আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রথমবারের মতো ধারণ করা হলো সীলুকান্ত শিশুর চলচ্চিত্র!

শ্রদ্ধা আর মমতাই তোমাকে জয়ী করতে পারে; তুমি তোমার জ্ঞান প্রয়োগ কর।
ইন্দোনেশিয়া ও জাপানের যৌথ বিশেষজ্ঞের একটি দল সম্প্রতি বিশ্বে প্রথমবারের মতো শিশু সীলুকান্তের (coelacanth, বাংলায় কেউ কেউ একে কোয়েলাকান্ত বলে থাকেন) আলোকচিত্র গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছেন। সীলুকান্ত প্রাণী জগতে অনন্য, অত্যন্ত বিরল প্রজাতির এক মৎস্য যা জীবন্ত জীবাশ্ম (living fossil) নামে অভিহিত। সমুদ্র গবেষকদলটি ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি/সালাবীজ (Sulawesi) দ্বীপের উপকূলে মানাদো (Manado) উপসাগরের ৫২৮ ফুট গভীরে শিশু মাছটিকে খুঁজে পান এবং সফলভাবে এর চলচ্চিত্রও ধারণ করেন। ২০ মিনিটের ধারণকৃত চলচ্চিত্রটিতে দেখা যায়, নীল ও সাদা ফুটকি-খচিত, ১২.৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের সীলুকান্ত শিশুটি সাগরতলে উপলখণ্ডের ভেতর শান্তভাবে সাঁতার কেটে যাচ্ছে।

"যতদূর আমাদের মনে পড়ে, রহস্যাবৃত প্রাণীটির জীবন্ত কোনো বাচ্চার এটিই হচ্ছে প্রথম ভিডিওচিত্র," বললেন ফুকুশিমা প্রদেশের (Fukushima Prefecture) জলজ উদ্ভিদ ও মৎস্য সংরক্ষণ কেন্দ্রের (aquamarine) গবেষক মাসামিৎসু আইওয়াতা (Masamitsu Iwata)। আবিষ্কারটি সীলুকান্তের আবাস ও প্রজনন আচরণের উপর আলোকপাত করবে বলে বিজ্ঞানীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দূরনিয়ন্ত্রিত, স্বচালিত জলযানের মাধ্যমে গবেষকদল প্রাণীটির চলচ্চিত্র ধারণ করেন, আইওয়াতা যাকে একটি সদ্যজাত শাবক হিসেবে শনাক্ত করেন। সুপ্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত সীলুকান্তের শরীরে তেমন কোনো পরিবর্তন সাধিত হয়নি। প্রায় ৩৬৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে, ডেভোনিয়ান (Devonian) যুগে প্রাণীটির উদ্ভব হয় বলে জীববিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এবং ধারণা করা হতো, প্রায় ৭০ মিলিয়ন বছর পূর্বে, ক্রিটেইশাস (Cretaceous) যুগের শেষভাগে এটি পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে গেছে, রেখে গেছে কেবল জীবাশ্ম নিদর্শন।

জীবাশ্মের উপর ভিত্তি করে, সীলুকান্তকে জলচর মৎস্য এবং স্থলচর চতুষ্পদের অন্তর্বর্তী দশার (transitional) জোরালো প্রমাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াসও পেয়েছিলেন অনেক বিজ্ঞানী। কিন্তু ১৯৩৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত মহাসাগরীয় উপকূলে প্রথমবারের মতো জীবন্ত, পূর্ণদশা সীলুকান্ত মাছ ধরা পড়ার পর বিশ্বজুড়ে বয়ে যায় বিস্ময়ের ঝড়; বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর অন্তর্ভুক্ত হয় এটি। এরপর নিয়মিতই মাছটির খবর পাওয়া যেতে থাকে মোজাম্বিক, মাদাগাস্কার, কেনিয়া, তাঞ্জানিয়া, জাঞ্জিবার বা ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে। আজ, সত্তর বছরেরও বেশি সময় ধরে, প্রাগৈতিহাসিক অথচ জীবন্ত, মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে অপরিবর্তিত এই প্রাণীটির প্রতি মানুষের সুতীব্র সেই আগ্রহ বয়েই চলছে! সংক্ষিপ্ত ইউটিউব ভিডিও তথ্যসূত্র: ১। Click This Link ২।

http://en.wikipedia.org/wiki/Latimeria
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.