আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার :: ৭১-এ সুবহান মওলানার নেতৃত্বেই পাবনায় হত্যা করা হয় ১৪০০ বাঙালি

এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
একাত্তরে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী শক্তি হিসেবে শান্তি কমিটি গঠিত হয় ১০ এপ্রিল। রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর মতো শান্তি কমিটির হোতারাও ছিল জামাতে ইসলামী সংশ্লিষ্ট। সে সময় শান্তি কমিটির সহ-সভাপতি ছিল পাবনা জামাতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আব্দুস সোবহান ওরফে সুবহান মওলানা। রাজাকার ও বদর বাহিনীর রিক্রুটমেন্টের দায়িত্বও ছিল তার। গোলাম আজমের নির্দেশে সুবহান মওলানার মতো জামাতের কেন্দ্রীয় নেতারা ইসলামের দোহাই দিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে যোগ দেয়।

ইসলাম রক্ষার নামে তারা শুরু করে হত্যা, লুন্ঠন ও অগ্নিসংযোগ। উর্দুতে পারদর্শী মওলানা আব্দুস সোবহান মুক্তিযুদ্ধের সময় খুব দ্রুত পাকিস্তানিদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠে। ১৯৭১ এর ২৬,২৭,২৯ মার্চ, ১৭ এপ্রিল, ১৪মে ও ১ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ড ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের গোটা সময়জুড়েই, পাবনার রায়ের বাজার, কুচিয়াপাড়া, শাঁখারী পাড়া, ফরিদপুর থানার ডেমরা,সুজানগর থানার নাজিরগঞ্জ ও সাতবাড়িয়ায় গণহত্যা, লুটপাট,আগুন এবং নিরীহ লোকজনদের পাকিস্তানি সৈন্যদের কাছে তুলে দেয়ার মতো বহু যুদ্ধাপরাধ করেছে মওলানা সোবহান। শুধু ডেমরা ও সুজানগরে গণহত্যার শিকার হন ১৪০০ বাঙালি। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ১৯৭২ এর ১৪ ফেব্রুয়ারি মওলানা সোবহানের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়।

২৯ ফেব্রুয়ারি তার হাজিরা দেয়ার সমনও জারি হয়েছিল। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগেই সে গোলাম আযমের সঙ্গে পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। ১৯৭৫ এর পর দেশে ফিরে। সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়। বর্তমানে সে জামাতে ইসলামীর নায়েবে আমির।

তথ্যসূত্রঃ
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.