আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উইদাউট ওভেন ছাড়া কেক....

আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)

আমার মত ওভেন ছাড়া দুস্থ ভাই-বোন মনে হয় নাই। তার পরও যদি দুই এক জন থাকেন তবে তাদের কাজে লাগবে রেসিপিটা।

রেসিপিটা হল মার্বেল কেক এর। মশলা হলে সবাই মজা করে রান্না করতে পারে। এটায় কৃতিত্ব নাই। মশলা ছাড়া কে কত মজা করে রান্না করতে পারে সেটাই হল কথা। ( আমার ওভেন, বিটার নাই তাই ডায়ালগটা দিলাম ) উপকরন: ডিম..... ৪টা ময়দা.....১কাপ চিনি........১কাপ তেল........১কাপ বেকিং পাউডার....১চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স.....১চা চামচ কোকো পাউডার..... ১চা চামচ বিটার নাই ত কি হয়েছে(!) নো টেনশন।

ডাল ঘুটনি আছেনা.... প্রস্তুত প্রনালী: প্রথমে বড় একটি পাত্রে ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ডাল ঘুটনি দিয়ে জোরসে ঘুটা শুরু করতে হবে। ফোম হয়ে গেলে আর টেনশন নাই। এবার চিনি দিয়ে আবার ঘুটতে হবে। এটা বেশ কষ্টকর । হাতের ১৪টা বেজে যায়।

চিনি গলে গেলে এবার ডিমের কুসুম + ভ্যানিলা দিয়ে আরো কিছুক্ষন ঘুটা দিতে হবে। এর পরে তেল দিয়ে আবারও ঘুটা। আল্লাহ্ বাঁচাইসে। ঘুটা-ঘুটির পালা এবার শেষ। ময়দা, পরিমান মত লবন, বেকিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে ওটা ডিমের মিশ্রটাতে ঢেলে হাত দিয়ে ভাল করে অনেক্ষন ধরে মেশাতে থাকুন যাতে ছোট ছোট দানা না থাকে।

ফাঁকে এক জনকে বলেন বাটির মাপে কাগজ কাটতে। এবার কেকের জন্য ডো'টা হয়ে গেলে সেখান থেকে আধা কাপ পরিমান ডো তুলে তাতে কোকো পাউডার গুলে নিন। কেকের জন্য বাটিতে কাগজ বিছিয়ে তাতে তেল ব্রাশ করে নিন। এবার এতে অর্ধেক পরিমান ডো ঢেলে তাতে কোকো মেশনো মিশ্রন টা অর্ধক পরিমান ঢেলে চামচ দিয়ে গোল করে নাড়া দিন। এবার চুলার মাঝখানে গোল একটা পাথার দিন নইলে কেক পুড়ে যাবে।

চুলা কমিয়া তাওয়া দিয়ে তার উপর বাটিটা বসিয়ে বড় একটা পাত্র দিয়ে ঢেকে আমার মত ব্লগে বসে যান। আধ ঘন্টা পরে খবর নিন কি অবস্থা। ফুলে উঠলে মাঝখানে একটা কাঠি দিয়ে ফুটো করে দেখুন। যদি কেক হাতে লেগে যায় তাহলে আরো কিছুক্ষন ঢেকে রাখুন। হয়ে গেলে নামিয়ে কি কর্তে হবে সেটা মনে হয় আর না বললেও চলবে।

আর হ্যাঁ ভাবতে পারেন আমি এত্কষ্ট করে রেসিপিটা দিলাম আমাকে দুই পিস না দিলে কেমন হয়। টেনশন করতে হবে না। আমাকে না দিলেও চলবে। টিপস্: ১। বিটার দিয়ে বিট করলে ডিমের সাদা অংশটা এমন ভাবে করতে হবে যেন বাটি উল্টালে ফোমটা না পড়ে।

আর ডাল ঘুটনি দিয়ে করলে সেভাবে হয়না। তবে সব সময় মনে রাখবেন ডিমের কুসুম দেওয়ার পরে যে দিকেই করুন না কেন এক দিকে বিট করবেন নাহলে ফোমটা বসে যাবে। কেক ভাল হবে না। ২। ডিমের কুসুম আলাদা করার সময় সতর্ক থাকবেন যাতে কুসুম না ভাংগে।

ভাংলে কিন্তু আর ফোম হবে না। ৩। ভুলেও কখনও ময়দা ডিমের মিশ্রনটার সাথে বিটার দিয়ে মেশাবেন না। তাহলে সব কষ্ট পন্ড হয়ে যাবে। আর চামচ দিয়েও না।

হাত দিয়েই মেশাবেন যাতে ছোট দলা থাকলে ভেংগে ফেলতে পারেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।