আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হযবরল

আমি আমার দেখা সবচেয়ে অলস মানুষ!

অনেক দিন পর আমার ডায়েরীর কথা মনে পড়ল। কত সুখের, দুঃখের কাহিনী গুলো দুজনে শেয়ার করতাম। আমিও ভুলে গেলাম আমার সবচেয়ে কাছের এই বন্ধুটিকে। যার কাছে আমি বলতাম আমার সব সব কিছু। দুজনে কোন কিছুই গোপন করতাম না।

কবে কোন বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছে কে আমার টিফিন চুরি করে খেয়ে ফেলেছে, কবে আমাদের সবচেয়ে প্রিয় স্যার আমাদের বিদায় দিয়ে বলেছিলেন,‌তোমরা বড় হচ্ছ। তোমরা এখন বুঝতে শিখেছো ভাল ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য। সবচেয়ে বড় কথা তোমরা শিক্ষিত। তোমরা এখন ব্যতিক্রম অনেকের চেয়ে। কারণ তোমরা এখন যে কোন কিছু দেখবে যুক্তি দিয়ে আবেগ দিয়ে নয়।

সবসময় থাকবে বাস্তববাদী। যখন বাস্তব আর আবেগ এই দুইয়ের লড়াই হয় সবসময় বাস্তবই জয়ী হয়। তাই তোমাদের হতে হবে বাস্তববাদী। বাস্তব অনেক নির্মম কিন্তু বাস্তবই আবার অনেক সহনীয় যদি মেনে নিতে পার। অনেক দিন পর গতকাল এই কথা গুলো আবার আমাকে মনে করিয়ে দিলেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক জন স্যার।

স্যার আমাদের একটা প্রশ্ন করেছিলেন তোমরা কি নিজেদের কাছে নিজেরা সৎ। সবার আগে চেষ্টা করতে হবে নিজের কাছে নিজে যেন সৎ থাকতে পার। সেই থেকে আমার মাথায় এই কথায়ই বাজছে। কিন্তু আয়নার সামনে যদি দাড়াই তাহলে সে আমিটা কে তাকে কি চিনতে পারব। সেই ভয়েই দাড়াচ্ছি না।

সে যাই হোক আজ বোধ হয় আমার আবেগ ব্যপারটা খুব বেশী জাগ্রত হয়ে আছে। কেন তা তো জানি না। কিন্তু কোন একটা ব্যপার তো ঠিকই ঘটেছে। আজকের দিনটা ভালো কাটতে কাটতেও মনে হয় ভালো কাটে নি। হঠাৎ করেই মনটা অনেক খারাপ।

কিছুক্ষন আগে রাত প্রহরীরা বাঁশি বাজিয়ে গেল। সবাইকে সাবধান করে গেল। হাসি পেল খুব। সবাই গভীর ঘুমে তাহলে সাবধানটা কে হবে। চোর ডাকত, এরা! এদের কাছে সাবধানটা; এই জিনিস আবার কি? এরা তো জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করে।

যাক তারা ঝুঁকি নিক। তাদের কাজ তারা করতে থাক। কিন্তু আমরা সবাই সবসময় একটা স্বপ্ন দেখি । আমরা সবাই শহুরে এই বন্দী চারদেয়ালের বাসা থেকে মুক্ত হতে চাই। চাই বাঁশবাগানের মাথার ওপর যে চাঁদ উঠে তা ছাদের উপর থেকে না দেখে বাঁশবাগানের উপর দিয়েই দেখতে।

সকালে যদি ঘুম ভাঙত ভোরের পাখির ডাকে। এখন নাকি শীতকাল। এটা যদি শীতকাল হয়েই থাকে কে বলবে এর কথা। আমার কাছে তো শীতকাল মানে চুলোর পাশে বসে গরম গরম ভাপা পিঠা খাওয়া, কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে না চাওয়া, আর যদি উঠেই পড়ি তাহলে রোদে বসে রোদ পোহানো। এর চেয়ে আরামের আর কি আছে।

কিন্তুএই সব কি শুধুই স্বপ্ন হয়েই থাকবে আমরা যারা শহরে থাকি তাদের কাছে। কিন্তু স্বপ্ন দেখতে পারি যদি তা সত্যি হয় কিন্তু আদৌ কি তার কোন সম্ভাবনা আছে তা কি কেউ বলতে পারবেন। আচ্ছা এখন বুঝতে পারছি আমার আবেগ অংশটুকু আজ আমাকে গ্রাস করে ফেলছে ভালোভাবেই। এই লেখাটা হঠাৎ করেই লেখা। যার কারণে নাম দিয়েছিলাম হযবরল।

আসলেই লেখাটা হযবরলই হয়েছে কারণ কোন কিছু ভেবে চিন্তে লিখি নি। তাই লেখাটা মনে হয় কিছুটা অসামঞ্জস্যপূর্ণই হবে, একটার সাথে আরেকটার কোন সম্পর্ক নেই আসলে আমি খুব আপসেট আজ। ধৈর্য্য নিয়ে যদি কেউ যদি পুরো লেখাটা পড়েন তা হলে সে অবশ্যই ধন্যবাদের প্রাপ্য। সবাইকে ধন্যবাদ!!!!!!!!!!!!!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।