আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোরবানি সংক্রান্ত জ্ঞাতব্য

প্রথমত আমি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। ওয়েব ডিজাইনের পাশাপাশি টু্রিজমের উপর কাজ করার ইচ্ছা আছে আমার। এ ব্যাপারে কেউ সাহায্য করলে চির কৃতার্থ থাকব। http://www.facebook.com/saintmartinbangladesh

"নিশ্চয় আল্লাহর নিকট তোমাদের কোরবানীর পশুর গোশত, রক্ত পৌঁছায় না, বরং তার নিকট পৌঁছায় তোমারদের মনের তাকওয়া," প্রসিদ্ধ মাযহাব অনুযায়ী যার সামর্থ আছে তার জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। হাদীসে আছে, "যে ব্যক্তি সামর্থ থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করল না সে যেন আমাদের ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়তে না আসে"।

সামর্থ বলতে যার উপর যাকাত ওয়াজিব। উট, গরু, মহিষ ( সর্বোচ্চ ৭ নাম প্রযোজ্য, তবে ১,২,৩,৪,৫,৬ নামেও হতে পারে) ভেড়া, বকরী (কেবল এক নাম প্রযোজ্য) পশুর কোন একটি পূর্ণ অঙ্গ অচল হলে তা দেয়া কোরবানী দেয়া জায়েজ হবে না। খোড়া, ল্যাংড়া, কানা বা লেজ কাটা পশুর কোরবানী হবে না। কোরবানীর পশু ঈদ ও পরবর্তী ২ দিন মোট তিন দিন কোরবানী করা যায়। রাতের বেলা কোরবানী করা অনুত্তম।

কোরবানীর পশু ঈদের নামাজের আগে কোরবানী করা হলে পূণরায় কোরবানী দিতে হবে। ধারাল জিনিস দিয়ে কোরবানী দিতে হবে, ছুরি ধারালো না হলে কিংবা পশুর কস্ট হলে কোরবানী মাকরুহ হবে। যাদের নামে কোরবানী দেয়া হবে তাদের নাম নির্দিষ্টভাবে জানা থাকতে হবে, তবে এট হাতে নিয়ে পাঠ করা জরুরী নয়, বরং ব্যাপার হলো এরকম যে, কেউ যদি কোরবানীর পর আপনাকে জিজ্ঞেস করে যে, কার কার নামে কোরবানী হল আর আপনি তাদের নাম বলে দিতে পারেন তবে এই জ্ঞানটুকুই যথেষ্ট। লিখা বা পাঠ করা জরুরী নয়। কন্ঠনালীর মাঝ বরাবর কাটতে হবে।

পশুর মালিক নিজে পশু কোরবানী করা মুস্তাহাব বা উতম। পশুর দম বের হওয়ার আগে পায়ের নালায় রগ কেটে দেয়া কিংবা তাড়াতাড়ি দম বের হওয়ার জন্য গলায় ছুরি দিয়ে এলোতারি বা উপর্যুপরি আঘাত করা বা দম বের হওয়ার আগেই চামড়া ছিলতে মুরু করা মাকরুহ বা দোষযুক্ত, বরং অন্যায় ও বটে। কোরবানীর গোশত তিনবাগ করা মুস্তাহাব ১) নিজ ২)আত্মীয় ৩) গরীব-মিসকিন। কোরবানীর গোশত শুটকি দেওয়া বা জমিয়ে রাখাতে কোন সমস্যা নেই। কোরবানীর চামড়া বিক্রি করা জায়েজ নয় তবে বিক্রি করে অর্থ গরীব মিসকিনকে দেয়া যেতে পারে।

কোরবানীর পশুর খুর, লেজ, চামড়া ইত্যাদি দ্বারা কসাইকে মজুরী বা পারিশ্রমিক দেয়া যাবে না। কোরবানীর দিন কোরবানীর পশু জবাই হওয়ার পর পানাহার করা মুস্তাহাব। ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় এই দোয়াগুলো জোরে জোরে পড়া মুস্তাহাব। "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ" দ্রষ্টব্য: যারা ধর্মে বিশ্বাস না করেন তারা এই ব্লগে দয়া করে কোন মন্তব্য করবেন না।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।