আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীতার্তদের বাঁচার লড়াইয়ে সামিল হোন

চোখ খুবলে নেয়া অন্ধকার, স্ফুলিঙ্গ জ্বেলে দাও!

একটি পত্রিকার খবর গত ক'দিনের প্রচন্ড ঠান্ডা ও শৈত্য প্রবাহে ব্রহ্মপুত্র চরের দিনমজুর ও অভাবি মানুষগুলো কাহিল হয়ে পড়েছে। একদিকে ক্ষুধা অন্যদিকে শীতের অদৃশ্য আক্রমণে ওরা এখন দিশেহরা হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের বুক চিরে জেগে ওঠা রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলার অধীনে প্রায় অর্ধশত চরাঞ্চলের লক্ষাধিক অভাবী, দুস্থ মানুষের করুণ অবস্থা বিরাজ করছে। তাই শীতে কারো মৃত্যু সংবাদের অপেক্ষা না করে জরুরি ভিত্তিতে শীতার্ত অভাবী মানুষগুলোর মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা। সরেজমিনে চরাঞ্চল ঘুরে জানা গেছে শীতার্ত মানুষের আহাজারি।

নদী ভাঙ্গন সর্বহারা মানুষ মদনের চর খোলা জায়গা বালুচরে আশ্রয় নেয়া ববিরন বেওয়া (৪৫) জানান, 'বাবাগো ৫ মাস পূর্বে স্বামী মারা গেছে। ঘরে ৬ জন পোলাপান সব উদোম গায়ে থাহে। ছেঁড়াকাটা কাপড় যা আছে তাই দিয়ে কোনো রকম লজ্জা ঢাহি'। নাওশালা চরের বিধবা রাবেয়া বেগম (৪০) জানান, 'এইযে দেখছেন ছাপড়া। এইহানে ৩ সন্তান নিয়ে রাত কাটাই।

রাতে কনকনে ঠান্ডা বাতাস বেড়ার ফাঁস দিয়ে ঢোকে। সারা রাত একাত-ওকাত করে পাড়ি দেই। ' এ চরে তার মতো অসংখ্য স্বামী হারা বৃদ্ধ ও বিধবা রয়েছে যাদের ঘরের বেড়া নেই। নালিতা খাতা চরের জামেলা বেগম (৪৫)। তার স্বামী ঢাকায় কাজ করতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি।

আজ ৬ বছর হয়ে গেল তার কোন খোঁজ নেই তার। ঘরে শীতের কোন কাপড় নেই। রাতের বেলায় খড়কুটো জড়িয়ে থাকেন। এ রকম অনেক দিনমজুর আছে যাদের ঘরে লেপ-তোশক দূরের কথা একটা কাঁথা পর্যন্ত নেই। অনেকেই শীত পাড়ি দেয় বস্তার চট ও খড়কুটো জালিয়ে।

তীব্র শীতে শিশুদের অবস্থা হয় খুবই খারাপ। উপজেলা প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনও সরকারিভাবে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। তবে শীতবস্ত্রের চাহিদা জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন পাঠানো হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদ বিচ্ছিন্ন চরের মানুষ শীতে কাহিল ******************************************** প্রতি বছর মঙ্গার পর শীতে উত্তরবঙ্গে হাড়কাঁপানো শীতে অনেক মানুষের জীবন হারিয়ে যায় একটুকরো গরম কাপড়ের অভাবে। অথচ, আমরা সবাই মিলে যদি তাদের বাঁচার লড়াইয়ে একটু হাত বাড়িয়ে দিতাম তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশে শীতে একটুকরো গরম কাপড়ের জন্য এদের হা-হুতাশ করতে হতো না।

প্রগতির পরিব্রাজক দল, প্রপদ '৯৬ সাল থেকেই দেশের শীতার্ত মানুষের সহযোগিতার লক্ষ্যে শীত বস্ত্র সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও হাতে নিয়েছে ১৪ তম শীতার্ত সহযোগিতা ও প্রচার কার্যক্রম। এ কার্যক্রমে প্রথম অংশে শীতার্তদের জন্য পুরনো কাপড় ও নতুন গরম কাপড় কেনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হবে। দ্বিতীয় অংশে শীতে মানুষের দুর্ভোগের মূল কারণ সাধারন মানুষের মধ্যে তুলে ধরার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক উপায়ে প্রচার আন্দোলন পরিচালনা করা হবে। বর্তমানে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগিতা ও স্বেচ্ছাশ্রমিক সংগ্রহের কাজ চলছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে কাপড় সংগ্রহের জন্য বুথ প্রদান করা হয়েছে এবং অর্থ সংগ্রহ চলছে। ধারাবাহিকভাবে আমরা ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা গুলোতে আমাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করবো। যে বা যারা এই কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করতে চান তারা নিজ নিজ এলাকা/এ্যাপার্টমেন্ট/প্রতিষ্ঠান ও পরিচিত লোকজনের মধ্য থেকে পুরনো শীত বস্ত্র সংগ্রহ করে আমাদের খবর দিলে আমরা তা সংগ্রহ করে নেবো। আমরা মানুষের কাছ থেকে নগদ অর্থ সংগ্রহ করে তা দিয়ে গরম কাপড় কিনে শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করে থাকি। যারা অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করতে চান তারা নিচের ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দিয়ে আমাদের জানিয়ে দিতে পারেন- Milan Kar Account No: 0171101000036010 Branch: Satmosjid Branch Dutch Bangla Bank Ltd. প্রপদ, প্রতিবছর কার্যক্রম শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে পুরো কাজের শ্বেতপত্র প্রকাশ করে থাকে।

সংগৃহীত নগদ অর্থের পরিমাণ ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ইং পর্যন্ত ===== ৩১,৩২০.০০ টাকা আপনার একটু সময় ও শ্রম একজন শীতার্ত মানুষকে শীতের অসহনীয় দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। সচেতন ব্লগারবৃন্দের প্রতি আহবান স্বেচ্ছাশ্রমিক হিসেবে যোগ দিন, অন্যকেও উৎসাহিত করুন। অর্থ ও বস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করুন। যোগাযোগ করুন প্রগতির পরিব্রাজক দল (প্রপদ) কেন্দ্রীয় কার্যালয়: ডাকসু ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। মোবাইল: ০১৯১৩৩০৫২১৪


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.