আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মতলববাজ আওয়ামিলীগ সরকার জবাব চাই

আত্মনির্ভরশীল,দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি মুক্ত একটি শিল্পোন্নত আধুনিক সুশিক্ষিত বাংলাদেশ আমরা তরুনরাই গড়ে তুলতে পারি। আর সে জন্য দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। শাহবাগের আন্দোলন কারীদের ক্লান্তি নাই। কিন্তু আমি ধৈর্যশীল মানুষ না। আমার মেজাজ খারাপ হইতেসে।

সরকার উপরে উপরে এই আন্দোলনের বিভিন্ন পোস্টে ব্যাপক লাইক কমেন্ট ফালায়তাসে। সঙ্ঘতি প্রকাশ করতাসে। প্রথম প্রথম না দিলেও এখন মন্ত্রী-মিনিস্টাররাও আইসা বক্তব্য দিতেসে। আমার সবচেয়ে হাসি পায় কিছু সরকারী মুখপাত্রের কথা শুনলে । এরা কিছুক্ষণ পরে পরে বলে জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।

তো করতে হবে তো কর না! ক্ষমতা তোদের হাতে,নিষিদ্ধ করবে কি অন্য কেঊ? নাকি এই ইস্যু নিয়া এর পরের মেয়াদেও ক্ষমতায় যাবি?ঃ"আমরা এর পরের বার ক্ষমতায় আসলে জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করবো" আরে যদি মনের ভিতর থেকে ইচ্ছা থাকে তো করই না। এত ত্যানা পেচাইতাসস ক্যান? যা বুঝলাম সরকারের এখনও জামাতিদের ভোটের প্রতি লোভ আসে। যাওদি শেষমেশ কোনো আপসে পৌঁছানো যায় তো খারাপ কি? শালার ক্ষমতার লোভ নীতি নৈতিকতা কই ধুইয়া নিয়া যায়... শিবিরের প্রপাগান্ডা হইল,শাহবাগের আন্দোলন পুরাটাই সরকারের চাল। কিন্তু আমরা জানি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই সবাই আন্দোলন করে যাচ্ছেন। আর নেতৃস্থানীয় অনেকেই ছুপা নাস্তিক (যারা নাস্তিকতার খোলসে কেবলি ইসলামকে বিকৃত করে) ব্লগার থাকলেও প্রজন্ম চত্বরের মঞ্চ থেকে একবারও ইসলাম বিরোধী কোনো স্লোগান শোনা যায় নাই।

এখন ইসলাম বিরোধী বলে আন্দোলনের নামে নানা রকম কুৎসা রচনা করা হচ্ছে। শিবির নিজের অস্তিত্ব টিকানোর জন্য যা খুশি করতাসে। কিন্তু সরকার যদি এই ভেবে বগল বাজায় যে মানুষ এই আন্দোলনের চোটে মানুষ তাদের এই আমলের সব আকাম কুকাম ভুইলা যাইবো,তাইলে বিরাট ভুল করবো। গতবার যে নতুন তরুন ভোটার দের ভোটে তারা ক্ষমতায় আসছিলো,তারা এখন আরো ম্যাচিউরড হইসে। তাদের অনেকেই এই আমলে শেয়ার বাজার কেলেংকারী,ডেসটিনির চোট্টামি আর ছাত্রলীগের অত্যাচারে ক্ষতিগ্রস্ত আর অতিষ্ঠ।

সরকার এই আমলে বহু বহু বার নানা খারাপ খবরে মানুষের বিরক্তি ক্ষোভের কারণ হয়েছে। বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত জনমতের বিপক্ষে গিয়েছে। ক্যান ভাই? তোরা ক্ষমতায় গিয়া নিজের আখের গুছাবি গুছা,মানুষের জন্যও তো কিছু কর?ক্যান মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরী করিস? নিজের দলের লোক আর সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে কি আপ্রাণ চেষ্টা!বিরোধীদলের লোকজনদের নামে রাতারাতি মামলা-তদন্ত কিন্তু লিমন,সাগর-রুনী,ইলিয়াস আলীর ব্যাপারে সরকারের আচরণ দেখলে মনে হয় তারা পাব্লিকের লগে মজা নিতাসে। আমরা কিসু বুঝি না,না? প্রধাণ মন্ত্রীরে সামনে পাইলে খুব ভদ্র ভাবে জিজ্ঞেস করতাম,"রাজীব কে মারসে বলে আপনি দ্বিধা হীন ভাবে জানায় দিলেন জামাত শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। খুব ভাল কথা,এটা এখন বাংলাদেশের অনেক মানুষেরই দাবী।

কিন্তু বিশ্বজিতের মত এত এত নিরীহ মানুষ এমন কি শিশু হত্যার পরও কেন ছাত্রলীগ্রে নিষিদ্ধ করা হইবো না? আপনাদের অঙ্গ-সংগঠন ,তাই?' আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকে পেপার-পত্রিকায় কোনো গঠন মূলক ভাল কাজে ছাত্র সংগঠন গুলারে খবর হইতে দেখলাম না। খালি কোপাকুপি আর মারামারি,শো-ডাউন,ভাংচুর। এদেশে আসলেই ছাত্র-রাজনীতি খুব জরুরী বিষয়?জ্ঞানী কোনো ব্যক্তির চোখে আমার এই পোস্ট পরলে একটু কমেন্টে জানায় যাবেন যে কয়েক বছরের জন্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করলে দেশের কি ক্ষতি হবে? আমি চাই সরকার আবলামী বন্ধ কইরা মানুষের প্রকৃত দাবীটা শুনুক ,পালন করুন। ধুন ফুন বাদ দিয়া এখনও টাইম আসে ভাল হইয়া যাওয়ার। নইলে পাব্লিক তখন সরকারের উপরেই ক্ষপপো আর তখন কেউই বাঁচানোর থাকবো না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।