতন সংস্কৃতি পুরোপরি উঠে যায়নি, মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতা অতটা প্রকট হয়নি। তাই রেজিস্ট্রেশনের বিয়ে না করেও মুন্না ঠিকই বসবাসের জন্য রুবাকে নিয়ে বাবার সামনে গিয়েছে সম্মতির জন্য এবং দু’জনে ঐ বাসাতে বসবাসের অনুমতির জন্য। মা পুরনো প্রেমিকের বাসায় চলে যাওয়ায় রুবার যে ঘৃণা তাও সনাতনী সংস্কৃতিবাহিত মূল্যবোধের কারণেই। এই ছবিতে প্রত্যাবর্তন টেলিফিল্মের ফারুকীকে খুঁজে পাওয়া গেল।

অর্থাৎ ক্লাসিক্যাল ন্যারেটিভ ধারায় গল্প বলার পরিবর্তে চলচ্চিত্র-ভাষার আশ্রয়ে নিরীক্ষার প্রয়াস লক্ষ্যণীয় এখানে। কাল ও পরিসরকে ম্যানিপুলেট করার ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রিক সুবিধা গ্রহণের উদ্যোগ স্পষ্ট আছে ছবিতে। কার্যকরভাবে ফ্ল্যাশব্যাকের ব্যবহারের পাশাপাশি কিছু কিছু স্বপ্নদৃশ্যের মাধ্যমে একটা পরাবাস্তব আবহও তৈরি করা হয়েছে। রুবার মনস্তত্ত্বের গভীরে যাবার জন্য এক রুবাকে ভেঙ্গে তার তিনটি সেল্ফ তৈরি করা হয়েছে -- শিশু রুবা, কিশোরী রুবা ও বর্তমানের রুবা। বিশেষত কিশোরী রুবা বর্তমানের রুবার সঙ্গে প্রায়ই তর্ক করে, তার দৃষ্টিতে বর্তমানের রুবার যেকোনো ‘অনৈতিক’ কাজে বাধা দেয়।

আর তাদের তর্কের মাঝখানে শিশু রুবা মন খারাপ করে, কাঁদে। তবে পরাবাস্তব আবহ সবচেয়ে মনোগ্রাহী হয়েছে মায়ের মৃত্যুর পর একটি স্বপ্নদৃশ্য -- সবুজ এক বিস্তৃত চত্বরে একটা খাট, খাটে রুবা শুয়ে। সে খাট থেকে নেমে হাঁটতে হাঁটতে একটি বড়ো দীঘির পাশে যায়। দীঘির ওপারে মায়ের আবছা বসে থাকা, মার পেছনে আরও বিস্তৃত প্রান্তর, কিন্তু কুয়াশারহস্যে তার অস্তিত্ব অদৃশ্যমান। লংশটে সবুজ চত্বর-রুবা-দীঘি-মা-কুয়াশারহস্য ... একটা পেইন্টিঙের গভীরতা ফ্রেমজুড়ে।

দর্শকের মনে রুবার যন্ত্রণার অনুভূতি ছড়িয়ে দেবার জন্য একটা দুটো উদ্যোগ অবশ্য অকারণ মনে হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর পরপরই রুবাকে ৫ বা ৬ তলা থেকে সিঁড়ি বেয়ে নামতে দেখা যায়। রুবা সিঁড়ি বেয়ে নামছে, ৩৬০ ডিগ্রিতে ক্যামেরা চক্রাকারে মুভ করে -- শটটা ভালোভাবেই নেয়া হয়েছে। কিন্তু এই লং টেকের সঙ্গে আগের ও পরের দৃশ্যের কোনো সংশ্রব নেই। বিপর্যস্ত চরিত্রের বেহাল দশা দেখাতে সিঁড়ির ব্যবহার একটা অতি পুরাতন আর্ট ফিল্মীয় কায়দা।

পশ্চিমবঙ্গের আর্ট ছবিতে বহুব্যবহৃত এই কায়দাটা না ব্যবহার করলেই ভালো হতো। বিশেষত অত উঁচুতে রুবা কেন উঠলো, তার অফিস ঐ তলায় কিনা -- এরকম কোনো তথ্যই এর আগে বা পরে দেয়া হয়নি। অন্যদিকে মুন্নার জেল হবার প্রকৃত কারণ কী তা স্পষ্ট করে বলার ক্ষেত্রে চিত্রনাট্যকার আনিসুল হক ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে অনীহ থাকতে দেখা গেছে। কী কী কারণে তার জেলবাস এতটা সংক্ষিপ্ত হয়ে গেল, তাও পরিস্কার করা হয়নি। ছবিটিতে ক্যামেরা চালিয়েছেন সুব্রত রিপন।

তিনি ক্লোজ শটগুলো ভালো তুলেছেন। আর লো-এ্যাঙ্গেল শটের প্রতি তার পক্ষপাত রয়েছে, ছবিতে স্পষ্ট। তিতাস সাহার সম্পাদনায় আলাদা করে কিছু পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়নি, কারণ এই লেখার পূর্বে একবারই মাত্র ছবিটা দেখা হয়েছে। তবে মুন্না ট্রেনযোগে জেল থেকে ফেরার পর যখন রুবার অভিজাত চেহারার বাসাটি ঘুরে ঘুরে দেখছে, সাউন্ড ট্র্যাকে তখনও ট্রেনচলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে -- একটা ভিন্ন দ্যোতনা সৃষ্টিতে আগের শটের চলমান সাউন্ড পরের শটের ভিস্যুয়ালের সঙ্গে মিক্স করা হয়েছে। এই প্রয়াসটি মনে রাখার মতো।

তবে লিমনের মিউজিক সুপ্রযোজ্য মনে হয়নি সব স্থানে। তবে ইমপ্রেস প্রযোজিত ছবির একটা সমস্যা থেকেই যাচ্ছে: প্রডাক্ট প্লেসমেন্টের দায়বদ্ধতা। যেহেতু ইমপ্রেস কর্পোরেট পুঁজিতে ছবি বানায়, তাই ইমপ্রেস প্রযোজিত ছবিতে পণ্যের প্লেসমেন্ট কায়দা করে ঢোকানো হয়। ব্যাচেলর-এ ইউরোকোলা, দূরত্ব ছবিতে ম্যাগী নুডুলস, এই ছবিতে বসুন্ধরা হাউজিংকে প্লেস করা হয়েছে টেক্সটের মধ্যে। ফারুকী এই ফাঁদে অন্তঃত দু'বার জ্ঞানে সজ্ঞানে পা দিলেন।

হায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা! ১৯ ডিসেম্বর, ২০০৯ প্রথম প্রকাশ: স্থান সঙ্কুলানজনিত কারণে কিছু সম্পাদনার পর ২৪ ডিসেম্বর, ২০০৯ প্রথম আলো-তে লেখাটা ছাপা হয়েছে। : Click This Link. এটা এখানে ব্যবহৃত চিত্রেরও লিঙ্ক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।