আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"আমি জানতাম না" বলে লাভ নেই !!

~*..*~

***পুণরায় দেয়া হল...... শুধু আল্লাহ আছেন বললেই মুসলিম হওয়া যায় না, কারণ যদি আল্লাহ আছেন এ কথা বললেই মুসলিম হওয়া যায় তাহলে এ কথা মক্কার কাফেররাও স্বীকার করতো। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেনঃ “যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তবে অবশ্যই তারা বলবে, আলøাহ্, অত:পর তারা কোথায় ফিরে যাচেছ ? (যুখরূফ, ৪৩ : ৮৭) "আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, এগুলো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আলøাহ্। (যুখরূফ, ৪৩ : ৯) “যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করে, অত:পর তা দ্বারা মৃত্তিকাকে উহার মৃত হওয়ার পর সঞ্জীবিত করে? তবে তারা অবশ্যই বলবে, আলøাহ্। বলুন, সম¯Í প্রশংসা আলøাহ্রই। কিন্তূ তাদের অধিকাংশই তা বোঝে না।

(আনকাবুত, ২৯ : ৬৩) وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ مَنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَيَقُولُنَّ اللَّهُ “যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে, চন্তদ্র ও সূর্যকে কর্মে নিয়োজিত করেছে? তবে তারা অবশ্যই বলবে আলøাহ্। তাহলে তারা কোথায় ঘুরে বেড়াচেছ? (আনকাবুত, ২৯ : ৬১) “তুমি জিজ্ঞেস কর, কে রুযী দান করে তোমাদেরকে আসমান থেকে ও যমীন থেকে, কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তাছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্ম স¤পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আলøাহ্! তখন তুমি বলো তারপরেও ভয় করছ না? (ইউনুস, ১০ : ৩১) قُلْ لِمَنِ الْأَرْضُ وَمَنْ فِيهَا إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ (84) سَيَقُولُونَ لِلَّهِ قُلْ أَفَلا تَذَكَّرُونَ (سورة المومنون85) “বলুন পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যারা আছে, তারা কার? যদি তোমরা জান। এখন তারা বলবে: সবই আলøাহ্র। বলুন, তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না? (মুমিনুন, ২৩ : ৮৪-৮৫ن “বলুনঃ তোমাদের জানা থাকলে বল, কার হাতে সব ব¯Íূর কর্র্তৃত্ব, যিনি রক্ষা করেন এবং যার কবল থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না ? এখন তারা বলবেঃ আলøাহ্র। (মুমিনুন, ২৩ : ৮৮) তারা হজ্জ করতো এবং তালবীয়া পাঠ করতো।

হযরত আব্দুলøাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ মুশরিকরা বায়তুলøাহ শরীফ তাওয়াফ করার সময় তালবীয়া পাঠ করতো (لبيك اللهم…. ) যখন তারা لبيك لا شريك لك পর্যন্ত বলতো, তখন (সাঃ) বলতেন : ব্যস্, ব্যস্, থামো! থামো! কেননা তারা শেষ দিয়ে বলতো “তবে একজন শরীক আছে যে নিজে এবং তার অধীনস্থ সবকিছু তোমারই অধীন আছে। ” আল্লাহর নবীর বয়স যখন ৩৫ বৎসর তখন ক্বাবা পুনর্ণিমাণের প্রয়োজন হয়, তখন মক্কার কাফেররা পরামর্শে বসল যে, তখন তারা সিদ্ধান্ত নিলো যে, ক্বাবা নির্মাণ করতে গিয়ে তারা কোন হারাম পয়সা লাগাবে না। সবার হালাল পয়সা জমা করে দেখা গেল, এর দ্বারা পূর্ণ ক্বাবা নির্মাণ করা সম্ভব নয়, যদি পূর্ণ ক্বাবা নির্মাণ করতে চাই তাহলে হারাম পয়সা ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু তারা তা করলো না বরং হালাল পয়সা দিয়ে যতটুকু সম্ভব হয়েছে ততটুকুই করেছে আর বাকীটা বাদ দিয়ে দিয়েছে, হাতিমে ক্বাবা যার সাÿ্য বহন করে। এর দ্বারা বুঝা যায় তারা আল্লাহকে কত ভয় করে।

আবরাহা বাদশা যখন ক্বাবা ধ্বংস করতে আসলো, এবং আবদুল মুত্তালিব এর কিছু দুম্বা, ভেড়া-বকরি নিয়ে গিয়েছিল। তিনি যখন আবরাহার কাছে গিয়ে ক্বাবা সম্পর্কে কিছু না বলে ঐ পশুগুলো ফেরত আনার ব্যাপারে কথা বললেন। বলেছিলেনঃ ****ইহুদী নাসারারাও আল্লাহকে বিশ্বাস করে وَقَالَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى نَحْنُ أَبْنَاءُ اللَّهِ وَأَحِبَّاؤُهُ “ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা বলে, আমরা আল্লাহসন্তান ও তাঁর প্রিয়জন। (মায়েদা : ১৮)” ****ফেরাউনও আল্লাহকে বিশ্বাস করে ফেরাউন নিজেকে আল্লাহ বলে দাবী করেছেঃ وَقَالَ فِرْعَوْنُ يَا أَيُّهَا الْمَلا مَا عَلِمْتُ لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرِي (القصص 38) “ফেরাউন বলল, হে পরিষদবর্গ, আমি জানি না যে, আমি ব্যতীত তোমাদের কোন উপাস্য আছে। (কাসাস : ৩৮) قَالَ لَئِنِ اتَّخَذْتَ إِلَهًا غَيْرِي لاجْعَلَنَّكَ مِنَ الْمَسْجُونِينَ (الشعراء 29) “ফেরাউন বলল, তুমি যদি আমার পরিবর্তে অন্যকে উপাস্যরূপে গ্রহণ কর তবে আমি অবশ্যই তোমাকে কারাগারে নিক্ষেপ করব।

(শুআরা : ২৯) আবার অন্য আয়াতে সে নিজেকে রব বলে দাবী করছে, ইরশাদ হচ্ছে : فَحَشَرَ فَنَادَى (23) فَقَالَ أَنَا رَبُّكُمُ الْأَعْلَى( النازعات24) সে সকলকে সমবেত করল এবং সজোরে আহবান করল। এবং বলল: আমিই তোমাদের সেরা পালনকর্তা। (নাযিআত, ৭৯ : ২৩-২৪) অথচ এই ফেরাউন ও বহু ইলাহতে বিশ্বাসী ছিল। وَقَالَ الْمَلا مِنْ قَوْمِ فِرْعَوْنَ أَتَذَرُ مُوسَى وَقَوْمَهُ لِيُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ وَيَذَرَكَ وَآَلِهَتَكَ (اعراف: 127) “ফেরাউনের স¤প্রদায়ের র্সদাররা বলল, তুমি কি এমনি ছেড়ে দেবে মূসা ও তার স¤প্রদায়কে। দেশময় হৈ-চৈ করার জন্য এবং তোমাকে ও তোমার দেব-দেবীকে বাতিল করে দেবার জন্য।

(আরাফ, ৭ : ১২৭) এই আয়াতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে, ফেরাউন ও বিশ্বাস করতো যে, আল্লাহ আছে তবে তা অনেক। ****শয়তানও আল্লাহকে বিশ্বাস করে وَإِذْ زَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ أَعْمَالَهُمْ وَقَالَ لا غَالِبَ لَكُمُ الْيَوْمَ مِنَ النَّاسِ وَإِنِّي جَارٌ لَكُمْ فَلَمَّا تَرَاءَتِ الْفِئَتَانِ نَكَصَ عَلَى عَقِبَيْهِ وَقَالَ إِنِّي بَرِيءٌ مِنْكُمْ إِنِّي أَرَى مَا لا تَرَوْنَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ وَاللَّهُ شَدِيدُ الْعِقَابِ (انفال : 48) “আর যখন সুদৃশ্য করে দিল শয়তান তাদের দৃষ্টিতে তাদের কার্যকলাপকে এবং বলল যে, আজকের দিনে কোন মানুষই তোমাদের উপর বিজয়ী হতে পারবে না আর আমি হলাম তোমাদের সমর্থক, অতঃপর যখন সামনাসামনি হল উভয় বাহিনী তখন সে অতি দ্রুত পায়ে পেছনে দিকে পালিয়ে গেল এবং বলল, আমি তোমাদের সাথে না – আমি দেখছি, যা তোমরা দেখছ না; আমি ভয় করি আল্লাহকে। আর আল্লাহর আযাব অত্যন্তÍ কঠিন। (আনফাল, ৮ : ৪৮) كَمَثَلِ الشَّيْطَانِ إِذْ قَالَ لِلْإِنْسَانِ اكْفُرْ فَلَمَّا كَفَرَ قَالَ إِنِّي بَرِيءٌ مِنْكَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ رَبَّ الْعَالَمِينَ (الحشر : 16) “তারা শয়তানের মত, যে মানুষকে কাফের হতে বলে। অত:পর যখন সে কাফের হয়, তখন শয়তান বলে: তোমার সাথে আমার কোন স¤পর্ক নেই।

আমি বিশ্বপালনকর্তা আলøাহ্ তা’আলাকে ভয় করি। (হাশর, ৫৯ : ১৬) তাহলে পার্থক্য কোথায়? পূর্বের আলোচনায় পরিষ্কার হলো যে, রাসূল সালøালøাহু সালøামের যুগের কাফির, মুশরিক, ইহুদী, নাসারা এবং ফেরাউন, এমনকি শয়তানও আল্লাহকে বিশ্বাস করে। তাহলে তাদের ও আমাদের মাঝে পার্থক্য কোথায়? কেন তারা কাফির আর আমরা মুসলিম? কেন তার আল্লাহর দুশমন এবং আমরা আল্লাহর বন্ধু? কেন তারা জাহান্নামী এবং মুসলিমরা জান্নাতী? আমরা পরবর্তী আলোচনায় সে বিষয়গুলো পরিষ্কার করার চেষ্টা করবো। (ইনশা-আল্লাহ)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।