আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুক্তগদ্য: একদা হনুমান সূর্যকে কমলা ভেবে খেতে গিয়েছিলো আর তারপর

ডুবোজ্বর

০১. একদা হনুমান সূর্যকে কমলা ভেবে খেতে গিয়েছিলো। পথিমধ্যে দণ্ডকারণ্যে কার সাথে দেখা হয়েছিলো তার? অনাহুত আমি এসে ফুরিয়ে গেলাম। সত্যজিতের আগন্তুক ছবিটার শেষে গানটাই কেবল ভালো লাগে মমতা শঙ্করের কোলে সেতার, বাজিলো কাহার বীণা? অঙ্কুর কেউ নেই আমাদের পাড়ায়; সবাই ফুল আর ফল হয়ে খাদ্য আর শোভা হয়ে গেছে। ০২. পাশাখেলার ইতিহাস হস্তিনীপুরে শুরু কিনা জানা নেই। কর্ণ যখন দৌপদীর বস্ত্রহরণের কথা বললেন, কেবল তখনই কর্ণকে ভালো লাগে না।

কিন্তু অন্তহীন শাড়ির কথক তখনও মাতৃগর্ভে আসে নি, কবে কার চোখের ভিতর স্বপ্নের আশ্চর্য লোবান হয়ে ছিলো। আমিই সেই কথক। কী করবো চিল, আমি যে উড়াল ভুলে গেছি শেষচৈত্রে। প্রচেত্যের মায়া এখনো বড় বেশি অন্ধকার করে আছে প্রাচ্যের আকাশ। ০৩. স্বপ্নপূরণের তেমন কি দরকার আছে? পূরণ হলেই তো শেষ।

কোনো এক রাখালের কাছের বালিকার প্রাণ বাঁধা আছে রাতদিন পলাতক। দ্বিধা তুমি সরে যাও আমি যাবো অন্যগৃহে অন্যতীরে। কাঙালমামা আর কংসমামার মধ্যে কী পার্থক্য, শুধুই কি নিষ্ঠুরতায়? চলো যাই ভেঙে আসি লালদরজার পথ আর প্রাচীর। ০৪. সব্যসাচী নজরুলের ছেলের নাম ছিলো নাকি, নাকি অনিরুদ্ধ? অবশ্য সব্যসাচী নামে একজন ফেলুদার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তাকে নিশি যাপনেও দেখা গেছে ক্যানিবেল ক্যানিবেল বলে চিৎকার করছে।

সন্দীপন যে কতো কিছু দেখালেন! অবশ্য তার গল্পের স্টাইল ভালো। আমি কি অটোমেশিন নাকি, দাদা? প্রসূন মানে কী? ০৫. মুক্তি আসো বুকের সড়ক ভেঙে। আজ রাতে সড়কের দুপাশে মড়ক লেগেছে। কাফকা হলে এতোণে উপন্যাস লিখতে বসতেন। ভাস্কর হেরার সময়ে আরবে দারুণ এক মড়ক লেগেছিলো, পালে পালে ইদুঁর এসে খেয়ে নিতো দুম্বা আর মানুষের কান আর চোখের কপাট।

সমস্ত নগরী মরে গেলে, হেরা নতুন করে নগর বানালেন। ০৬. শিক্ষার্থীদের কাজ কী। ছাত্রানং অধ্যয়নং তপঃ? ইহা অতিশয় ফালতু সংস্কৃত অথবা শাস্ত্রীয় কথা। শিক্ষার্থীরাই দেখা যায় অধিকাংশ পরিবর্তনের মূলে। তবে এখন কেনো তারা ঘুমঘুম চোখে পড়ে থাকে মখমল ফোমে? কেনো খেয়ে ফেলে না প্রবাহিত ডাস্টবিন? আর কিছুদিন পরে সমস্ত রোবোটদের দখলে চলে যাবে।

সায়েন্স ফিকশান পড়ে ইদানীং এটাই মনে হচ্ছে। ০৭. জনৈক কবি বলে কিছু নেই, জনৈক নবী বলেও কিছু নেই। কবি হচ্ছে সবসময়ই কবি। নবীও তেমন। চন্দ্রমল্লিকার সৌরভ কেমন? সৌরভ মানে সুঘ্রাণ।

দেবদূত এসে সুঘ্রাণের ইতিকথা বলে যাক। আমাদের পৃথিবীতে ইহার বড়ই অভাব। নিউটনের কুকুরের কথা মনে হয়। কুকুরটিও হয়তো কাসিকাল মেকানিক্সের দুয়েকটা সূত্র জানতো। শুনেছি একদা নিউটন গাবগাছের নীচে বসে ভাবছিলেন ইত্যাদি।

০৮. এমিলের গোয়েন্দা বাহিনি পড়ে কাস্তনারকে গালি দিয়েছিলাম মনে মনে। কেননা আমি কখনো এমিলের মতো হতে পারি নি। শেষ ঠিকানা বলে আছে নাকি কিছু? কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি, কখনো কুয়াশা কখনো বা শূন্যতার আঁচল আরো গাঢ় নীল। বীথি আমি সমুদ্র চিনি না বলে তোমার কাছে গিয়েছিলাম। তুমি শেখালে কাগজের নৌকো কীভাবে বানায়।

দ্বীপান্বিতা জ্বলে উঠে। আমি সেই দ্বীপে যাবো। ০৯. দেয়ালকে দুহাতে বুকে চেপে ধরা যায় না, দেয়ালকে দুহাতে বুকে চেপে ধরা যায় না। তাই দেয়াল আজন্ম হাহাকার। আমি আপনাকে ছুটি দেই নি, নিজে নিজেই নিলেন এতোদিন।

ঝামেলা কেটেছে? কেমন আছেন, আপনি? আসেন, আমার ঘরে একটুখানি সুন্দর ছড়িয়ে যান। আপনার ঘর ঘুরে এলাম, নতুনপ্রদীপ কই? আমিও ঝড় চাই কিংবা বুক ছিঁড়ে ছড়িয়ে দিতে চাই আরো কোনো ঝড়। আপনার কথা অবশ্যই ঠিক। বাস্তবে সম্ভব নয় বলেই এতো স্বপ্ন আর কল্পনা। সবই অস্তিত্বের যন্ত্রণাকে ভুলে থাকার জন্যে।

বালক মক্তব শুরুতেই ছেড়ে দিয়েছে। এবং প্রকৃতির বিদ্যালয়ে নিজে নিজেই ভর্তি হয়েছে। তাই সে মায়ের শুধু শূন্যিসিঁথি নয় স্রাবও দেখতে পায়। ১০. তারা মানে তো নক্ষত্র। আর নত্র পৃথিবীর আকাশেরো উপরে থাকে।

পৃথিবীর যাকিছু সবই তার ছায়া। বৃষ্টির দেবতা তো আর অনেক ছায়ার একটি মাত্র ছায়া.... ডুবে যেতে চেয়েছি পারি নি ভেসে যেতে চেয়েছি পারি নি উড়ে যেতে চেয়েছি পারি নি উক্তলাইনগুলিতে পারি নি হচ্ছে প্রলাপের মতো। প্রলাপে একই কথা বারংবার আসে। তুমি তো প্রতিধ্বনি, তোমাকে শুনি পাহাড়ের গায়ে; আমরা এইখানে কথা বলি-- পাহাড় ধরে রাখে বুকে। ১১. সেখানে অন্ধকার থাকে আলোর মধ্যে।

আলো আর তৃষ্ণা অবিমিশ্র হলে অন্ধকার ভাঙে তার গর্ভ। তার গর্ভের ঘ্রাণে বেলপাতার বন আলোসবুজ হয়। অন্ধকার তোর মৃত্যু সুন্দর নয়। ১২. বেহাগের সময়। নিম আর পাথরের যৌবন খেলা করে চোখের ভিতর।

ওগো চোখ, তুমি ধারণ করো সেইসব আরাধ্যপ্রান্তর। প্রান্তর একদিন বিস্তারিত পানকৌড়ি হবে। ১৩. উজ্জয়িনী পাঠ করি। সংস্কৃত বুঝি না কিছু। এটা ভয়ালরহস্যের নিধান।

বাজারমূল্য তেমন নাই। একবার দিঘিজলে ডুবে যেতে যেতে একটা ব্যাঙাচি ধরেছিলাম। ব্যাঙাচির নাম পুঁই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।